somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালবাসা রক্ষার ১০১ উপায়

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গুরু বলেছেন, ভালবাসা অর্জন করার চাইতে ভালবাসা রক্ষা করা কঠিন। আজকালকার সম্পর্কগুলো খুব অল্পতেই ভেঙ্গে যাচ্ছে। চারিদিকে দুঃখী মানুষের ছড়াছড়ি। চারিদিকে দুঃখ। বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে এমন দুঃখের মাঝে সুখ আনতে, ভালবাসার সম্পর্ককে এক্সাইটিং এবং ফেবিকলের জোড় দিতে আমি এনেছি ১০১ টি অব্যর্থ আইডিয়া।

১. মুগ্ধ করুন শুরু থেকেই। কারো প্রতি একবার মুগ্ধতা এসে গেলে তা চক্রবৃদ্ধিকারে বাড়তেই থাকে। একসময় দেখা যায় আপনি হাঁচি দিলেও সে মনে মনে ভাবছে, ইশ মানুষটা কি সুন্দর করেই না হাঁচিটা দিল।

২. বিশ্বাস সহজে ভাঙ্গবেন না। 'বিশ্বাস হল কাঁচের মত; খুব অল্পতেই ভেঙ্গে যায়' কথাটা একেবারেই ভুল। বিশ্বাস হল ইস্পাতের মত যা খুব সহজে ভাঙ্গে না কিন্তু একবার ভেঙ্গে গেলে খুব সহজে জোড়াও লাগে না। মানুষ আবেগে পড়ে বিবেক হারিয়ে বিশ্বাস ভাঙ্গার মত ভুল করে ফেলে। ভুল করে ফেললে স্বীকার করুন। ক্ষমা চান। প্রতিজ্ঞা করুন আর কখনো বিশ্বাস ভাঙ্গবেন না। কিন্তু মনে রাখবেন, একবার অন্যায় করলে ক্ষমা পাওয়া যায়। দুইবার অন্যায় করলেও ক্ষমা পাওয়া যায়। কিন্তু তৃতীয় বার অন্যায় করলে খোদ সৃষ্টিকর্তাও ক্ষমা করেন না। সে তো একজন সামান্য মানুষ।

৩. কম্প্রোমাইজ করুন। পৃথিবীর প্রতিটা মানুষ ইউনিক। সে আপনার মত নয়। আপনি তার মত নন। তবে আপনাদের মাঝে কিছুটা মিল আছে বলেই আপনাদের সম্পর্ক হয়েছে। তাকে শতভাগ আপনার মনের মত করার চেষ্টা করবেন না। বরং নিজেকে তার মত করার চেষ্টা করুন। দেখবেন সেও আপনার মত হবার চেষ্টা করছে। ভালবাসার টানেই করছে।

৪. ঝগড়া করুন। অভিমান করুন। কিন্তু রাগ করবেন না। রাগ করে দূরে ঠেলে দেবেন না। কথায় আছে চোখের আড়াল তো মনের আড়াল। অভিমান করে তাকে জানিয়ে দিন, আমি অভিমান করেছি। জানাতে অথবা বোঝাতে থাকুন। আজ, কাল অথবা পরশু সে অভিমান ভাঙ্গাবেই। মনে রাখবেন, অভিমান ভেঙ্গে গেলে ভালবাসা বাড়ে কিন্তু রাগ ভেঙ্গে গেলেও বুকের মাঝে জমে থাকে ক্ষুদ্র একটুকরো ঘৃণা।

৫. বন্ধুত্ব করুন। আপনার ভালবাসার মানুষটি সবার আগে আপনার বন্ধু তারপর ভালবাসার মানুষ। যে মানুষটির সাথে আপনি সারা জীবন কাটাবেন তার চেয়ে বেস্ট ফ্রেন্ড কি আর কেউ হতে পারে? তাকে বেস্ট ফ্রেন্ড ফরেভার বানান। তার সাথে সবকিছু শেয়ার করুন। গল্প করুন। আড্ডা দিন। খোঁচাখুঁচি করুন অথবা প্রান খুলে হাসুন। তার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে যান। কারন একজন প্রকৃত বন্ধুই বোঝে প্রকৃত ভালবাসার প্রকৃত অর্থ।

৬. পুরনো সম্পর্কের জের টানবেন না। বলা হয়ে থাকে শতকরা ৯০ ভাগ প্রথম প্রেম পরিণতি পায় না এবং শতকরা ৯০ ভাগ পরিণত প্রেম ভেঙ্গে যায় পুরনো সম্পর্কের জের টানার ফলে। আপনার প্রথম প্রেম হয়ত পরিণতি পায় নি। আপনি কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু সে কষ্টের বয়ান বারবার নতুন প্রেমিককে করবেন না। একজন আপনার হৃদয় ভেঙ্গেছে বলেই সে আপনার জীবনে এসেছে আপনার ভাঙ্গা হৃদয়কে জুড়ে দিতে। তাকে সুযোগ দিন। ভালবাসুন। এবং কৃতজ্ঞ থাকুন।

৭. ধন্যবাদ দিন। প্রিয়জনকে আপনার জীবনে আসার জন্য ধন্যবাদ দিন। যে মানুষটা আপনার জন্য কেয়ার করে, আপনাকে ভালবাসে, আপনার যত্ন নেয়, আপনার সুখ দুঃখে সাথী হয় সে কি একটা ধন্যবাদ পেতে পারে না?

৮. খেয়াল রাখুন, খবরদারি করবেন না। কেয়ার করুন, চাপিয়ে দেবেন না। এটা করবে না, ওখানে যাবে না, এই ড্রেস কেন পড়েছ এই সব মিষ্টি কেয়ারের মত মনে হলেও এক সময় বিরক্তিকর হয়ে যায়। কারো সাথে সম্পর্কে জড়ানোর এই অর্থ নয় তার মালিকানা আপনি অর্জন করেছেন। তার নিজস্ব স্বাধীন স্পেসটাকে বন্ধ করে দেবেন না। অধিকার খাটান। কিন্তু সবসময় নয়। সময়মত পরে বুঝিয়ে দিন ব্যাপারটা আপনার ভাললাগেনা। সে বুঝবে।

৯. চোখে চোখ রাখুন। তাকিয়ে থাকুন অপলক। জিজ্ঞেস করলে বলুন, 'তোমাকে দেখি। অযথাই ভাললাগে তোমাকে। শান্তি শান্তি লাগে।'

১০. দুজনের প্রিয়গান শুনুন। হেডফোন শেয়ার করুন। গান শুনতে গিয়ে কপালে কপাল ঠুকে গেলে বলুন, আরেকবার ঠুকে দাও নইলে শিং গজাবে। :-P

১১. চিঠি লিখুন। ছোট ছোট চিঠি। তার ব্যাবহার্য জিনিশের মধ্যে লুকিয়ে রাখুন। হঠাৎ খুঁজে পেয়ে সারপ্রাইজড হবে। ভালবাসা বাড়বে।

১২. গিফট দিন। গিফট যে দামী হতে হবে এমন কোন কথা নেই। ফুতপাতের একগাছা লাল চুড়ির মূল্য ও কিন্তু হাজারটাকা দামের পোষাকের চেয়েও বেশি।

১৩. প্রশংসা করুন যখন সে নিজেকে হীনমন্য বা অসুন্দর ফিল করে। তাকে জানিয়ে দিন, সে যেমনই তেমনই আপনার। তাতে আর কারো কিছু এসে গেলেও আপনার কিছুই যায় আসে না।

১৪.পাবলিক প্লেসে থাকলে কানে কানে ফিসফিস করে বলুন, আমি তোমাকে ভালবাসি।

১৫. একসাথে ছবি তুলুন। শুধুই নিজেদের। অথবা দুজন দুজনার। মজা করুন ফানি ফানি ছবি তুলে।

১৬. তার প্রিয় গল্পের বই পড়ে শোনান।

১৭. হঠাৎ করেই ম্যাসেজ পাঠান যখন সে আপনার পাশে থাকে। ম্যাসেজে লিখুন, ভালবাসি।

১৮. জন্মদিন, স্পেশাল দিন মনে রাখার চেষ্টা করুন। আপনি যদি ভুলোমনা হোন তাহলে ফোনের রিমাইন্ডার ইউজ করুন।

১৯. তার হাতে হাত রাখুন, তারপর তার হাত নিয়ে নিজের হৃদয়ের উপর রেখে বলুন, এটা চলছে শুধুই তোমার জন্য। (ছেলেদের জন্য :-P)

২০. ক্ষমা করুন দ্রুত। অভিমান বেশিদিন পুষে রাখবেন না। অভিমান বেশিদিন পুষে রাখলে সেটা আর অভিমান থাকে না। জিদ হয়ে যায়। জিদ ভালবাসা খেয়ে ফেলে পড়ে থাকে শূন্যতা।

২১. দুজনের পুরনো রোমান্টিক স্মৃতিগুলো নিয়ে কথা বলুন। প্রেমে পড়ার প্রথম দিনের গল্পটা কখনো পুরনো হয়না।

২২. সেলফি তুলুন এবং তাকে পাঠিয়ে দিন যখন আপনি দূরে। বলুন ছবিটা শুধু তার জন্যই তুলেছেন। মিস করছেন খুব।

২৩. পাশে বসুন। রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফেতে সামনা সামনি বসার চাইতে পাশা বসাটা তাকে অনেকটাই আপনার উপর নির্ভরশীল করে দেয়।

২৪. মিষ্টি একটা পোস্ট লিখুন তার ফেসবুক ওয়ালে। সবাইকে জানতে দিন আপনার অনুভূতি। ভালবাসা লুকিয়ে রাখার জিনিস নয় জানিয়ে দেবার জিনিস।

২৫. তার নাম নিয়ে ডুডল করুন। কারো নাম যদি হয় ফারিয়া তাকে মিষ্টি করে ফারু ডাকতে পারেন। সালমানকে সাল্লু।

২৬. তার পছন্দের রং জিজ্ঞেস করুন। এবং সেই রং এর ড্রেস পরে চমকে দিন।

২৭. দুজন একসাথে প্রার্থনা করুন। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিন নিজেদের জীবনে ভালবাসা দান করার জন্য।

২৮. ফোন বন্ধ বা সাইলেন্ট রাখুন যখন অনেকদিন পর দুজনার দেখা হয়। সময়টা পুরোপুরিভাবে তাকে দিন।

২৯. ইনডোর গেম খেলুন একসাথে। দাবা, সাপলুডু বা কাটাকুটি। মাঝে মাঝে তাকে জিতিয়ে দিন। সবাই জিততে ভালবাসে।

৩০. হাসুন একসাথে। কাঁদুন একসাথে। আবেগ প্রকাশ করুন। লুকিয়ে রাখবেন না।

৩১. ভুল করলে ব্লেইম করবেন না। বুঝিয়ে বলুন। অপরাধবোধ জাগিয়ে তুলুন। সে আর কখনো ভুল করবে না। সরাসরি বলবেন না। একজন খুনিকে খুনি বললেও তার রাগ হয়।

৩২. নতুন কিছু একসাথে শিখুন। কম্পিউটার কোর্স অথবা ইংরেজি লেসনস। কিংবা আর্ট। কমপ্লিমেন্ট নিন। কমপ্লিমেন্ট করুন।

৩৩. প্রতিদিন দুই লাইন হলেও তাকে নিয়ে ডায়েরীতে লিখুন। শুধু ভালবাসার কথাই লিখবেন এমন নয়। অভিযোগ, অভিমান, দুঃখ সবটাই লিখুন। বছর শেষে জন্মদিনে ডায়েরিটা তাকে উপহার দিন। তাতে কিন্তু অনেক না বলা কথাই বলা হয়ে যায়।

৩৪. কিছুটা সময় নিরবতা পালন করুন একসাথে। সব সময় তো কথা বলেন। কিছুটা সময় দুজনে একসাথে নিরবতাকে উপভোগ করুন। নিরাবতাও কিন্তু অনেক কথা বলে দেয়।

৩৫. কথা শুনুন মনোযোগ দিয়ে। কথা বলুন অনেক। মেয়েরা স্বভাবতই অনেক কথা বলে ছেলে স্বভাবতই কম কথা শোনে। মনে রাখবেন একজন মনোযোগী প্রেমিক হল একজন বেস্ট বান্ধবির মত। যাকে যখন তখন যে কোন গসিপ বলে দেওয়া যায়।

৩৬. একে অন্যকে মজার মজার নামে ডাকুন। বাবু, টুনু, কুচিপুচি থেকে শুরু করে ইঁদুর, বিলাই, শিয়াল, গাধা, কাক টাইপের মিষ্টি মিষ্টি নাম দিয়ে ফেলুন।

৩৭. পজেটিভ ও নেগেটিভ কথার মাঝে সমতা রাখুন। তার সম্পর্কে তিনটে নেগেটিভ কথা বললে পাঁচটা পজেটিভ কথা বলুন। ভাল মন্দ সবার মাঝেই থাকে। সব সময় ভালোটাকে হাইলাইট করুন।

৩৮. তার ছোটবেলা সম্পর্কে জানুন। প্রতিটা মানুষই তার ছোটবেলা সম্পর্কে গল্প করতে পছন্দ করে।

৩৯. তাকে বলুন, সে আপনাকে কমপ্লিট করেছে। আপনাকে বানিয়েছে একজন পরিপূর্ণ মানুষ।

৪০. রাগ নিয়ন্ত্রন করুন। রাগের মাথায় কোন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন না। বিষয় তুলে রাখুন। রাগ কমলে আলোচনা করুন। রাগ ভালো ভালো সম্পর্ককেও শেষ করে দেয়।

৪১. সরি বলুন যদিও আপনার দোষ নেই অথবা কম। আপনার সরি তাকে লজ্জিত করবে। সে আর কখনো ভুল করতে চাইবে না।

৪২. নিজের একটা সিক্রেট তাকে বলুন। তাকে জানান আপনি তাকে বিশ্বাস করেন পৃথিবীর সবার চেয়ে বেশী।

৪৩. তার প্রিয় খাবার রান্না করে তাকে দিন। খাবার কেমন রান্না হল সেটা বিষয় নয়। আপনি তার জন্য রান্না করেছেন সেটাই বড় বিষয়।

৪৪. ফোনে কথা শেষ করে তাকে ফোন কাটতে দিন। অপেক্ষা করুন। যদিও আপনি ফোন দিয়েছেন।

৪৫. তার ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে ভাল সম্পর্ক তৈরী করুন। বড়দের জানাতে না চাইলেও ছোট ভাইবোনদের সাথে মজার মজার কথা বলুন। তার ফ্যামিলিকে ভ্যালু করুন।

৪৬. ঘুম থেকে ওঠার পর তাকে একটা ফোন করুন। শুভ সকাল জানান। প্রতিদিন।

৪৭. তার কাজগুলো মনে রাখুন। এবং সময়মত তাকে মনে করিয়ে দিন।

৪৮. বালুতে তার নাম লিখুন এবং তার নামের পাশে নিজের নাম জুড়ে দিয়ে হার্ট আঁকুন।

৪৯. ফুল দিন। যখনি সুযোগ পাবেন ফুল কিনুন তার জন্য। গুরু বলেছেন, যদি পাও তব একটি টাকা খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি, যদি পাও তব দুইটি টাকা ফুল কিনিও প্রিয়ার লাগি।

৫০. তার ছবি মোবাইল বা ডেক্সটপের ওয়ালপেপারে দিন। সে দেখলে খুশি হবে। ছবি দেওয়ার সমস্যা হলে শুধু তার চোখের ছবি ব্যাবহার করতে পারেন।

৫১. তার প্রিয় গানগুলোর একটা প্লেলিস্ট তৈরী করুন। তাকে উপহার দিন।

৫২. অনলাইনে রোমান্টিক কিছু পড়লে তার সাথে শেয়ার করুন। এবং তাকে বলুন, এর মাঝে আপনি তাকে খুঁজে পেয়েছেন।

৫৩. তার কাছ থেকে পাওয়া অনেক পুরনো ছবি গুলো জমিয়ে রাখুন। অনেক দিন পর তাকে দেখিয়ে চমকে দিন।

৫৪. ব্যাস্ততার ফাঁকে ফাঁকে তাকে ছোট্ট করে ম্যাসেজ করুন, মিস করছেন।

৫৫. তার জন্য নিজের কোন বদ অভ্যেস হঠাৎ করে ছেড়ে দিন। সিগারেট না খেলে মানুষ যেমন মারা যায় না পান না খেলেও মানুষ বেঁচে থাকে।

৫৬.দুজনমিলে একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলুন। তাতে প্রতিমাসেই দুজনে অল্পকরে কিছু টাকা জমান।

৫৭. দুজন দু অঞ্চলের হলে তার আঞ্চলিক ভাষা শেখার চেষ্টা করুন। অথবা তার ভাষায় তাকে কথা বলতে বলুন।

৫৮. মিস করুন। মিস করান। কিছুটা সময় কিছুটা দুরত্ব তৈরী করুন। তবে সাবধান! সব দূরত্ব সব সময় সুফল বয়ে আনে না।

৫৯. খুঁজে বের করুন তার দশটি বিষয় যা আপনার ভাললাগে। তাকে জানিয়ে দিন সেটি।

৬০. তাকে ভালবাসুন সারাজীবন কাছে পাবার জন্যই। একসাথে থাকতে পারবেন না জেনেও সম্পর্ক চালিয়ে যাবার কোন মানে হয়না।

৬১.সবসময় সৎ থাকুন। ধোকা দেবেন না। সামান্যপরিমাণেও না। সত্য বলুন। কারন নির্মম সত্য ক্ষমার যোগ্য হলেও মিথ্যা সব সময় ক্ষমা করা যায় না।

৬২. প্রমিজ করুন সেটাই যেটা রাখতে পারবেন। যেটা রাখতে পারবেন না এমন প্রমিজ কখনই করবেন না।

৬৩. তার ফেসবুকের সব ছবিতে লাইক দিন। এমনকি সেটা যদি বিড়ালের ছবিও হয় :-P

৬৪. ফানি হোন। মজা করুন। নিজে হাসুন। তাকেও হাসান। হাসলে মন ও ভালবাসা দুটোয় ভাল থাকে।

৬৫. পুরনো ঝগড়ার কথা তুলবেন না। যেটা আগেই মিটমাট করে ফেলেছেন সেটাকে সেখানেই ছেড়ে দিন।

৬৬. স্বপ্ন দেখুন। স্বপ্ন দেখান। আর স্বপ্ন পূরনের জন্য দুজনে মিলেই চেষ্টা করুন।

৬৭. হঠাৎ করেই তাকে বলুন, তোমাকে আমার ভাললাগে। ভাল্লাগে তাই ভাললাগে। কোন কারন ছাড়াই।

৬৮. তার কাছ থেকে নতুন কিছু শিখুন যেটা আপনি জানেন না। সেটা রান্না হতে পারে হতে পারে রূপচর্চা।

৬৯. জেলাস হবেন না। তাকে জেলাস ফিল করাবেন ও না। কারন ভালবাসায় সবকিছু সহ্য করা যায়। তৃতীয়পক্ষকে কোনভাবেই সহ্য করা যায় না।

৭০. মাঝে মাঝে শিশু হয়ে যান। বাচ্চাদের মত খোঁচাখুঁচি করুন। লাফালাফি করুন একসাথে। হাসুন প্রান খুলে।

৭১. একে অন্যকে সাহায্য করুন। তার হোমওয়ার্ক করে দিন। অথবা তার কোন কাজে হেল্প করুন।

৭২. ছুঁয়ে দিন। তার চুল, কপাল, গাল অথবা ঠোট। অথবা শুধুই হাত। (বেশি ছোঁয়াছুঁয়ি না করাই ভাল :-P)

৭৩. একসাথে চাঁদ দেখুন। দূরে থাকলে ফোন দিয়ে বলুন, দেখ তোমার আকাশেও চাঁদ আমার আকাশেও চাঁদ। দূরে থেকেও আমরা এক আকাশের নিচেই কতটা কাছে।

৭৪. সব সময় সন্দেহ নয়। মাঝে মাঝে সন্দেহ করুন। তাকে জানিয়ে দিন, আমি কিন্তু তোমায় দেখছি! হু!

৭৫. কখনই রাগের মাথায় গালি দেবেন না। একটি গালি সারাজীবনের কান্না।

৭৬. তার বন্ধুবান্ধব এবং পরবিবার পরিজনের খোজ খবর রাখুন। সবার নাম মনে রাখার চেষ্টা করুন।

৭৭. তাকে বলুন, তুমি আমার চাহিদা নউ তুমি আমার প্রয়োজন।

৭৮. জড়িয়ে ধরুন। sometimes a good hug solves every problem.

৭৯. তার জন্য গান গাইবার চেষ্টা করুন। আপনার হেড়ে গলার গান হলেও সে খুশি হবে। হবেই।

৮০. নিজের যত্ন নিন। স্মার্ট থাকুন। যাতে সে আপনাকে নিয়ে সবার সামনে গর্ব করতে পারে।

৮১. একসাথে হাটুন। রাস্তা পার হবার সময় তার হাত ধরতে ভুলবেন না।

৮২. তার পছন্দ করা পারফিউম ব্যাবহার করুন। অথবা কেনার সময় তার সাজেশন নিন।

৮৩. হেয়ার স্টাইল বা পোশাক কেনার সময় তার পছন্দকে প্রাধান্য দিন।

৮৪. মেয়েরা সাজগোজ করুন তার জন্য তার মত করে। কারো খোলা চুল পছন্দ হতে পারে, কারো পছন্দ হতে পারে হিজাব। খেয়াল রাখুন। তার মতামতকে মূল্য দিন।

৮৫. ফেসবুক, হোয়াটস এপে সব সময় প্রতিমুহূর্ত ম্যাসেজ করবেন না। মাঝে মাঝে করুন। অতিরিক্ত ভালবাসা অতিরিক্ত অত্যাচারের মত। তারও বন্ধু বান্ধব আছেন। তাদের জন্য তাকে সময় দিতে দিন।

৮৬. একদিন কথা বলতে বলতে রাত ভোর করে ফেলুন। কিংবা গলা ব্যাথা করে ফেলুন। স্মৃতির পাতায় জমে যাবে সেটা। ভালবাসার কালিতে লেখা।

৮৭. মাঝরাতে ফোন দিয়ে ভূতের ভয় দেখান। তারপর ভালবাসা দিয়ে ভূতের ভয় দূর করে ঘুম পাড়িয়ে দিন। :-P

৮৮. চকলেট দিন। অনেকগুলো ছোট বড় মিশিয়ে। বিশেষ দিনে। অথবা অযথাই।

৮৯. তাকে বলুন, আপনি তার জন্য যে কোন কিছু করতে পারবেন। এমনকি মরতেও।

৯০. তার ছবি আঁকুন। অথবা কাউকে দিয়ে আঁকিয়ে নিয়ে তাকে উপহার দিন।

৯১. সম্মান করুন। কখনো অপমান করবেন না। ভালবাসার অপমান বড্ড গায়ে লাগে। দাগ থেকে যায় সারাজীবন।

৯২. সারপ্রাইজ দিন সবসময়। চমক পেতে চমকে যেতে সবাই ভালবাসে।

৯৩. তাকে বলুন, তোমার ভয়েস মোহনীয়। শুনলে মনে হয় হাওয়ায় ভাসি। শুন্যে হারিয়ে যাই। শুধু তোমার টানেই ফিরে আসি।

৯৪. তার মূল্যবোধ, চিন্তাচেতনাকে ভ্যালু দিন। তার রাজনৈতিক মতাদর্শকে বিশ্লেষন করুন আলোচনার মাধ্যমে। ভালমন্দের বিবেচনা তাকে নিয়েই করুন।

৯৫. তার প্রিয় টিভি শো দেখুন। বোরিং হলেও দেখুন। কিছুটা সময়।

৯৬. তাকে নিয়ে কবিতা লিখুন। পড়ে শোনান। কবিতার ছন্দ মিললেই হল। সে আপনাকে জাজ করবে না কখনই।

৯৭. নিজেদের বাচ্চাদের নাম ঠিক করুন দুজনে মিলে।

৯৮. ঠিক করুন অনাগত সংসারে কি কি করবেন। বেডরুমের দেয়ালের রং থেকে শুরু করে ড্রইংরুমের শোপিসের প্লান করে ফেলুন মজা করতে করতেই।

৯৯. প্রতিদিন একবার হলেও বলুন ভালবাসি। I love you বলাত চেয়ে ভালবাসি অনেক সুন্দর শোনায়।

১০০. মাঝে মাঝে স্টুপিডের মত কাজ করুন। তার কাছ থেকে বুদ্ধুটা বোকাটা শোনাতেও সুখ।

১০১. ভালবাসুন মনের গভীর থেকে। জোর করে মনের বিপরীতে ভালবাসা হয়না। সত্য ভালোবাসুন। এমনভাবে ভালবাসুন যেন শত বাধা বিপত্তি কোন কিছুই এই ভালবাসাকে হার না মানাতে পারে।


এতকিছুর পর ও যদি কেউ চলে যেতে যেতে চায় তাহলে তাকে যেতে দিন। গুরু বলেছেন, 'তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।' সর্বনাশ হবার আগেই কেটে পড়ুন।

হ্যাপি ভালবাসা দিবস। :-P.
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×