১। বই ধরার আগে হাত পরিষ্কার করে নিন। নইলে হাতে থাকা ময়লা বইয়ে লেগে থাকবে। যা যুগ যুগ আপনার অপরিচ্ছন্নতার নমুনা হিসেবে বক্র হাসি দিয়ে যাবে। চিহ্ন রাখতে বইয়ের পাতা ভাঁজ করবেন না। অনেকে পেন্সিল বা কলম জাতীয় ভারী কিছু দিয়ে বুকমার্ক রাখেন। চিহ্ন রাখতে হালকা কোনো কাগজ ব্যবহার করুন। বই পড়া শেষে বুকমার্কটি সরিয়ে ফেলুন। অনেকের বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টানো দেখলে মনে হয় যুদ্ধ করছেন। সর্তকতার সঙ্গে বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টান। এতে আপনার সংবেদনশীলতার পরিচয় মিলবে। বই অবশ্যই বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন। বাচ্চাদের পছন্দের খেলা হলো বইয়ে আঁকা-আঁকি বা বই ছিঁড়ে ফেলা।
২। একদিন বিকেলে বোটের ছাদে বসে রবীন্দ্রনাথ বই পড়ছিলেন, বই পড়ার সময় পা দোলানো তার অভ্যাস। তখন তার পায়ে ছিল কটকি চটি। হঠাৎ পা দোলানিতে এক পাটি চটি পড়ে যায় নদীতে। চটি জোড়া খুব পুরনো হলেও প্রিয় ছিল তার। বোট তখন মাঝ নদীতে। প্রবল স্রোত। চটি টি ভাসতে ভাসতে দূরে চলে যাচ্ছিল। রবীন্দ্রনাথ কোন কিছু চিন্তা না করে লাফ দিলেন নদীতে। বজরার সব কর্মচারী তো অবাক! জমিদার মশাই কেন ঝাঁপ দিলেন নদীতে! কোন অমূল্য বস্তুর জন্য? কিছুক্ষন পর রবীন্দ্রনাথ সাঁতরে ফিরে এলেন, তার মুখে বিজয়ের হাসি। আর হাতে সেই একপাটি চটি।
৩। পুরো ফেবরুয়ারী মাসটা নানান দিবসে ভরা। আগামীকাল বাংলা ১ ফাল্গুন, ইংরেজী ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯।
সমস্ত মেয়েরা হলুদ শাড়ি পরে বইমেলায় যাবে। আমার একটা কটকটা হলুশ শার্ট ছিল। খুব শখ করে বানিয়েছিলাম। সুরভী বলল, শার্ট কালার ভালো লাগে না। অথচ আমার ভীষণ পছন্দ। আমি যেন শার্ট না পড়েতে পারি তাই সুরভী শার্টটা কাকে যেন দিয়ে দিয়েছে। অবশ্য একটা হলুদ পাঞ্জাবী আছে। একবার পড়েছিলাম। আগামীকাল সেটাই পড়বো।
৪। পৃথিবীর ধূলোকণায় ভালোবাসার জন্য। কিন্তু ধূলোকণায় যখন সূ্র্যের আলো পড়ে তখন তা স্বর্ণরেনুর মত চিকচিক করে ওঠে। যখন বাতাসের স্পর্শ পায়, শিশুর নির্মল হাসির মতো কোমল হয়ে ওঠে। আকাশ থেকে যখন বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে তখন ভালোবাসার ধূলিকণা হেসে বলে- আমি তো ঐশ্বরিক। পৃথিবীতে নেমে এসেছি বিধাতার কল্যাণ এবং ক্ষমা হয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২