কুরআন, সহীহ, সুষ্টজ্ঞান ও সঠিক প্রকৃতি একথার সমর্থন করে ।
১. তাই এরশাদ হচ্ছেঃ
﴿ الرحمن على العرش استوى﴾[5 سورة طه]
অর্থঃ রহমান সিংহাসনে সমাসীন, অর্থাৎ (সমুন্নত ও সুউচ্চ) এই তাফসীর সহীহ বুখারীতে তাবেয়ীন হতে বর্ণিত হয়েছে । (তাহা-৫)
২. আরো এরশাদ হচ্ছেঃ
( أأمنتم من في السماء أن يخسف بكم الأرض )[الملك:16]
অর্থঃ তোমরা কি সেই সত্তা হইতে নিরাপদ যিনি আকাশে রহিয়াছেন, যে তিনি তোমাদেরকে মাটিতে ধসাইয়া দিবেন। (মুলক-১৬)
৩. তিনি হলেন আল্লাহ, (তাফসীরে ইবনে জাওযী)
আরো এরশাদ হচ্ছেঃ
{ يخافون ربهم من فوقهم }(النحل:50)
অর্থঃ তাহারা তাহাদের রবের প্রতি ভয় পোষণ করে, যিনি তাহাদের উপর অবস্থান করছেন । (নহল-৫০)
আল্লাহ তা'আলা ঈসা আলায়হিস সালাম মম্বন্ধে বলেনঃ
(بل رفعه الله إليه)[النساء:158]
অর্থঃ বরং আল্লাহ তা'আলা তাঁহাকে (ঈসা আলাইহিস সালাম) নিজের দিকে উঠাইয়া লন । অর্থাৎ আকাশে উঠাইয়া লইয়াছেন ।- (আননিসা-৫০)
ইমাম ইবনে কাসীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি উপরোক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেনঃ
তাফসীর কারকগণ এ ব্যাপারে একমত যে, আমরা সে কথা বলবো না যা (পথভ্রষ্ট দল) জাহমিয়া বলে থাকে যে, আল্লাহ তা'য়ালা প্রতিটি জায়গায় বিদ্যমান ।
যালেমদের এ ধরনের কথা হতে আল্লাহ অতি মহান ! ( আর, আকাশে থাকার অর্থ হল আকাশের উপর হওয়া ) আর আল্লাহর এই আয়াতের অর্থঃ " {وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنْتُمْ} [الحديد : 4]"
'তোমরা যেখানেই থাক তিনি (আল্লাহ) তোমাদের সাথে রয়েছেন।'
অর্থ্যাৎ তিনি তোমাদের সুরক্ষক ও তোমাদের আমলসমূহ প্রত্যক্ষকারী যেখানেই তোমরা থাক না কেন