ব্লগার সৈয়দ মশিউর রহমান শিল্পী নুসরাত ফারিয়াকে বিমানবন্দর থেকে আটক করার প্রসঙ্গে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেই পোস্টে তিনি আশা করেছেন যে ফারিয়াকে জেলে পাঠানো হবে এবং তাকে ‘ডিম থেরাপি’ দেওয়া হবে। তবে, এই নারী শিল্পীকে ঠিক কী কারণে বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে এবং কোন যুক্তিতে তার প্রতি এমন আচরণের দাবি করা হচ্ছে, সেই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন অবশ্য তিনি বোধ করেননি।
কিছুদিন ধরে আমি তার পোস্টগুলো লক্ষ্য করে আসছি। গত বছর জুলাই মাসে, ব্লগের কট্টর আওয়ামীপন্থী ব্লগার হাসান কালবৈশাখী যেভাবে ব্লগে এসে লাফালাফি করতেন এবং আওয়ামী লীগের দুষ্কর্মগুলো নির্লজ্জভাবে সমর্থন করে পোস্ট দিতেন, সৈয়দ মশিউর রহমানের এসময়ের পোস্টের সাথে সেগুলোর আশ্চর্যজনক মিল পাচ্ছি। হাসান কালবৈশাখী কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রদের কীভাবে পিটিয়ে পাছার চামড়া তুলে নিতে হবে, সেটা আমাদের জানাতে ছাড়েননি। তাকে নিয়ে আমি তখন “ব্লগার হাসান কালবৈশাখীর (এবং ব্লগের গণশত্রুদের) কাছে খোলা চিঠি” শিরোনামে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম (আমার সেই পোস্টটি)।
ঠিক এখন একইভাবে জামাতের গোয়েবেলসীয় সেই কাজটিই করছেন সৈয়দ মশিউর রহমান। তার বক্তব্যের ভাষার সঙ্গে হাকার ভাষার মিল দেখে বোঝা যাচ্ছে যে জামাত এখন দেশের ক্ষমতার অক্ষের কাছাকাছি অবস্থান করছে। তার নুসরাত ফারিয়াকে দেওয়া ‘ডিম থেরাপি’ এবং হাকার কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রদের পিটিয়ে পাছার চামড়া তুলে দেওয়ার ভাষার মধ্যে দারুণ মিল লক্ষ্য করছি।
তবে একটি বড় পার্থক্য এখানেই যে, সৈয়দ মশিউর রহমান যেহেতু বর্বর ধর্মব্যবসায়ী দল জামায়াতের সমর্থক, তার আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু মূলত নারী। তার পোস্টে নারীদের প্রতি বিদ্বেষ, ধর্মীয় মৌলবাদ এবং মূর্খতা এতটাই স্পষ্ট যেটা হাসান কালবৈশাখীর লেখায় ছিল না।
তখন আমি হাকাকে যেমন বলেছিলাম, আজ তাকেও (সৈয়দ মশিউর রহমানকে) সেই কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছি: কবে কখন কার পিছনে বেতের বাড়ি এসে পড়ে, সেটা আগে থেকে অনুমান করা যায় না। নির্বোধেরা ভাবে তাদের জীবন চির নিরাপদ। কিন্তু যাদের সামান্য জ্ঞানবুদ্ধি আছে, তারা নিজের পশ্চাৎদেশের চামড়া রক্ষায় সচেষ্ট থাকেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:০৯