somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিভাবে মানুষ হত্যা করতে হয় দেখুন, তদন্ত দেখুন আর দেখুন আপনার আমার ভবিষ্যৎ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১ নং এ দেখুন রক্তাক্ত দেহ দুটির পাশে একটা সিগেরেটের গোড়া পরে আছে, পা গুলো কিভাবে বাঁধা, রক্ত জমে থাকা একটা স্লিপার দেখুন, রুনির কমোরে ছুরি চালানোর আংশটা দেখুন, ৫ নংয়ে বাঁচার শেষ চেষ্টায় রক্তে আঁকা সাগরের ভাষাটা বুঝুন, ৬ এ কি যেন একটা দেখুন, ৭'তে রক্তে জুতার ছাপ আর রাষ্ট্রের মুখ দেখুন।সুরতহালে আরও অনেক কিছু দেখার আছে।কতটা নিশংস ভাবে আয়েস করে খুনির খুন করেছে দুইটি মানুষকে ? কোন জন্তু জানোয়ারকে এভাবে জবাই করা হয় এমন বর্ননা কোন গল্পেও পড়িনি।

আপনাদের কি মনে হয় সামান্য পারিবারিক কোন কারনে ৩৬ ও ৩২ বছর বয়সের এক জোড়া নর নারীর এমন বিভৎস ভাবে খুন হওয়া কোন যুক্তি থাকতে পারে, এই সমজে ? কোথায় যেন দেখলাম পুলিশ বলছে, সাগর যখন জার্মানীতে, তখন রুনির কারো সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল ! বাঙালীকে কি এত উন্মাদ বা আহাম্মক মনে হয় আপনাদের, যে এরকম একটা বিভৎস হত্যাকান্ডের মোটিভেশন এরকম তুচ্ছ কোন কারন থেকে আসতে পারে, যদিও সত্য হয় ? আমার তো মনে হয় বাঙালী খুবই "টেডন" বা চতুর একটি জাতি।এর কর্মের সমরুপ কার্যকারন থাকে, স্বার্থ।

এর পেছনে, কিছু না কিছু কারো না কারো কোন না কোন স্বার্থ আছে।ছবিটার দিকে আবার দেখুন! মানুষের ইন্টুশন বলে একটা ইনস্টিংন্ট আছে, যা দিয়ে প্রথম দর্শনেই ঘটনা সম্পর্কে মন একটা সিদ্ধান্ত নেয়, যা পরে হয়তো ইতস্ততায় হারিয়ে যায়।কিন্তু সত্য লুকানো থাকে সেই প্রথমে মনে হওয়ার মধ্যই, যদিও প্রতিষ্টিত হয় মাথার যুক্তিতে, অন্য কিছু।এই খুনের দৃষ্যটিই বলছে, এর গভীরতা অনেক।খেয়াল করুন হত্যাকান্ডটি কতটুকু চাঞ্চলকর ? সাগর এখানে বলির পাঠাও হতে পারে অথবা সাগর কঠোর গোপনীয় কিছু জেনে গিয়েছিল ? খেয়াল করুন ঘটনাটি থেকে কেউ বা কোন গোষ্ঠি লাভবান হচ্ছে কিনা ? এমন অনেক পয়েন্ট ভাবুন! বাংলাদেশের মানুষকে আমার এতটা বোকা মনে হয় না, এদের কর্মের প্রকাশ স্বার্থের উপর নির্ভর করে প্রকাশ পায়।এই খুনের ডেমন্সট্রেশনটি দেখুন, কত গভীর হতে পারে এর অন্ত কারন ? চলুন পল্টি মারি!

আর এদিকে পুলিশ বলছে তাদের তদন্ত চুড়ান্ত পর্যায়ে।এখন ট্যানিক্যল কারনে কিছু বলা যাচ্ছে না, তদন্তের স্বার্থে।এখানে জাতিকে বরাবরের মত আবার হাইকোর্ট দেখানো হচ্ছে।এ অস্ত্রটিই চতুর হলেও বুদ্ধি জ্ঞানহীন বাংঙালী সব সময়ই বড় ভয় পায় ও মানে।বলেন তো এতো চুপিচুপির কি আছে।বর্তমান আধুনিক যুগে তদন্ত বিচার সব হবে ওপেন প্রকাশ্য, জনগণকে সাথে নিয়ে, পালাবে কোথায়, জঙ্গলতো আর নেই, যুগটাও আদিম যুগ না।

যাক, তদন্ত কোথায় যাচ্ছে বুঝা যাচ্ছে না, আর বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থাও হীমাংকের নিচে।গত বিশ বছরের রেকর্ডে একটি মামলাও নিরপেক্ষ তদন্তের নজির পুলিশের নাই।হয় টাকা, না হয় প্রভাব এই দুইটা ছাড়া পুলিশ আসলে কনো কাজই করতে পারে না।আজ কাল খেয়াল করে দেখবেন, ছোট্টো শিশুরা যখন এটা কি, ওটা কি বলতে শেখে তখন পিতা মাতারা তাদের দুইটা জিনিষ একই প্রকার গুরুত্ব নিয়ে শেখায়, এক কুত্তা, দুই পুলিশ।

ব্লগাররা এক কাজ করতে পারেন, সাগর রুনির পরিবারের পার্মিশন নিয়ে ওদের ফেইসবুক হ্যাক করে সেখানে ও আরও অন্যান্য সার্ভারের ওদের রাখা বিভিন্ন ডাটা পরিক্ষা করে দেখা যেতে পারে! ঘটনাটির পর কোথায় এক জায়গায় লিংক পেয়ে সাগরের ফেইসবুক টাইম লাইন প্রফাইলে দেখেছিলাম সাগর ফেইসবুক এ্যাকাউন্টটি খুলেছিল ২০০৭ সালে নভেম্বর মাসে, ওর প্রথম স্ট্যাটাসটি ছিল "Hello"

আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি সাগর রুনির ফেইসবুক এ্যাকাউন্টটি একবারের জন্যও দেখেছে ? তিনি কি এটা গুরুত্বপূর্ন মনে করেন না ? বর্তমান আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সাগর রুনির মত স্মার্ট শিক্ষিত তরুনদের ব্যক্তিগত ও প্রফেশনাল এ্যাকটিভিটির একটা বড় অংশই যে নেটে থাকবে, তাকি "৩৬০ টি শয়তান মরে জন্ম নেয়া ১ টি উকিল" সাহারা খাতুন আন্দাজ করতে পারেন ? উনি কি মোবাইলের নম্বর সেইভ করতে জানে ? মোবাইল ফোনবুক থেকে নাম বের করে কল দিতে জানে ? এত মূর্খ হয়েও তিনি কিভাবে বললেন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হবে ? উনি কি জনগণের সাথে মসকরা বা ফাইজলামী করলেন ? আচ্ছা এরকম চেহারা, ব্যক্তিত্বের, যোগ্যতার একটা মহিলা কিভাবে বাংলাদেশের মত জটিল একটা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয় ? আমাদের দল দুইটি কি দেশটাকে রাজতন্ত্র পেয়েছে যে ক্ষমতায় গিয়ে বাড়ির বিশ্বস্ত আয়া বুয়াকেও মন্ত্রী, উপদেষ্টা, চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে দেবে ?

অন্যসব বাদ দিলাম, ৪৮ ঘন্টার এই ফাইজলামী বা মসকরার জন্যই তাকে এই মুহুর্তে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে অপসার করে তার নেত্রীর প্রধান পাচকের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।

ভাবছেন এত কঠোর ভাবে, কি ভাবে বলছি ? এই যে পুলিশকে গালি দিচ্ছি, সেও তো আমার ভাই, সেই তো ব্যাংকে গেলে সন্ত্রাসী ছাড়াই ডাকাতি করতো।আসলে দেখুন আপনার শরীরে আজ নানা জাতের বিষ ফোঁড়া একটা না, দুইটা না হাজার হাজার ফোঁড়া, সমস্ত অঙ্গে প্রতঙ্গে।একটা ফোঁড়ার পুজ বের করে নিরাময় হবে না, জাতির যন্ত্রনা কমবে না।লাগবে একটা মহাঔষধ, যে এক ঔষধেই সকল জ্বালার নিরাময় হবে।এখন সত্য সাহসের সাথে না বলার আর সুজোগ নেই।উপরে সাগর রুনির রক্তাক্ত দেহ গুলো আবার দেখুন।যে কোন সময় যেকোন স্থানে আপনারও এমন দশা হতে পারে, আপনার সন্তানের, ভাইয়ের, বোনের, মায়ের, বাবার, প্রতিবেশির একদিন পুরো জনগণের, কোন কারন ছাড়াই, এমনি।নিজে বাঁচার জন্য হলেও সত্য ও আলো ছাড়া অন্য কোন পথ নেই আপনার আমার সকলের সামনে।আপনি আপনার সন্তান ১৫ কোটি জনগণের কোন ভবিষ্যৎ নেই এই রাষ্ট্র ব্যবস্থায়।

বাংলার পরিবর্তনের একমাত্র পথ, সত্য, আলো, উন্মুক্ত, ওপেন ছারা আর কোন পহ্থায় সম্ভব না।শুরু আপনাকে করতেই হবে কোথাও না কোথাও, তবে আর ভুলপথে যাওয়ার টাইম নেই।খসড়া কোন ঘোষনাপত্র নিয়ে হলেও এবার আপনার নিজেকেই শুরু করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৩
৩৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×