ভ্যালেন্টাইন ডে সমাগত। তরুণ-তরুণীদের কাছে আসতে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢেলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ফলাও করে কাছে আসার সাহসী গল্পের চিত্রনাট্য প্রচার করছে। কিন্তু এই কাছে আসার গল্পের পিছনে অনেক না বলা গল্প থাকে। গল্প থাকে ধর্ষণ-এবরশনেরও..।
অবাক করা তথ্য হলেও প্রতিবছর দেশে ৭ থেকে ৮ লাখ এবরশন করানো হয় এবং এটাই বাস্তবতা। আর এমআর করা হয় ৩ থেকে ৫ লাখ। সবমিলিয়ে প্রতিবছর বাচ্চা নষ্টের পরিমাণ ১০ থেকে ১২ লাখ। যেখানে দেশে বাৎসরিক মোট গর্ভধারনেরর সংখ্যাই ৫০ থেকে ৫৫ লাখ। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালেই রাস্তাঘাটে, ডাস্টবিনে অর্ধ শতাধিক অজ্ঞাত নবজাতকের লাশ পাওয়া গিয়েছিলো। চলতি বছরেও বেশ কয়েকজন নবজাতকের লাশ ও জীবিত পাওয়ার সংবাদ দেখা গেছে। সর্বশেষ দেখলাম ঢাবি ক্যাম্পাসে ১২ সপ্তাহ বয়সী মানব ভ্রুণ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি উদ্বেগজনক হলেও সত্যি। রাজধানীতে লিভ টুগেদারের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, ঠিক তেমনি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবরশনের সংখ্যাও। আমি কারো ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছিনা। সবচেয়ে চিন্তার দিক হল, এবরশন পরবর্তী জটিলতায় মাতৃমৃত্যুর হারও বাড়ছে। ঘটছে আত্নহত্যার ঘটনা। অবিবাহিত তরুণীরা লোকলজ্জার ভয়ে অসুস্থ্য হলেও চিকিৎসা করান না। পরে হতাশা জেকে বসলে সমাধান খোঁজেন আত্নহত্যায়। এই গুলি বন্ধ করা নিয়ে কোনও প্রচারণা নেই সরকারী বা বহুজাতিক কোম্পানীর। এই এবরশন আর এমআর ঠেকানোর জন্য কোনও বহুজাতিক কোম্পানিকে এগিয়ে আসতেও দেখিনা।
পৃথিবীতে আগমনের বছর না পেরোতেই ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশু, ছয়তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া নবজাতক, শিয়াল-কুকুরেরর খাদ্য হতে যাওয়া ডাষ্টবিনে পরে থাকা নিস্পাপ মুখগুলোর গল্প দিয়ে কেউ চিত্রনাট্য লিখবেনা। কারন এখানে সস্তা প্রচার নেই। নেই বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর কোটি টাকার বিজনেস পলিসি। সত্যিকার অর্থে কাছে আসার সাহসী গল্পগুলো সাহসীই হয় তবে একটি সাহসী গল্পের আড়ালে অনেকগুলো গল্প থাকে যা কখনো কোথাও প্রকাশিত হয়না।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৫২