(০১) ভারত কোন দিনই বাংলাদেশকে অনুদান অথবা ভিক্ষা দেয় নি, যারা নিজেরাই আমির শাহী থেকে ৬ বিলিয়ন বিনা সুদে ধার আনে,জার্মানি ২ মাস আগে ৯ বিলিয়ন রুপি খয়রাতি সাহায্য দিল ভারতকে,তারা কি ভাবে, বাংলাদেশকে ভিক্ষা দেবে??ভিক্ষা নেওয়া হাত কি কখন ও ভিক্ষা দেয়?কিছু কলকাতার পাবলিক কথায় কথায় দেখি বাংলাদেশ কে ভিখারি দেশ, কাংলাদেশ বলে,আমি বুঝি না তারা কি আন্তর্জাতিক মিডিয়া গুলো দেখে না?সিঙ্গাপুর আর মালায়শিয়ার মানুষ ইন্ডিয়ানদের কুকুরের থেকেও বেশি ঘৃণা করে।হ্যাঁ আমি জানি তারা বিশাল অর্থনীতির দেশ, আমাদের থেকে gdp তিন থেকে চার গুন বড়। কিন্তু তারা কি ভাবে না তাদের জনসংখ্যা আমাদের থেকে ১০ গুন বেশি, হ্যাঁ খাদ্য উতপাদনে তারা বিশ্বের মধ্যে ৩য় । আর আমরা ১০ম, কিন্তু তাদের জনসংখ্যা আমাদের থেকে ১০ গুন বেশি,
সম্প্রতি দ্যা ইকোনমিষ্টের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দশম এবং ভারত তৃতীয়।তালিকায় চীন ১ম এবং যুক্তরাষ্ট্র ২য়।তালিকায় দেখা যায়,প্রতিবছর ভারত ২৯.৩৯ কোটি টন এবং বাংলাদেশ ৫.৫০ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদন করে।মজার ব্যাপার কি জানেন,গড় হিসেবে খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের তুলনায় ভারত অনেক পিছিয়ে আছে।ভারতের জনসংখ্যা ১৩০ কোটি এবং বাংলাদেশের ১৬ কোটি।সে হিসেবে দেশের ১কোটি মানুষের জন্য প্রতিবছর ভারত ০.২২৬ কোটি টন খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হলেও বাংলাদেশ ১কোটি মানুষের জন্য ০.৩৪৪ কোটি টন খাদ্য উৎপাদন করে যা ভারতের চেয়ে দেড়গুনেরও বেশী।অর্থাৎ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।ভারতের পান্জাব,হারিয়ানা ও কেরালা প্রদেশের অবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে একটু উন্নত হলেও বাকি অঞ্চল বাংলাদেশের মত অথবা বাংলাদেশ থেকে অনুন্নত।কিছু কিছু অঞ্চল এতটাই অনুন্নত যে সেসব এলাকার সাথে আফ্রিকান গরীব রাষ্ট্রগুলোর মাঝে পার্থক্য নেই।
(০২) এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশ কে ১০০ কোটি ঋণ দিয়েছিল, কেন জানেন? কারন ঐ টাকা দিয়ে যে স্থাপনা হবে সেটা ভারত ব্যাবহার করবে, ঐ টাকা দিয়ে রাস্তা হবে আর ভারত বিনা শুল্কে ট্রানজিট ব্যাবহার করবে,যে রেল লাইন হবে মংলা পর্যন্ত তা দিয়ে ভারতের মাল যাবে মংলা বন্দর থেকে। সব কিছু মাগনা??? এতই যদি ভারতের দেবার খমতা থাকত তবে উত্তর প্রদেশে মানুষ ঘাস খেত না, চা শ্রমিকেরা মৃত্যুর মিছিল দিত না, পঃবঙ্গে কৃষক আত্মহত্যায় মেতে উঠত না, পঃবংঙ্গ রাজ্যটি আড়াই লক্ষ হাজার কোটি ঋণের সুদ টানত না, আগে নিজেদের রাজ্যের খবর নেন, তার পর বাতেলা মারেন, কেন্দ্র ৪০ হাজার কোটি টাকা শুল্ক নিয়ে যায় পঃবংগ থেকে প্রতি বছর আর কেন্দ্র অনুদান দেয় ৬-৭ হাজার কোটি টাকা পঃবঙ্গকে। গত ১৪/১৫ অর্থ বছরে পঃবঙ্গে কেন্দ্রে শুল্ক আর সুদ দিয়ে মোট আয় মাত্র ৩০ হাজার কোটি টাকা। এবার বুঝলি স্বাধীনতা কি???? স্বাধীনতা ঐ কেন্দ্র ৪০ হাজার কোটি টাকা শুল্ক... স্বাধীনতা ঐ সুদ। কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের রেলমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দোপাধ্যায় এর আমলে ২০০০ সালে পঃবঙ্গের মধ্যে চালু ট্রেনগুলির যাত্রী টিকিট, এবং যাত্রী সংরক্ষণ-তালিকা সহ সর্বত্র আগে যেখানে বাংলা ও ইংরেজি ছিল, সেখানে বাংলাভাষা মুছে হিন্দি বসিয়ে দেওয়া হয়। যাত্রীদের ৯৯% বাঙালি। যারা হিন্দি বা ইংরেজি জানেনা তাদের খুবই অসুবিধা সৃষ্টি হল। অসুবিধা ছাড়াও বাংলার মধ্যে বাংলা ভাষা জোর করে তুলে দিয়ে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া বাঙালির আত্ম-সম্মানে চরম আঘাত করা হল তা ও তোরা বুঝলি না। নিজেদের বুঝ বোঝ, পরে বাংলাদেশ নিয়ে গালি দিস, তোদের কপালে চরম অস্মমান আসছে, প্রস্তুত হ,যে ভাবে গুজরাটি, মাড়ওয়ারি,তোদের বাবসা বাণিজ্য দখল করছে, তাতে হয়তো কেন্দ্রই একদিন বলবে কলকাতায় কোনদিন বাঙালি ছিল না!
(০৩) একমাত্র হিন্দুস্থানেই বুঝি তা সম্ভব। গোমাতার বদলে একের পর এক মানুষ হত্যা।
এবার ভারতে ২ মুসলিম গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা, করল হিন্দুরা ।
ইন্ডিয়ার ঝাড়খণ্ডে দুই মুসলিম গরু ব্যাবসায়ীকে পিটিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে হত্যা করল হিন্দু চরমপন্থীরা।ঝাড়খন্ডের লাটিহার জেলার এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।নিহতের নাম মজলুম আনসারী (৩৫)।তার সাথে থাকা ১৩ বছরের বালক ইমতিয়াজ খানও তাদের নির্মমতা থেকে রেহায় পায়নি।গত শুক্রবার সকালে তারা দুইজন ৮ টি মহিষ নিয়ে যাবার সময় হিন্দু চরমপন্থীরা তাদের আটক করে তাদের উপর লোহমর্ষক নির্যাতন চালায়।নির্যাতনের পর লাটিহার জেলার বালুমাথ এলাকায় তাদের গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়।তাদের হাত শক্ত করে বাঁধা ছিল এবং মুখে কাপড় পেঁচানো ছিল।এক পুলিশ অফিসার টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান,'নির্যাতনের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে তাদের উপর মারাত্মক নির্যাতন চালানো হয়েছে।এলাকাবাসী জানায়,'হত্যাকারীরা হিন্দু চরমপন্থী গ্রুপের অনুসারী।'
নিহতের পরিবার হিন্দুস্থান টাইমসকে জানায়,তারা দুজন শুক্রবার ১০-১২ টি গরু ও মহিষ নিয়ে তুতিলওয়ার এলাকার বার্ষিক গরু-মহিষের হাটে বিক্রি করতে নিয়ে যায়।কিন্তু ভোর চারটা থেকেই তাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।পরে স্বজনেরা তাদের মৃত্যুর খবর পায়।
ইন্ডিয়ার এ ধরণের হত্যাকাণ্ড এবারই প্রথম নয়।কয়েকমাস আগে উত্তর প্রদেশের দাদরিতে গরুর গোশত খাওয়া এবং তা বাসায় রাখার মিথ্যা গুজব রটিয়ে মুহাম্মদ আখলাক নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।এই হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর জেলায় গরু পাচারকারী সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নোমান (২০) নামে এক মুসলিম ট্রাক চালককে।গো-হত্যার গুজবে জম্মু-কাশ্মীরের জাহিদ রাসুল বাটকে (২৩) পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা করে হিন্দু উগ্রপন্থীরা।ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুরে গরু চুরির মিথ্যা সন্দেহে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাসমত আলীকে পিটিয়ে হত্যা করে উগ্রহিন্দুরা।এছাড়াও গো-মাংস রাখার অভিযোগ তুলে প্রতিনিয়ত হয়রানি করা হচ্ছে ইন্ডিয়ার মুসলিম ধর্মালম্বীদের।"
তবে,
গরুর গোশত রপ্তানীতে বিশ্বে ১ নম্বর গো-ভারত {http://goo.gl/nhnb0D}
....এই শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে ভারতে
গরুর মাংস রাখায় প্রতিবেশীরা পিটিয়ে হত্যা করল আখলাখকে {http://goo.gl/XW9IIS}
গরু হত্যার গুজবে জাহিদকে জীবন্ত পুরিয়ে হত্যা {http://goo.gl/Cwwfyl}
গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মুসলিম প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা{http://goo.gl/yeVUoC}
গরু পাচারের দায়ে এক মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা {http://goo.gl/piVJkM}
মুসলিম যুবককে গরু জবাই করার অপরাধে রক্তাক্ত করে শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ানো
http://goo.gl/KgcFRP,https://goo.gl/9w0ZKd,https://goo.gl/UHRyFs
গোহত্যার অপবাদে জাতীয়-ক্রিকেটার সামির ভাই কারাগারে{http://goo.gl/WT8H5t}
'গোহত্যার' গুজবে মুসলিমদের ওপর সশস্ত্র হামলা {http://goo.gl/eo3GC5}
>>>আরো প্রায় ৫০ টির মত খবর আছে গো-কেন্দ্রিক যার ভিক্টিম শুধু মুসলিমরা >>>
ভারতকে ইচ্ছা করলে এখন গো-দেশ ডাকতে পারেন কারন গরুর নিরাপত্তা সব কিছুর উর্দ্ধে । আর সাবেক মন্ত্রী শশী থারুর বলেই দিয়েছেন "ভারতে একটা মুসলমানের চেয়ে গরুর জীবনের মূল্য বেশি "{http://goo.gl/dg5DxP}