সুরভির সাথে তখন আমার প্রথম পরিচয়।
একদিন সুরভি বলল, তুমি যে আমায় ভালোবাসো, তোমার যোগ্যতা কী?
সত্যিকথা বলতে কি আমি অযোগ্য। সুরভীকে মুগ্ধ করবার মতো কোনও গুন আমারর জানা নেই।
আমি কেবল একটি কাজ'ই পারি, দেয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে মাথা পায়ের কাছে, পা মাথার কাছে, খানিকটা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে। এই কথা বলতেই সুরভী খুব হেসে ফেলল।
প্রতিটি মানুষ তার মনে এক আকাশ ভালবাসা জমিয়ে রাখে। তার কিছুটা মা-বাবার জন্য, কিছুটা ভাই-বোনের জন্য, কিছুটা পছন্দের মানুষটির জন্য। মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় অস্ত্র'ই হচ্ছে- ভালোবাসা। নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবেসে দেখুন- প্রমান পাবেন। ভালোবাসার কাছে একদিন না একদিন মানূষের মাথা নত করতেই হয়। শত্রুকেও ভালোবেসে দেখুন, শত্রু একদিন বন্ধু হয়ে যাবে। আমি কোনো মানূষের মুখে সহজে পাপ দেখি না বলেই, সহজেই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেই। খুব সহজেই তাকে ভালোবেসে ফেলি।
একবার মাদার তেরেসার কথা ভাবুন- নিজের দেশ ছেড়ে এসে অন্য দেশের কুষ্ঠ রোগীদের সেবা করতেন। আপনি যদি আপনার শত্রুকেও ভালোবাসেন- একদিন না একদিন সে আপনার বশ্যতা স্বীকার করবে। কাজেই মনের মধ্যে রাগ পুষে না রেখে- বিনা দ্বিধায় ভালোবেসে যান। মানুষের ছোট্র একটা জীবন কি দরকার হিংসা করার? ঘৃণা করার? আমি সমাজের দুষ্টলোক গুলোকেও ভালোবাসতে চেষ্টা করি। দুষ্টলোক গুলো খারাপ কাজ করে কারন তারা স্বচ্ছ পবিত্র ভালোবাসা পায়নি বলেই।
সুরভিরা বরিশাল থেকে ফিরে এসেছে।
জ্বর ঠান্ডা কাশি বাঁধিয়ে নিয়ে এসেছে। সকালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হয়েছে। নানান টেস্ট ফেস্ট করে আমার দুনিয়ার টাকা খরচ। গতকাল পহেলা ফালগুনে বের হয়নি। আজ ভালোবাসা দিবস, আজও বের হবো না। রাস্তায় ভয়াবহ জ্যাম। সীমাহীন জ্যাম। আমরা বাসায়'ই বেশ মজা করবো। কেক কাটবো। গান শুনবো, নাচবো। মুভি দেখব। গল্প করবো। বাসায় ভালো মন্দ রান্না করে খাবো। বিশেষ দিন গুলোতে বাইরে যাওয়ার চেয়ে বাসায় পরিবার নিয়ে নাচ-গান করে দিন পার করা অনেক ভালো।
(ব্যাক্তিগত ছবি ব্লগে দিয়ে দিলাম বলে, দয়া করে কেউ রাগ করবেন না। প্লীজ)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৫০