somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

এই হলো অবস্থা

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১। প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে মার সাথে কিছুক্ষন গল্পগুজব করি। একদিন মার সাথে গল্পগুজব না করলে মা গাল ফুলিয়ে থাকে।
সেদিন মাকে বললাম, সুরভি খুব বিপদে পড়েছে। বুয়া ঠিক ভাবে আসে না। একদিন আসে তো, তিন দিন আসে না। বেচারি ঘরের কাজ করতে করতে শেষ। ঘরের কাজ তো কম না। অনেক কাজ।
মা বলল, হুম, ঠিক। এক কাজ কর- তুই আরেকটা বিয়ে করে ফেল। তাহলে দুইজন মিলে কাজ ভাগাভাগি করে করবে।

২। আমার নানী'র শেষ অবস্থা। যে কোনো সময় মৃত্যু হবে। কিন্তু মৃত্যু আর হয় না। এভাবে তিন মাস কেটে গেল। একদিন রাত তিনটা। মা জেগে বসে আছে নানীর কাছে। আব্বাও জেগে ছিল কিন্তু হঠাত ঘুমিয়ে পড়েছিল। ঠিক এই সময় নানী মারা গেলেন। মা দৌড়ে এসে আব্বাকে ডেকে বলছে, শোনো মা নেই। এই উঠো। মা নেই। আব্বা পাশ ফিরতে ফিরতে বলছেন, বুড়ো মানুষ কোথায় আর যাবে(?) দেখো বারান্দায় অথবা বাথরুমে গেছে।

৩। বাসায় তিনটা এসিতে ময়লা জমেছে। মিস্ত্রি এসেছে ঠিক করতে। তারা বলছে সাত হাজার টাকা দিতে হবে। সাত হাজার টাকার কথা শুনে বড় ভাই রেগে গেলেন। এরপর বড় ভাই নিজেই এসি পরিস্কার করার যন্ত্র কিনে নিজেই এসি গুলো পরিস্কার করে ফেললেন। শুধু এসি না, ঘরের যে কোনো জিনিস নষ্ট হলেই বড় ভাই এখন মিস্ত্রি ডাকে না। সব রকম যন্ত্রপাতি কিনে ফেলেছে। ডিল মেশিন'ই আছে দুইটা। করাত, সেলাই রেঞ্চ। সে নিজেই সব মেরামত করে। পানির মটর, বিদ্যুৎ সমস্যা, এমন কি কাঠ মিস্ত্রির কাজও তিনি নিজের হাতেই করেন। শুক্রবার, শনিবার তার ছুটি। এই দুই দিন সে ঘরের কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকেন।

৪। একদিন এক চোর চুরী করতে এসে ধরা পড়ে গেল। বাসার সবাই বলছে মারো, চোরটাকে মারো। আব্বা বললেন, আমি ভদ্রলোকের ছেলে আমি কেন চোর মারবো? আর চোর বলেই তাকে মারতে হবে? পারলে তাকে একটা চাকরী দাও। তারপর সে আর চুরী করবে না। সেই চোরকে আব্বা মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দিলেন। খুব সুন্দর করে বুঝালেন যেন আর চুরী না করে। এইখানেই শেষ না, চোরকে ভাত খাওয়ালেন। দুইটা শার্ট আর লুঙ্গি দিয়ে দিলেন। হাতে কিছু টাকাও দিয়ে দিলেন। এদিকে আশে পাশে অনেক লোকজন চোরকে মারার জন্য প্রস্তুত কিন্তু আব্বাকে চোরকে মারতে দিলেন না।

৫। সুরভির সাথে রাস্তায় বের হলেই পকেটে অনেক ভাংতি টাকা রাখতে হয়। কারণ রাস্তায় বয়স্ক ভিক্ষুক দেখলেই সুরভি বলবে এই বুড়োকে টাকা দাও। পাঁচ টাকা, দশ টাকা দিলে হবে না। কমপক্ষে পঞ্চাশ টাকা দিতে হবে। দশ টাকা দিলে বলবে, এক কেজি চালের দামও ৭০ টাকা। তুমি কোন আক্কেলে দশ টাকা দিলে? ভালো করে তাকিয়ে দেখো, বুড়োর হাসিটা কি সুন্দর! দেখো, দেখো ফোকলা দাঁতে বুড়িটা কি সুন্দর করে হাসছে! একবার এক বুড়িকে টাকা দিতে পারি নাই। সাথে ভাংতি টাকা ছিল না। বাসায় এসে দেখি সুরভি গাল ফুলিয়ে আছে। রাতে না খেয়েই ঘুমুতে গেল।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০২
৩২টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×