somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শাফায়াত উল্লাহ রহমত
লেখালেখি হলো আমার জগত, আমার মানস ভ্রমণের অখন্ড মানচিত্র । কল্পনার চরিত্রগুলোকে আমি লেখার জগতে বাস্তবতার ন্যায় সদর্পে চারণ করাতে চাই। আমি তাদের হাসি কান্না সুখ দুঃখে তুলির আঁচড় ছুঁয়ে দিয়ে অপছন্দের আঁকগুলো ইরেজার দিয়ে ঘষে তুলে বসাতে চাই কল্পনার রঙ ।

বোন পারুল তুমি নও! ধর্ষিত হয়েছে মানবতা ! ধর্ষিত হয়েছে বাংলাদেশ!

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ ঠিক কি কারণে মানুষ হয়ে ওঠে?
মানুষ যদি তার মানবিক মুল্যবোধটুকু হারিয়ে ফেলে তবে সে যেকোনো আচরণ করতে পারে। মানুষের আচরণ যদি কুকুরের মতো হয় আর তা যদি সমাজে ক্ষমতার আদলে আরোপ করে ফেলে তবে সেই মানুষগুলোই মানবিক রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। নোয়াখালির সুবর্ণচরে অন্যপক্ষকে ভোট দেয়ার অভিযোগে গণধর্ষণ করা হয়েছে; অতঃপর ক্ষমতার অংশীদারিত্ব অর্জনকারী কুকুরদের অত্যাচারের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে। অনেককেই দেখছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণকারীর বিচার দাবি করছেন বা চাইছেন। ধর্ষনকারীর বিচার অত্যাবশ্যক এবং সেটা হতে হবে দৃষ্টান্তমূলক।
কিন্তু প্রশ্নটি হলো কেন এই ধর্ষণ? কেন এই বর্বরতা?
বর্বর আচরণ প্রকাশ করবার জন্য যে বিভৎস রুচির প্রয়োজন হয় সেটা কোন সমাজ নির্মাণ করে দিয়েছে? এই বর্বর আচরণের সাহস প্রকাশের উৎস কোথায়?
শুধু ধর্ষকের বিচার করলে ধর্ষিতা কিন্তু পূর্বের সম্মানবোধ এবং উপলব্ধিজাত জীবনধারণের আলোকিত পথটি আর কখনই খুজে পাবেনা। আর একটি ধর্ষণের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির বিধান করার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায়নের যে সমাজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা কিন্তু মুক্ত হতে পারবেনা। ধর্ষণের মোটিফ কিন্তু ভয়ঙ্কর। প্রথমত মতামত প্রতিষ্ঠা করা এবং পরবর্তীতে ভিন্ন মত প্রকাশের বিরুদ্ধে ভয় কে প্রতিষ্ঠা করা। অর্থাৎ ভয় প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সমাজে আধিপত্যবাদী মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসন তা পেরেছে; যেমন পুলিশ দেখলে সাধারণ মানুষ ভয় পায়। কখন জানি ইয়াবা অথবা সরকারী কাজে বাঁধা দেবার অভিযোগে জেল হাজতে যেতে হয়। আর গত দশ বছরে গুমের ভয়ে পুলিশ যেন আতঙ্কের নাম। যে রাষ্ট্রে সাধারণ মানুষ পুলিশকে এতো ভয় পায়; সেই দেশে ধর্ষকরা প্রকাশ্যে গণআন্দোলনের মতো করে স্বামী সন্তানদের সামনে থেকে একজন মাকে, একজন স্ত্রীকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করলো। তবে তারা কারা? তারা পুলিশকেও ভয় না। তারা সমাজকেও ভয় পায় না। তাদের কলিজাতে এতো সাহস দিলোটা কে?
এখনতো মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই অ্যামেরিকা, রাশিয়া বা কোনো প্রভাবশালী শক্তি এই ভয়ের যোগানদাতা। হতে পারে এই ভয় না থাকার সাহসের যোগানদাতা ভারত বা চীন। যদি এমন কোনো তথ্য প্রমাণ করা যায় তবে এই বিভৎস সাহসের হাত থেকে সমাজকে মুক্তি দেয়া সম্ভব। সুতরাং আলোচকদেরকে বলছি ভয় কাটানো সাহসের যোগানদাতাদের খুজে বের করতে হবে।
ভয়কে পুজি করেই প্রাচীন রাজারা রাজ্য শাসন করেছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ভয় কায়েম করলে রাষ্ট্র কখনই জনগণের থাকেনা। রাষ্ট্র যদি শুধুই ক্ষতায়নের অংশীদারদের জন্য সুবিধা বন্টন করার সংষ্কৃতি চালু রাখে তবে সেই রাষ্ট্রের কাঠামোর মধ্যে নৈতিক স্খলন এবং উগ্রবাদী চরিত্রের বিকাশের রাস্তাটি প্রসারিত হয়।

সর্বোপরি মানবিক রাষ্ট্র নির্মাণের প্রচেষ্টা এখন আর দেখা যায়না। মানবিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা ছাড়া সামাজিক ব্যাধিগুলো দূর করা সম্ভব নয়। শক্তি, ভয় এবং নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা নয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে সঠিক শিক্ষা, নীতিবোধ, শৃংখলা এবং যোগ্যতমের অধিকার। সকল অমানবিক এবং পৈশাচিকতার পরাজয় ঘটুক ফিরে আসুক আলোকপ্রাপ্তির দিন। আর যেন তুমি ধর্ষিত না হও! আর যেন ধর্ষিত না হয় মানবতা।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:২৮
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×