হাঙ্গরদের মতো কুমীরেরাও হলো সর্বভুক। এরা খায় না এমন কোনো জিনিস নেই। বেশি ক্ষুধা পেলে এরা সব জাতির মাংসই ভক্ষন করে।
কুমীরেরা পাকস্হলীতে অনেকগুলো করে পাথরের টুকরো বয়ে বেড়ায়। এই পাথরের টুকরোগুলো পরস্পরের সাথে ঘর্ষন লেগে পেটের খাবার হজমে ওদের সহয়তা করে। কুমীরেরা কখনো খাবার চিবোয় না, গিলে খায়। যা পায় তাকে আস্তই গিলে ফেলে।
কুমীরের চোখ দিয়ে অবিরল অশ্রু ঝরে, তাই অনেকে মনে করে ওটা কোমীরের কান্না। কিন্তু কান্না বলতে যা বোঝায় ওটা তা নয়। ওদের চোখ দিয়ে জল ঝরে চোখের কোনে জমে থাকা অতিরিক্ত লবন ধুয়ে ফেলার জন্য। মনের দুঃখে কান্না করার জন্য নয়।
কুমীরের জন্মের পর থেকে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত দাঁত কেবল বাড়তেই থাকে। এমনকি দাঁত যদি কোনো কারনে ভেঙে যায় বা পড়ে যায় তাহলে সেখানে আবার নতুন করে ঝকঝকে দাঁত গজায়।
কুমীরদের আরেকটি মজার ব্যাপার হলো-এরা কখনো জিভ নাড়তে পারে না। আসলে এদের জিভ অত্যন্ত খাটো এবং তা নিচের চোয়ালের সাথে সেঁটে বসানো। তাই নাড়াচাড়া করা যায় না।
কুমীরো জলের নিচে যেমন দ্রুত সাঁতরাতে পারে, তেমনি ডাঙাতেও খুব জোরে দৌড়াতে পারে। তাই ডাঙায় কাউকে যদি কুমীরে আক্রমন করে তখন তার হাত থেকে বাঁচার পথ হলো সোজা দৌড় না দিয়ে এলোমেলো দৌড়ানো। কারন কুমীরেরা সোজা দৌড়াতে পারে, কিন্তু দিক পরিবর্তন করতে পারে না সহজে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




