১। হাজার বছর আগে, এথেন্সের রাস্তায় দুই কবির দেখা হল।
একজন জানতে চাইল, কি হে কেমন আছ? নতুন কিছু লিখলে নাকি?
শুনে অপরজন গর্বের সাথে জবাব দিল, আমি মাত্রই আমার জীবনের সেরা কবিতাটা লিখেছি। এটাই সম্ভবত গ্রীক ভাষার সেরা কবিতা।আমি এই কবিতাটা লিখেছি জিউসকে নিয়ে।
এরপর পকেট থেকে এক টুকরো কাগজ বের করে বলল, কবিতাটা আমার সাথেই আছে। তোমাকে পড়ে শোনাই।
এরপর কবি তার সুদীর্ঘ কবিতা পড়তে শুরু করলেন।
শুনে দ্বিতীয় কবি বললেন, অসাধারন লিখেছ। যুগের পর যুগ তোমার এই কবিতা টিকে থাকবে। আর তার সাথে টিকে থাকবে তোমার নাম।
শুনে প্রথম কবি খুশি হলেন।জানতে চাইলেন, আর বল, তুমি ইদানীং কি লিখছ?
দ্বিতীয় কবি জবাব দিলেন, আমি সম্প্রতি বলতে গেলে কিছুই লিখিনি। খালি সেদিন একটা বাচ্চাকে বাগানে খেলতে দেখে আটটা লাইন লিখেছি।
এই বলে আমি তুমি আমরা দ্বিতীয় কবি তার লেখা আটটা লাইন আবৃত্তি করলেন।
শুনে প্রথম কবি বললেন, খারাপ না। চালিয়ে যাও।
এরপর দুজন দুই পথে চলে গেলেন।
আজ দুই হাজার বছর পর, সেই আটটা লাইন প্রতিটি শিশুর মুখে মুখে। এই লাইনগুলো গেয়ে তারা হাসে, খেলে, আনন্দ করে।
প্রথম কবির কবিতাটাও আজও বেচে আছে। কিন্তু সেটা শুধুই লাইব্রেরীতে, বইয়ের পাতায়। না কেউ কবিতাটা ভালবাসে, না কাউকে সেটা পড়তে দেখা যায়।
২। মানুষের শ্রেষ্ঠ পরিচয় হচ্ছে মানুষ সৃষ্টিকর্তা । আজকের দিনের সভ্যতা মানুষকে মজুর করছে, মিস্ত্রি করছে, মহাজন করছে, লোভ দেখিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে খাটো করে দিচ্ছে । মানুষ নির্মাণ করে ব্যবসায়ের প্রয়োজনে, সৃষ্টি করে আত্মার প্রেরণায় । --- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
৩। “Bird By Bird” লিখেছেন অ্যান লেমট।
১৯৫৪ সালে জন্ম নেয়া মার্কিন লেখক অ্যান লেমটকে বলা হয়ে থাকে ‘জনতার লেখক’। গল্প এবং প্রবন্ধ দুই-ই তিনি সমান ভাবে লিখেছেন। তিনি একই সাথে একজন রাজনৈতিক কর্মী, বক্তা এবং শিক্ষক। মূলত সান ফ্রান্সিসকোতেই তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। তার রচিত প্রবন্ধগুলো মূলত আত্মজৈবনিক। নিজের রচনা সম্পর্কে এই লেখকের বক্তব্য হলো – আমি তা-ই লিখি যা লিখতে আমার ভাল লাগে; যাতে সত্য কথন থাকে, থাকে মানুষের জীবন ঘনিষ্ট হৃদয়ের অনুভূতি, আধ্যাত্মিক রূপান্তর, পরিবার, গোপনীয়তা, পাগলামী আর সর্বোপরি হাস্যরস। অ্যান লেমট রচিত “বার্ড বাই বার্ড” প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে। এটি এমন একটি বই যাকে লেখালেখি সংক্রন্ত বিষয়ে কোর্স বলা চলে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫