আজকাল প্রেমের গবেষক বেড়ে গেছে, এই গবেষণা যদি যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে করা যেতো তা হলে সমাজের কিছুটা হলেও উন্নতি হতো।
বর্তমান সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যৌতুক নামের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, যা তাড়ানো না গেলে মানুষ গুলো পশুতে রুপান্তরিত হবে....!
অবশ্য এখন কিছু পশু পালন হচ্ছে সচেতন ভাবে.... দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ছেলের অভিবাবকগন এ ক্ষেত্রে সর্বচ্চো ভূমিকা রেখে চলছে।
যে ছেলেটি বিয়ে করবে তাকে ভিবিন্ন ভাবে প্রভাবিত করে যৌতুক নামের শুয়োরের গোস্ত খায়।
বিবাহ ইচ্ছুক প্রতিটি যুবক এর প্রতি আহবান জানাচ্ছি!
বিবাহের প্রস্তাব পরিবারের পক্ষ থেকে অথবা নিজের পক্ষ থেকে প্রেক্ষাপটে তোলার সাথে সাথে আপনি আপনার পরিবারের অভিবাবকগনের কাছে প্রশ্ন রাখুন! !!
১: আমি নতুন জীবনের যাবার প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছি, কি ধরনের পরিবার থেকে মেয়ে দেখার কথা ভাবছেন?
২: মেয়েটি কেমন চান? মেয়েটি আমার পরিবারে একটিভ হতে পারবে কি?
৩.মেয়েটি কি আদর্শিক ভাবে ইসলামীক মাইন্টেরিয়র নাকি অন্য মনস্ক?
৪.মেয়ে দেখতে যাওয়ার ব্যাপারে কি রকম পরিবেশ অবলম্বন করবে?
৫.মেয়ে পছন্দ হবার পর কি ভাবে মেয়েটিকে ঘরে তুলে আনবে? চুক্তি কি ধরনের হবে? বিশেষ করে কোন প্রকার যৌতুক দাবি করা হবে কিনা অবশ্যই জেনে নিবেন।
৬.বিবাহের অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জিজ্ঞেসা করবেন!
৭.গুরুত্বপূর্ণ আরো একটি বিষয় মোহরানার ব্যাপারে সতর্ক হোন, কারন মোহরানায় ধার্য্যকৃত টাকা অবশ্যই আপনাকে পরিশোধ করতে হবে।
হে বিবাহ ইচ্ছুক যুবক আপনাকে বদলাতে হবে বর্তমান সমাজের কুসংস্কার গুলো, আপনার একটু একটু সচেতনতাই পারে সুস্থ সমাজ বিনির্মাণ করতে.....!
পরিবারের কাছে প্রশ্ন গুলোর যে উত্তর পেয়েছেন তার উপর বিত্তি করে সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দিতে হবে।
১.প্রশ্নের জন্য: কি রকম মেয়ে চান সেটা অভিবাবককে জানিয়ে দিন যেন তাদের পদ যাত্রা ভুল পথে না হয়।
২.প্রশ্নের জন্য.... আপনার পরিবারটিকে জানার জন্য আপনি আগে নিজেকে নিয়োগ করুন...! পরিবারকে জানার পর কি ধরনের মেয়ে হলে আপনার পরিবারে একটিভ হতে পারবে সেটি বিবেচনা করে পরিবারের লোকজনকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিন।।
৩. ধর্ম মানুষের জীবনের জন্য অপরিহার্য অংশ, ইসলাম ধর্ম আমাদের শিক্ষা দেয়, আমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য, পরীক্ষায় পাস করার জন্য অবশ্যই ধর্ম জানা এবং মানা দরকার। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ।
৪.প্রশ্নের জন্য : মেয়ে দেখতে যাওয়া বর্তমান সমাজের একটি অংশ! যদিও পরিবারের সবাই মেয়ে দেখা সম্ভবপর নয়, কিন্তু সবার আগ্রহ থাকে মেয়ে দেখবে, আপনি যদি কুসংস্কার বাদ দিতে চান তা হলে মেয়েকে দেখার জন্য আপনি আপনার মা আপনার বোন। এদের নিতে যেতে পারেন....! বর্তমানে দেখা যায় নামে হারাম লোকজন নিয়ে মেয়ে দেখতে যাবার..... হই উল্লাস কুসংস্কৃতি ।
মেয়ে দেখতে যাবার ব্যাপারে খুবই সতর্কতার সাথে বুঝিয়ে পরিবারে কথা বলতে হবে না হয় বড়সড় বিতর্ক বা ঝগড়া তৈরি হয়ে যেতে পারে।
ভুলেও নামে হারাম কাউকে মেয়ে দেখার জন্য নিয়ে যাবেন না। এমনকি নিজের আব্বাকেও।
৫.প্রশ্নের জন্য : বর্তমান সমাজেে মেয়ে পছন্দ হবার পরই যে কথাটি প্রথমে আসে থা হলো দেয়া নেয়া নিয়ে, ছেলেট মেয়েটিকে মোহরানা হিসবে কত গ্রাম স্বর্ণ দেবে, কত টাকা দেবে, কাপড় চোপড় ইত্যাদি ইত্যাদি কত দেবে......!
তার পরপরই শুরু হয় কুসংস্কার অথবা কুসংস্কৃতির মূল পর্ব! ! ! মেয়ে পক্ষ হতে ছেলেটিকে কি দেয়া হবে......!! বর্তমানে বেশিরভাগ মানে প্রায় সব গুলো বিয়েতে এ বিষয়ে কথা আসে.... প্রথম কথা কত পদ ফার্নিচার দেয়া হবে? ফ্রিজ, মোটর সাইকেল, টিভি, আরো কত কি........!!!
এই পর্বের জন্য আপনাকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে, বুদ্ধিমত্তার সাথে কথা গুলো অভিবাবকে বলতে হবে, এমন ভাবে বুঝিয়ে আনতে হবে যেন জন উপস্থিতির সামনে বিতর্ক তৈরি না হয়।
আপনি যদি পরিবারের ২য় সন্তান হয় আপনার জন্য বিষয়টা খুব বেশি কঠিন হবার সম্ভাবনা থেকে যায়, কারন প্রথম জনের জন্য যেভাবে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে আপনার জন্যও অভিবাবকেরা সেভাবে করার চেষ্টা করবে।
ক,
আপনার বড়টি যদি বোন হয় তাহলে আরো কঠিন.....!! কারন আপনার বোনের বিয়ের সময় যাবতীয় যৌতুক ব্যবস্থার সব দিক করা হয়েছে...!!
আপনার অভিবাবকের ভাববে মেয়েকে যা দেয়া হয়েছে তা যেন ছেলেকে দিয়ে উদ্ধার করি....। যেন জাতীয় ব্যবসা...!!
বিষয়টি সতর্কতার সাথে বলুন বোনকে যা দেয়া হয়েছে যৌতুক তা আমরা খুশি মনে দেইনি, আমরা অত্যন্ত কষ্টের সাথে দিয়েছি, যা আমাদের চেয়ে বেশি অন্য কেউ জানার কথা নয়। যদি আমরা যৌতুক খুশি মনে না দিয়ে থাকি তা হলে আমরা কেন যৌতুক নামের শুয়োরের গোস্ত নেব? ? ?? ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে সমাজের এই ব্যাধি বিতাড়িত করতে হবে।
খ, যদি আপনার বড় ভাই হয় তা হলে একটু সহজেই বুঝাতে পারবেন আশা করি, আপনার বড় ভাইকে বিয়ে করানোর পরে যতটুকু যৌতুক নামের শুয়োরের গোস্ত নেয়া হয়েছে তা নিয়ে কি এমন উন্নতি হয়েছে প্রশ্ন করতে পারেন....! না নিলে কি এমন ক্ষতি হতো তার প্রশ্ন তুলতে পারেন, অন্যের জিনিস নিয়ে গর্ব করার কি আছে, নিজে কিছু করতে পারলে এটাই সবচেয়ে আনন্দের..... এমন কথা ছুড়ে দিতে পারেন।
বড় ভাইটির সহযোগিতাও নিতে পারেন।
গ : মেয়েটিকে ঘরে তোলার ব্যাপারে আলোচনা করতে হবে, বর্তমানে বিয়ের দিন তারিখঃ ঠিক হবার পর (মেহেদী রাত) নামের একটি হিন্দু সংস্কৃতি মুসলিম সমাজে প্রচলিত হচ্ছে.....!!
মেহেদী লাগানো দোষের কিছু নয়, কিন্তু মেহেদী রাত বা মেহেদী অনুষ্ঠানের নামে যা হয় তা নন্সেস! ! নারী পুরুষ একই সাথে ছবি ভিডিও.... নাচ গান ইত্যাদি কোন ভাবেই গ্রহণ যোগ্য নয়, এগুলো ত্যাগ করা অবশ্যই জরুরী।
অনেক যুবক আছে নিজেকে একটু আধুনিক পরিচয় দিতে চাই....! বলে কি!!! জীবনে একবারেইতো বিয়ে এই দিন একটু এনজয় করলে সমস্যা কোথায়?! !! প্রশ্ন হচ্ছে জীবনের একটি দিন যে দিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেই দিনটিকে পাপ দেয়ে শুরু করবেন? ? কেন এই আধুনিকতা? কেন আপনি জীবনের এই সুন্দর মুহুর্তটিতে জাহান্নামের দাওয়াত দিবেন..... সহপাঠীদের? ? আপনার একটু আধুনিকতার জন্য আপনার বিয়েতে সকল উপস্থিত লোকজনের পাপের জন্য আপনি দায়ী! !! ! নিজেকে প্রশ্ন করুন নিজে পাপ করবেন অন্যকেও করাবেন, আপনি কি সব পাপের ভার নিবেন?
৬. আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিয়ের আয়োজন হয় সেখানেও অনেক কুসংস্কার থাকে সেগুলোর দিকেও নজর দেয়া জরুরী।
৭. মোহরনা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ... যেহেতু স্বামীকে আদায় করতেই হবে...। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ছেলের মতামত নেয়া হয়না!!!!!! দর কষাকষির পর্যায়ে কয়েক গুণ মোহরনার অংক বেড়ে যায়! ! ২ লক্ষ থেকে শুরু ৩লক্ষ ৪ লক্ষ, ৫লক্ষ, যেতে যেতে ২০/৩০ লক্ষ টাকায় পৌঁছায়.....! যা নব বিবাহিত ছেলেটির উপর ছাপিয়ে দেয়া হয় ....। যা কোন ভাবেই কাম্য নয়।
ছাপিয়ে দেয়া মোহরানা পরিশোধ করার কোন তাড়া নেই... আছে কি? আছে যন্ত্রণা.... কিসের যন্ত্রণা? যন্ত্রণা হলো..... মোহরানার টাকা যেহেতু বাকি থাকে তাই মেয়ে পক্ষের লোকজন কারনে অকারণে মেয়েকে উস্কানি দেয় স্বামী পক্ষের লোকজনের প্রতি..... টুনকো বিষয়কে টেনেহিঁচড়ে লম্বা করার চেষ্টা করে! ! কারন কি কারনঃ ছেলে পক্ষকে চাপে রাখা চাই....!
ছেলে পক্ষকে চাপে রাখার কৌশল হয়ে দাড়ায় মোটা অংকের মোহরানার টাকা! ! ছেলে পক্ষ বা ছেলেটি সামনেও এগোতে পারেনা পেছনেও না।
ছেলে পক্ষকে চাপে রেখে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই! !! যা সংসার ভেঙ্গে যাবার কারন সমুহের মধ্যে অন্যতম,
((বিয়ের পর স্ত্রীর দায়িত্ব কি হওয়া উচিত তা নিয়ে অন্য একদিন লিখবো) )
মেয়েটি বাপের বাড়ির পরামর্শ নিয়ে যখন শশুর বাড়িতে নিজের ইচ্ছেমত চলতে থাকে তখনই শশুর বাড়ির লোকজন ও স্বামীর সাথে বাকবিতণ্ডা হয়!
বাকবিতণ্ডায় যদিও শয়তান উপকৃত হয়! বাস্তবতা এটাই বাস্তবতার কোনো কোনো পর্যায়ে রাগের মাথা স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয়!! ! (( ইসলামে তালাক হালাল হলেও হালালের মধ্যে নির্কৃষ্ট))
দেখা যায় তালাক দেয়া স্ত্রীর সাথে ঘর করছে.... Winking করন কি? কারনঃ মোহরআনার টাকা.... মোহরআনার টাকা পরিশোধ করতে না পারার কারনে তালাক দেয়া তথাকথিত স্ত্রীর সাথে সংসার করে.....!! যা ইসলামের দৃষ্টিতে যেনা স্বরুপ! !
তাই সামর্থ অনুযায়ী মোহরানা নির্ধারণ করা উচিৎ!!
আমি, আপনি, সবাই একটু চিন্তা করি বিষয় গুলো নিয়ে।
ধন্যবাদ সবাইকে। Click This Link আরো বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৪৮