পেট্রল বোমাতে নিয়মিত মানুষ মারাযাচ্ছে বার্ন ইউনিটে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে । গনসচেতনার জন্য একদিন যদি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় তাহলে নিশ্চিত হার্ডের রুগির সংখ্যা বেরে যাবে ।
আমার আগুন দেখলে খুব ভয় লাগে কাছ থেকে দেখা কিছু বিভস্য দৃশ্যের কথা মনে পরে যায় ।আগুনে পুরে যারা বেচে থাকার জন্য লড়াই করে চলেছেন তাদের মত করুন অবস্থা এই ইহ জগতে আর কোন কিছুর সাথে তুলনা চলে না ।আগুনে দগ্ধ অথবা ইলেকট্রিক শকে পোড়া উভয় কষ্টের চরম পর্যায়ে। একমাত্র ভরসা বার্নইউনিড ঢাকা মেডিকেল । আমকে ২০১০ সালে ১মাস বার্ন ইউনিটে থাকতে হয়েছিল । তখন নিমতলি অথবা কোন বস্তিতে আগুন লেগে অনেক মানুষ দগ্ধ হয় । বারনউনিটে কোনা বেড/মেঝে তখন বাদ নাই পোড়া মানুষ ছাড়া।হাত নাই পা নাই অথবা শরীরের আগুনে পুড়ে বেঁকে গিয়েছে এমন মানুষ চারদিকে ঘোরা ফেরা করছে আর ড্রেসিং রুমের অবস্থা এক কথায় কসাই খানার মত ।
কোন উপায় নাই জোর জুলুম করে হলেও নিয়মিত ড্রেসিং করতে হয়। এর মধ্যে ড্রেসিং রুমের একটা সিন আমি জীবনে ভুলব না ।একজন রোগীর কোন এক কারণে কয়েক দিন ড্রেসিংহয় নাই , সেইদিন আসছে নতুন করে ড্রেসিং করতে । বলছে অনেক জ্বালা করতেছে । হাত কেটে ফেলতে । কেমন একটা অসহনীয় গন্ধও আসে ড্রেসিং রুম থেকে । আর ড্রেসিং রুম গুলাও অনেক ছোট হয় । দুই জন লোকের বসার ব্যাবস্তা থাকে । জারা ড্রেসিং করেন তারা দড়িয়ে দারিয়ে টেনে টুনে সব কাজ দ্রুত করতে থাকেন। দরকার থাকলে রোগীর সাথে জিনি আছেন তিনিও থাকতে পারেন সাথে। রোগী ছিলেন আমার বাবা তাই এখানে অন্য কোন অপশন নাই । আমাকেই থাকতে হবে । রুমটা অনেক ছোট তাই বাধ্য হয়েই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছিল আসে পাশে । ভিতরে একটা গোসল খানাও থাকে ড্রেসিং খুলে ওইখানে গরম পানি অথবা ডেটল দিয়ে গোসল করানো হয় । এই রুম থেকেই আসে ভয়ঙ্কর সব চিৎকার। ২জন রোগীর মধ্যে একজন ছিল আমার বাবা অন্যজনের বয়স আমাদের চেয়ে ২/৩ বছরের বড় হবে হাত আর পায়ের পিছিন সাইড পুড়ে অনেকটাই নাই হয়ে গেছে । গরিব মানুষ । নিয়মিত ড্রেসিং করতে পারে নাই । অই লোকের ড্রেসিং করতে নিয়ে এসেছে আজ । অনেক দিন নাকি হয়ে গেছে উনার নতুন ড্রেসিং করা হয় নাই । অনেক সময় অনেকে বুজতে পারে না আর ব্যাথা ও টাকার কথা ভেবেও অনেকে ড্রেসিং করতে আসে না ।
২প্যাচ মাত্র খুলছে তখনই মনে হল একদম ছোট ছোট কি যেন ড্রেসিংপেপারের গায়ে লেগে আছে এবং ভিতর থেকেও বের হতে চাচ্ছে কিছু । সাদা সাদা ।আসলে কয়দিন ড্রেসিং না করায় উনার হাতে পোকা হয়ে গিয়েছিল । দেখে আমার মুখ থেকে অটোমেটিক বের হয়ে গিয়েছিল আল্লাহ্ গো ।এর পর জোর করে চোখ বন্ধ করে ছিলাম । এর পর নাকি তারপিন জাতিও কোন তরল দিয়ে ধুয়ে আবার ড্রেসিং করে দেয়।
সে এক বিভস্য দৃশ্য _ _
এইরকম হাজারো দৃশ্য এখন বার্ন ইউনিটে ।
নেহাত দুরঘটানা হলে কথা ছিল কিন্তু এখন চিত্র ভিন্ন !! এত ঘটনার পরও আমি কোন বড়দলের পক্ষথেকে " আগুনে পুরিয়ে মানুষ মারবেন না " এমন কোন পদক্ষেপ দেখিনি যা এই কাজ বন্ধ হয় ! "অমক আগুনে পুরিয়ে মানুষ মারে ", "অমকে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েমের জন্য আগন লাগাচ্ছে " এইসব শুনলে মনে হয় তারা যেন চাচ্ছেই আগুন লাগুগ ! কেউ বলে না যে মানুষের দিকে আগুন ছুরে মারবেন না বা কি হয় আগুনের পরিণতি !!!
বলবে কিভাবে জনগণতো আর মানুষ না বড়জোর ভোটার মাত্র ।
আল্লাহ্ সবাইকে সুবুদ্ধি দান করুক (আমিন )
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


