বাংলাদেশের মত একটি জনবহুল দরিদ্র দেশে সরকারী চাকরিতে নিয়োগের বয়স বাড়ানো নয় বরং কমানো উচিত। বাংলাদেশে সরকারী চাকরিজীবির সংখ্যা আনুমানিক ১২ লাখ। এর বিপরীতে প্রতি বছর সরকারী চাকরীতে নিয়োগ হয় দুই থেকে আড়াই হাজার বি সি এস সহ ১৫ হাজারের মত। প্রতি বছর শ্রম বাজারের প্রবেশের উপযুক্ত হয় ২৫-৩০ লাখ মানুষ।
এদেশে বর্তমানে মষ্টার্স পাশ করতে একজন শিক্ষার্থীর মোটামুটি ২৫ বছর লেগে যায়। এর পর সে সরকারী চাকরির প্রিপারেশান নেয় ও অপেক্ষা করতে থাকে। ধরি প্রতি বছর ৫ লাখ শিক্ষার্থীও যদি ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত সরকারী চাকরির জন্য অপেক্ষা করে, তবে আমরা কত সময় নষ্ট করি?
৫ লাখ মানুষ ৫ বছর করে সময় নষ্ট করলে জাতী ২৫ লাখ বছর সময় নষ্ট করছে। এই সময়ে একজন অন্য যেকোনো পেশায় নিজেকে নি্যুক্ত করলে মাসে অন্তত ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারত। পাঁচ বছরে সে আয় অরতে পারত ১২ লাখ টাকা। এক্ষেতে পেশায় তার দক্ষতার ও আয়ের উন্নতি বিবেচনায় নেয়া হয়নি। হলে আয় আরো বাড়ত। ৫ লাখ লোক ৫ বছরে আয় করতে পারত ৬০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এই ৬০ হাজার কোটি টাকা জিডিপিতে যোগ হত।
এই সময়ে বেকার থাকা কালীন সময়ে একজন মানুষ যে সামাজিক, মানুষিক, আর্থিক সমস্যা ভোগ করে তা থেকেও মুক্তি পেত। দেশ ও সমাজ আরো এগিয়ে যেত।
সূতরাং আমাদের চাকরির বয়স না বাড়িয়ে বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট কমানো নিয়ে কথা বলা উচিত। প্রাইভেট খাঁতে বেশি বেশি চাকরি সৃষ্টি নিয়ে কথা বলা উচিত। সরকারি চাকরির নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে কথা বলা উচিত, যাতে একাডেমিক শিক্ষার বাইরে আলাদা প্রস্তুতির দরকার না হয়। বেসরকারি চাকরির সুবিধা বাড়ানো নিয়ে কথা বলা উচিত। ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করে যাতে ছাত্ররা ব্যবসা শুরু করতে পারে তাতে সহযোগিতা করা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৮