somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মনের মৃত্যু, মিথ্যা বয়ান এবং জামাতি ও আমার দেশের প্রপাগাণ্ডা

০১ লা জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইংরেজিতে "menticide" বলে একটা শব্দ আছে, যার অর্থ মন বা হৃদয়কে মেরে ফেলা। যেমন suicide - আত্মহত্যা, genocide - গণহত্যা, তেমনি "ment" অর্থ মন, আর "cide" মানে হত্যা। মনহত্যা হলো ব্যক্তির স্বাধীন চিন্তার ধ্বংসসাধন, যা মানুষের মূল্যবোধকে এমনভাবে নিচে নামায়, যার পরিণতি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ব্রেনওয়াশিং বা মগজ ধোলাইয়ের সঙ্গে মনহত্যার পার্থক্য হল - মগজধোলাই মানসিক চাপের মাধ্যমে মানুষের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করে। "হীরক রাজার দেশে"র সেই মগজ প্রক্ষালন কক্ষের মতো, যেখানে জনসাধারণকে রাজার প্রতি আনুগত্য সৃষ্টি করা হয় যেন প্রজা বিদ্রোহের ঘটনা না ঘটে।

অপরদিকে, মেন্টিসাইড হচ্ছে মগজধোলাইয়ের সর্বনিকৃষ্ট পরিণতি। ব্যক্তির স্বাধীন চিন্তাভাবনাকে মিথ্যা কথা দিয়ে, তাকে নকল নাম দিয়ে কুৎসা রটিয়ে, প্রচারণা এবং সেন্সরশিপ দিয়ে এমনভাবে সমাজের মানুষদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যার ফলে মানুষ সহজ, স্বাভাবিক চিন্তা করতে ভুলে যায় - তার মন হয়ে যায় মৃত ও নিষ্ফলা। সেই মানুষ তখন একেবারে বানরের মতো আচরণ শুরু করে। বানর নাচের মতো করে তাদের দিয়ে এমন কোনো হীন কাজ নেই, যা করানো যায় না। মিথ্যা প্রচারের সম্মোহনী শক্তি তখন এত তুঙ্গে থাকে যে, একটু উস্কানিতেই একজন আরেকজনকে হত্যা করতে দ্বিধা করে না।

উগ্রপন্থী রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং স্বৈরাচারী ও সর্বগ্রাসী রাষ্ট্রব্যবস্থা এই কৌশলগুলো সফলভাবে মানুষের ওপর প্রয়োগ করে। এই ফন্দিগুলোর বেশ কিছু লক্ষণ এখন আমেরিকার রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছে। যেমন, ভিন্নমত দমনের কার্যকর কৌশল হিসেবে যেকোনো প্রতিবাদ, জনমত, যুক্তি ও গণসমাবেশকে বিকৃত করে নকল নাম দিয়ে বন্ধ করা হচ্ছে। ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের সময় থেকে ইসরায়েলের গণহত্যার বিপক্ষে যেকোনো যুক্তিকেই “এন্টিসেমিটিক” বলে স্তব্ধ করে ফেলা এরকম এক ফন্দি।

উগ্র ডানপন্থী জায়নবাদী গোষ্ঠী গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ এবং মার্কিন সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার ওপর প্রভাব বিস্তার করে নিজেদের উদ্দেশ্য সফল করে। তাদের কৌশল সাধারণ মানুষের দৃষ্টির আড়ালে থাকে, কারণ মানুষ সাধারণত গণমাধ্যমের ওপর নির্ভর করে এবং প্রতিদিন প্রতিটি খবর যাচাই করে দেখা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা প্রচারণা, সেন্সরশিপ ও আদর্শিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। গত এক দশকে ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও মতাদর্শ নিয়ন্ত্রণের শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে গড়ে উঠেছে।

কৌতূহলের বিষয় এই যে, জায়নবাদীদের সঙ্গে ধর্মব্যবসায়ী দল জামাতের ক্ষমতার কৌশল এবং জনমত নিয়ন্ত্রণের দারুণ মিল রয়েছে। উভয়েই ভয়াবহ রকমের বর্ণবাদী ও পরম অসহিষ্ণু। ভিন্নমত দমন করার জন্য মিডিয়া ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর নিয়ন্ত্রণকে রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচারের আদর্শ কৌশল মনে করে। তাদের ক্ষমতার কাঠামোটি মানুষের অজ্ঞতা, ধর্মান্ধতা এবং ঘৃণার ওপর ভিত্তি করে গঠিত। আর তাদের জনমত তৈরির কৌশল হলো মিথ্যা বয়ান উৎপাদন করা। আবার এই মিথ্যাকেই সত্য আর অধর্মকেই ধর্ম হিসেবে তারা প্রচার করে।

জায়নবাদীরা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রো-প্যালেস্টাইনি আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের জন্য গণতন্ত্রের ভিত্তি - মানুষের বাকস্বাধীনতা ও সমতা, বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তির ধারণাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানদের সরিয়ে দিয়েছে। তাদের আক্রমণের লক্ষ্য শুধু ব্যক্তি নয় - যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে পাঠ অন্তর্ভুক্ত ছিল, সেগুলো যেন না পড়ানো হয়, সেই ব্যবস্থা তারা করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি অনুদান বন্ধের ঘোষণা, সিভিল পোশাকে মুখোশ পরিহিত হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্টদের প্যালেস্টাইনের প্রতি সমর্থনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের অবৈধ গ্রেফতার, বিভিন্ন ব্যক্তির আমেরিকায় নিষিদ্ধকরণ ও ভিসা প্রত্যাখ্যানসহ ধারাবাহিক হুমকি-ধমকির ঘটনা তো আছেই।

সাম্প্রতিক সময়ে জামাতও একইভাবে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রশাসনিক পদগুলো দখল করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন, কলেজের নাম পরিবর্তনের (যেমন: ড. কুদরত-ই-খুদা ভবনের নাম পরিবর্তন করে জাবির ইবনে হাইয়ান ভবন রাখা বা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলো থেকে সত্যেন্দ্রনাথ বসু, জগদীশ চন্দ্র বসু এবং জীবনানন্দ দাশের নাম পরিবর্তন) ঘটনাগুলো থেকে স্পষ্ট যে জামাতের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য বাঙালি সংস্কৃতি। আর ঠিক জায়নবাদীদের দেখানো পথেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে। জায়নবাদীরা যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম থেকে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে পাঠ বাদ দিতে চায়, তেমনি জামাতের লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত এবং রবীন্দ্রনাথকে পাঠক্রম থেকে বাদ দেওয়া। সামনের দিনগুলোতে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম থেকে সম্পূর্ণভাবেই রবীন্দ্রনাথকে বাদ দেওয়া এবং আবশ্যিক পাঠ হিসেবে গোলাম আযমের জীবনী বা পাক সেনাদের দোসর যুদ্ধাপরাধী আজহারুলের লেখা উপন্যাস সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

যদিও আমাদের সমাজের সামষ্টিক স্মৃতিতে জামাত যুদ্ধাপরাধী হিসেবেই রয়ে যাবে। আর এটাই তাদেরকে আরও বেশি রুষ্ট ও একগুঁয়ে করে তোলে। তাই মনে হয়, অচিরেই মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে তারা নতুন নতুন মিথ্যা বয়ান নিয়ে হাজির হবে, সেটা হতে পারে আস্তিক বনাম নাস্তিকের বয়ান।

মিডিয়ার ক্ষমতা এমন যে, একজন নির্দোষকে দোষী এবং দোষীকে নির্দোষ হিসেবে তারা সহজে উপস্থাপন করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ের মৈত্রী যাত্রার সম্মেলন এবং তাদের যৌক্তিক দাবির কথা বলা যায়। এই ঘটনার মূল খবরকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে জামাতের মিডিয়া এবং ইউটিউবাররা মিথ্যা খবর উৎপাদন করল এভাবে যে, এই নারীরা নাস্তিক ও ধর্মবিদ্বেষী। ধর্মব্যবসায়ীদের এটা পুরনো ফন্দি। নারী এবং পুরুষকে পৃথক করে দিলে, নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। জমিদার-প্রজা বা প্রভু-ভৃত্য এভাবে জনগণকে ভাগ করে, জমিদার প্রজাদের এবং প্রভু ভৃত্যদের কড়া শাসনের মধ্যে রাখে। শাসকদের চ্যালেঞ্জ করার আগেই তখন তাদের হেয় প্রতিপন্ন করা যায়। প্রভুদের বিনোদন জোগায় এরকম কিছু জালিয়াতিপূর্ণ খবরও সাথে সাথে প্রচার করা হয় - যেমন, নারী সংস্কার কমিশনের একজনেরও স্বামী নেই।

বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে সহিংস মানসিক দমনের জায়গায় সফলভাবে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যিনি অগ্রগামী, তিনি মাহমুদুর রহমান। তার সম্পাদিত আমার দেশ পত্রিকা গণজাগরণ মঞ্চকে “শাহবাগী” ও “ধর্মবিদ্বেষী-নাস্তিক” নামকরণ করে বাংলাদেশের সমাজে মেন্টিসাইডের বীজ বপন করেছিলেন এবং এই মিথ্যা বয়ানটি মানুষের মগজে ঢুকিয়ে দিতে সফল হয়েছিলেন। এই ধারাবাহিকতায় কদিন আগে তিনি বাম দলের ওপর জামাত-শিবিরের হামলাকে সম্পূর্ণ উল্টে দিয়ে শাহবাগ বিরোধীদের ওপর বামদের হামলা হিসেবে খবর উপস্থাপন করেন। এই সাংঘাতিক সাংবাদিককে যখন একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করা হয়, তখন মনে হয়, এই পুরস্কার প্রাপ্তির কথা ভেবে নিশ্চয়ই তিনি রাতের অন্ধকারে হায়েনার হাসি হাসেন।

কিন্তু এর চেয়েও বড় বিপদ রয়েছে। উল্লেখ্য, মেন্টিসাইড মানুষের মূল্যবোধকে এমন নিচে নামায়, যার পরিণতি মৃত্যু। এমনটাই হয়েছিল ২০১৬-২০১৭ সালে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের গণহত্যার ঘটনায়। ঘটনার শুরু হয়েছিল ২০১৬-১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ নামের একটি ছোট সন্ত্রাসী সংগঠনের দ্বারা কিছু বেসামরিক নাগরিক হত্যা এবং সেনা চৌকিতে হামলার ঘটনায়। এর প্রতিক্রিয়ায় বার্মিজ সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ চরমপন্থীরা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞ শুরু করে। এই গণহত্যা উসকে দিয়েছিল রোহিঙ্গাদের প্রতি দীর্ঘদিনের ঘৃণা। ফেসবুক প্লাবিত হয়েছিল মনগড়া নৃশংসতা আর ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রতত্ত্বে। সত্যের সঙ্গে কৌশলে মিথ্যা মিশিয়ে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং মিথ্যা প্রচারণা দিয়ে পুরো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। ওই জাতিগত নিধন ও গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন ৭ থেকে ২৫ হাজার মানুষ, আর ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ১৮ থেকে ৬০ হাজার নারী। সেই সহিংসতা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলেন প্রায় দশ লক্ষ মানুষ।

মিথ্যা খবর তৈরি করে, মানুষের বিশ্বাস, ব্যক্তিগত জীবনাচার, ধর্ম বা জীবনযাত্রার উপর ভিত্তি করে ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা ছড়ানো এবং একজনের দোষ আরেকজনের ঘাড়ে চাপিয়ে অন্যকে বলির পাঁঠা বানানোর কূটকৌশল যদি এখনই সামাজিকভাবে প্রতিহত না করা যায়, তাহলে মেন্টিসাইডের গভীর অসুখ আমাদের সবাইকে হত্যা করবে।

জর্জ অরওয়েল তার বিখ্যাত গ্রন্থ ১৯৮৪-তে লিখেছিলেন, “বিশৃঙ্খল সময়ে আমাদের কথা কেউ শুনতে পাচ্ছে কি না সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং তখন সুস্থ চিন্তা করতে পারাটাই মানুষের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।” এই বিশৃঙ্খল সময়ে আমাদের প্রথম কাজ হবে দুষ্ট লোকদের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে সুস্থ চিন্তা করা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০২৫ রাত ১২:২৬
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=স্মৃতির মায়ায় জড়িয়ে আছে মন=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০৯


ঘাস লতা পাতা আমার গাঁয়ের মেঠো পথ, ধানের ক্ষেত
জংলী গাছ জড়ানো লতাবতী - আহা নিউরণে পাই স্মৃতির সংকেত,
রান্নাবাটির খেলাঘরে ফুলের পাপড়িতে তরকারী রান্না
এখন স্মৃতিগুলো পড়লে মনে, বুক ফুঁড়ে বেরোয় কান্না।

ফিরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×