একটি প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। আমেরিকা হঠাৎ কেন এমন দুধের ধোয়া হয়ে মানবাধিকার আর গনতন্ত্রের নামে হাসিনাকে সরাতে চায়? এতে আসলে আমেরিকার কি লাভ? বাংলাদেশে গনতন্ত্র থাকুক না থাকুক তাতে আমেরিকার কি?
আর যেখানে একটু সিগনাল পেলেই হাসিনা দৌড়ে গিয়ে বাইডেনের কোলে চড়তে রাজি যেকোনো মূল্যে, সেখানে বাইডেন এই নিষধাজ্ঞার খেলা খেলছে কেন?
যেকোনো মূল্যে কেন? এই সেদিন ই তো হাসিনা অভিযোগ করলেন আমারিকা তার বাবা সহ তার পরিবারের সবাইকে মেরেছে, আমেরিকা সেন্ট মার্টিন দ্বীপ তার কাছে চায়। তার পরেও বাইডেনের সাথে মা, মেয়ে যেভাবে হাস্যজ্জল ছবি তুলে নেতা কর্মীদের কাছে বিক্রি করল, তাতেই মনে হচ্ছে। সেল্ফি কিন্তু মোদি বা মাঁখোর সাথে তোলে নাই
যাই হোক আসল কথায় আসি, বাইডেন কেন হাসিনাকে দত্তক নিতে চায় না।
এর পেছনে কারন তিনটি। প্রথম কারন, বর্তমান সরকার স্বৈরাচার হিসেবে দেশে বিদেশে খ্যাতি পেয়েছে। দেশের মধ্যেও এই সরকারের জনপ্রিয়তা নেই। গনতন্ত্র আর মানবাধিকারের জামা পড়ে আমেরিকা এই সরকারের সাথে হাটতে পারে না।
দ্বিতীয় কারন, উন্নয়নের নামে ক্রমাগত দূর্নীতি ও লুটপাটের নামে আওয়ামিলীগ সমর্থক ও সহযোগীদের পেট ভরাতে এদের প্রচুর টাকা দরকার। এরা সহজে বিনা হিসেবে টাকা পেতে পারে একমাত্র চিনের কাছ থেকে। আর চিনের টাকার উপর নির্ভরতা মানে চীনের প্রভাব বলয়ে ঢুকে যাওয়া। যা আমেরিকার ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির পরিপন্থী। রাশিয়া ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে বন্ধু রাষ্ট্রের তালিকায় স্থান দিয়েছে। যা আমেরিকার জন্য সুখকর নয়।
তৃতীয় কারন ভারত। আমেরিকা ভারতের রাশিয়ার সাথে বেশি মাখামাখি পছন্দ করছে না। যদিও ভারতকে আমেরিকার চীন বিরোধী শিবিরে প্রয়োজন। অন্যদিকে মোদি ভারতে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। এই সুযোগে আমেরিকা বাংলাদেশকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে ভারতকে হালকা একটু সাস্তি দিতে চাচ্ছে। ভারতকে বুঝাতে চাচ্ছে ইন্দো প্যাসিফিকে আমেরিকার সাহায্য ছাড়া ভারত এখনো দূর্বল। তার একা কিছুই করার ক্ষমতা নেই। সুতরাং ভারতের উচিত আমেরিকার সাথে হাতে হাত রেখে চলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯