যাত্রীছাউনিতে বসে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছে এক প্রেমিক। পাশেই বসে আছে তার প্রেমিকা। প্রেমিক তার চেহারায় গুরুগম্ভীর ভাব এনে বলল, মিতু, তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি। খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা।
প্রেমিকা ধরে নিল, এখন খুবই দার্শনিক টাইপের একটা কথা হবে। তাই সে সিরিয়াসলি বলল, হ্যাঁ, বলো।
প্রেমিক বলতে শুরু করল, মিতু, পৃথিবীতে চলতে হলে আমাদের অনেক কিছুরই ফারাক বুঝতে হয়, চিনতে হয়। আচ্ছা, তুমি আমাকে বলো তো, তুমি কি পাবলিক বাস আর ট্যাক্সিক্যাবের ফারাক বোঝো?
প্রেমিকা মাথা নাড়াতে নাড়াতে বলল, না, বুঝি না।
প্রেমিক এবার লাফ দিয়ে বসা থেকে উঠে বলল, তাহলে ক্যাবে যাওয়ার দরকার নেই। পাবলিক বাসেই চলো।
বিয়ের আগে সিংহ
বনের ভেতর পথ চলতে চলতে শিয়াল দেখল, বিরাট ধুমধাম করে কারও বিয়ে হচ্ছে।
‘কার বিয়ে হচ্ছে গো?’ এক ইঁদুরকে সামনে পেয়ে প্রশ্ন করল শিয়াল।
ইঁদুর: আমার এক বন্ধুর।
বিয়েবাড়ি ঘুরে এসে শিয়াল ইঁদুরকে বলল, ‘তোমার বন্ধু কোথায়? এ তো দেখছি বনের রাজা সিংহের বিয়ে হচ্ছে!’
ইঁদুর: হাহ! বিয়ের আগে আমিও সিংহ ছিলাম!
পোস্টমাস্টার ভিতরে ছিলো নাকি বাইরে
এক পোস্টমাস্টার গেছে দাওয়াত খাইতে, কিন্তু ভুলে বেচারা প্যান্টের চেইন লাগায় নাই
পার্টিতে এক লোকের তা দেইখা তো আক্কেল গুড়ুম। সরাসরি তো আর বলা যায়না যে চেইন খোলা। তাই সে কায়দা কইরা বলল, ভাই, আপনার পোস্টঅফিস তো খোলা।
কিন্তু পোস্টমাস্টার ইংগিতটা বুঝলো না, সে কয়- না না , পোস্টঅফিসে আমি নিজের হাতে তালা মাইরা আইছি। খোলা না, বন্ধই আছে।
তো ঐ লোক যতই বোঝায়, পোস্টমাস্টার বুঝে না, কয় বন্ধ, বন্ধ, নিশ্চয়ই বন্ধ।
তো লোকটা হাল ছাইড়া দিয়া চইলা গেলো। পরে পোস্টমাস্টার বাসায় ফিরা দেখে তার চেইন খোলা। সাথে সাথে সে সব বুঝলো, বুইঝা তো পাইলো ব্যাপক শরম। কিছুক্ষণ ঝিম মাইরা থাইকা ফোন করলো ঐ লোকটারে।
ফোন কইরা কয়- ভাই, এইবার আমি বুঝছি আপনি কি বুঝাইতে চাইছিলেন। তা ভাই যখন খোলা আছিলো, তখন কি পোস্টমাস্টার ভিতরে ছিলো নাকি বাইরে?
খরচ বাঁচানো
দুই বন্ধুতে গল্প হচ্ছে।
১ম বন্ধু: হেঃ হেঃ…জানিস, আমার মাথায় কত বুদ্ধি? বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় বউকে সঙ্গে না নিয়ে আমি একাই গেছি। ব্যস, অর্ধেক খরচ বেঁচে গেছে!
২য় বন্ধু: এ আর এমন কী? আমি তো পুরো খরচই বাঁচিয়েছি!
১ম বন্ধু: কীভাবে?
২য় বন্ধু: মধুচন্দ্রিমায় আমি না গিয়ে বউকে তার এক বন্ধুর সঙ্গে পাঠিয়েছি!
অঙ্ক
শিক্ষক: বলো তো ছটকু, তোমার বাবা শতকরা ১০ টাকা হার সুদে ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে লোন নিলেন, এক বছর পর তিনি ব্যাংককে কত টাকা দেবেন?
ছটকু: কোনো টাকাই দেবেন না, স্যার।
শিক্ষক: গাধা! এখনো এই অঙ্কই জানো না?
ছটকু: আমি অঙ্ক জানি, কিন্তু আপনি আমার বাবাকে জানেন না, স্যার!
দূরের জিনিস
ছেলে: বাবা, আমি দূরের জিনিস ভালো দেখতে পাই না। ডাক্তার দেখিয়ে একটা চশমা নেওয়া দরকার।
বাবা: ওপরে তাকা। কী দেখা যায়, বল?
ছেলে: সূর্য।
বাবা: ব্যাটা, আর কত দূর দেখতে চাস?
কানে কম শোনে
রণন আর নাছের দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে।
রণন: বুঝলি নাছের, সুলেখাকে আমি ভালোবাসতাম, কিন্তু এখন আর বাসি না।
নাছের: কেন?
রণন: মেয়েটা কানে কম শোনে।
নাছের: কী করে বুঝলি?
রণন: আমি ওকে বললাম, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আর ও বলল, আমার পায়ের স্যান্ডেলটা নতুন!
চোর হইতে সাবধান
সংসদের গেটের সামনে ভাঙাচোরা একটা সাইকেলে তালা মেরে রেখে যাচ্ছিল এক লোক। তা দেখে হা হা করে ছুটে আসে দারোয়ান। চিৎকার করে বলে, ‘ওই ব্যাটা, এখানে সাইকেল রাখছিস কী বুঝে? জানিস না, এ পথ দিয়ে মন্ত্রী-মিনিস্টাররা যান।’
লোকটা একগাল হেসে জবাব দেয়, ‘কোনো সমস্যা নাই ভাইজান, সাইকেলে তালা মাইরা দিছি।’
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পড়া শেষ হইলে নেন একটা কেক খান...
এইবার নেন আমার পছন্দের খাবার চকোলেট খান....

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




