দুপুরে হঠাৎ রাজীবের এসএমএস:
'আমাকে একটু সময় দিতে পারবে ১৫ তারিখে?
প্রিয়া এখন অনেক ব্যস্ত, যথারীতি তার উত্তর:
'মনে হয় পারবো না, কেন? কি হয়েছে?'
রাজীব আর কথা বাড়ালো না, প্রিয়ার ঝামেলা হোক এটা সে চায় না।
প্রিয়াকে নিয়ে রাজীব বরাবরই দ্বিধায় থাকে, আজ ভালো তো কাল খারাপ। আজ হয়তো মনের আনন্দে অনেক কথা হলো, কাল রাগে অগ্নিমূর্তি। ভালবাসার সাথে কিছুটা ভয়ও পায় সে প্রিয়াকে। হাজার হোক প্রাণের মানুষ তার এই প্রিয়াই, ওকে রাগিয়ে রাজীব ঝামেলা বাড়াতে চায় না।
বাস্তবতা বুঝতে পারছে তবু প্রিয়া ১৫ তারিখ ভুলে যাবে এটা রাজীব মেনে নিতে পারছে না। যদিও ছেলেমানুষি তবু মনের কোনায় ছোট্ট আশা রয়েছে ১৫ তারিখে প্রিয়ার সাথে দেখা হবেই।
দেখতে দেখতে ১৫ তারিখ চলে এলো। আর সব দিনের মতো রাজীব আজো অফিসে। প্রিয়ার কথা ভেবে মন বসছে না কাজে। দুপুরে প্রিয়ার এসএমএসঃ
'বাইরে এসো'
পড়িমড়ি করে ছুটলো রাজীব, অফিসের গেটে প্রিয়াকে দেখে থমকে গেলো সে।
অপরূপ প্রিয়া দাঁড়িয়ে আছে, ঠোঁটে মুচকি হাসি। হাতে লাল র্যাপিং পেপারে মোড়া কিছু একটা ধরে রয়েছে।
রাজীব নড়তে পারছে না, মুখ দিয়ে কথা সরছে না।
এগিয়ে এসে প্রিয়া কানে কানে বললোঃ
'Happy Birthday'
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯