somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

Never talk to strangers

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১। লিখলেই তো লেখক হওয়া যায়। কিন্তু সাহিত্যিক হতে হলে ভিন্ন একটা কিছু থাকা লাগে। কিছু মানুষ প্রেম ভালোবাসা উপন্যাসকেও ইসলামী করণ করে ফেলেছে। যে কারণে, তারা হুমায়ুন, আনিসুল হক, ইমদাদুল হক মিলনদের উপন্যাসের চেয়ে বেশী হালাল মনে করে কাসেম বিন আবু বকরের উপন্যাসকে!! এক শ্রেণীর মুসলমান সব কিছুতে ইসলামী লেভেল থাকলে পুলকিত হয়ে থাকেন। যেমন- কিছু লোকদের বলতে শোনা যায় ইরানী ছবি দেখা যেতে পারে। কেন ভাই? ইরানী ছবিতে নায়ক নায়িকা হাত ধরে না।

২। কিছু কিছু শব্দের উপর আমার খুব ঘৃণা জমেছে। যেমন 'কঠোর হুশিয়ারি', মন্ত্রীরা প্রায়ই কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে থাকেন। ফলাফল শূণ্য। টিভি চ্যানেল দেখলেই মন্ত্রীরা 'কঠোর হুশিয়ারী' শব্দটা খুব বেশি বলেন। দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি অথবা ট্রেনের টিকিট কালো বাজারি হলে মন্ত্রীরা 'কঠোর হুশিয়ারি' দিয়ে থাকেন। আরেকটা শব্দ 'তদন্ত কমিটি'। আসলে, 'তদন্ত কমিটি' হলো, মানুষকে ধোকা দেয়ার একটি উন্নতমানের পথ! আজ পর্যন্ত কোন তদন্ত কমিটি তদন্ত করে মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটিয়েছে?....তদন্ত কমিটি করা হয় হত্যাকারীকে কিভাবে বাঁচানো হবে তার পথ বের করার জন্য, তদন্ত কমিটি করা হয় কোনভাবে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়া যায় কি না সেই পথ বের করার জন্য, তদন্ত কমিটি করা হয় ঘটনাকে সাজিয়ে গুছিয়ে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য। তদন্ত কমিটি নয় তদন্ত কমেডি ।

৩। বালিশে মাথা রাখা মাত্র ঘুমিয়ে পড়ার সৌভাগ্য আমার না। আমাকে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকতে হয়।

৪। আমাদের নবীজি (স.) মাছের গন্ধ সহ্য করতে পারতেন না। তিনি কখনো মাছ খান নি। একবার ইয়েমেনে তাকে মাছ খেতে দেয়া হয়েছিল। দুর্গন্ধ বলে তিনি সরিয়ে রেখেছিলেন।

৫। অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হল চার্লি চ্যাপলিন।

৬। কাল রাতে হুট করে খুব ভয় পেলাম, খুব। ভয়ে আমার হাত পা কাঁপছে। ঘামে সারা শরীর ভিজে গেছে। পাশে সুরভি গভীর ঘুম। উঠে যে ওয়াশ রুমে যাবো, সেই সাহসও পাচ্ছি না। সুরভিকেও ডাকতে পারছি না। বেচারা আমাকে দেখে ভরসা পায়। এখন যদি দেখে আমার এই অবস্থা, তাহলে তাকে ভরসা কে দিবে? কেন ভয় পাচ্ছি? নিজেকে বার বার বুঝাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলাম। মনে হচ্ছে ঘরে কেউ আছে, হাটছে, ফিস ফিস করে কথা বলছে। মনে হলো যেন তাদের নিঃশ্বাসের শব্দও পাচ্ছি। প্রচন্ড ভয়ে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।

নিজেকে নিজেই বারবার বুঝাচ্ছি- ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই, ভূত বলতে কিছু নেই, মন আমার বুঝ মানছে না। ঠিক এই সময় রান্না ঘরে বেসিনের কল ছাড়ার স্পষ্ট শব্দ শুনলাম। মনে হচ্ছে আজ আমি মরেই যাবো। ঘর অন্ধকার করে ঘুমানোর অভ্যাস আমার। ঘরের লাইট বন্ধ। কিন্তু আমি খুব গভীর ভাবে তাদের অস্তিত্ব টের পাচ্ছি। বাধ্য হয়ে সুরভিকে ডেকে তুললাম। সুরভি লাইট অন করে প্রচন্ড অবাক হলো। আমাকে জড়িয়ে ধরলো। বলল, কোনো ভয় নেই। ভয়ের কি আছে? এই যে আমি! ছোট বাচ্চারা ভয় পেলে বড়রা যেভাবে জড়িয়ে ধরে ভয় দূর করে ঠিক সেভাবে সুরভি আমাকে আগলে রাখলো। অনেকক্ষন পর ভয় কমলো। দুই মগ ঠান্ডা পানি খেলাম।

ভয়টা কেন পেলাম? ভয় পেয়েছি কারন রাতে ঘুমানোর আগে ভূতের বই পড়েছি। নাম 'দ্য থিং ইন দ্য ক্লজিট' কোলকাতার একজন অনুবাদ করেছে। সেই বইয়ে খুন খারাবি, মানুষ কাটাকাটি, মৃত মানুষ, কবরস্থান, রক্ত সবই ছিল। এর মধ্যে গতকাল মানে শুক্রবার পর পর দুইটা ভূতের মূভি দেখেছি। একটা হলো 'Drag Me To Hell' আরেকটার নাম 'জুলিয়া’স আইজ'।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:৪১
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×