১। কবি আল মাহমুদ মারা গেছেন। প্রকাশ্যে শোক করতে লজ্জা লাগলে অন্তত মনে মনে শোক করুন। কেননা তিনি এদেশের বিশুদ্ধতম কাব্য প্রতিভা ছিলেন।
২। আল মাহমুদ সরকার বিরোধী নন, সে স্বাধীনতা বিরোধী। গোলাম আজমের তিন খন্ডের জীবনী সে রচনা ও সংকলন করেছেন, জামায়াতের হাতে একটি বড় মিথ্যাচরণ তুলে দিয়েছে। এই বুদ্ধিবৃত্তিক বেশ্যাগমন না করলেও উনার ভাত জুটতো এদেশে, কিন্তু তিনি জেনে শুনে বেশ্যাগমন করেছেন।
৩। কবি আল মাহমুদের মরদেহ শহীদ মিনারে না নেয়ার জন্য যে নাটক করলো সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, এরআগেও তাদের নাটক কাছ থেকে দেখেছি।
৪। এরচেয়েও নেক্কারজনক নাটক বাংলাদেশের মানুষ দেখেছিলো, যখন কবি শামসুর রাহমান মারা গিয়েছিলেন....সেদিন আজকের অনেক প্রতিবাদী কণ্ঠই মুখ বুজে মজা-দেখেছিলেন ....তবু এখন কেউ কেউ প্রতিবাদ করছেন। সময় ....বদলায়....এই সব নাটক একই থাকে।
৫। যে যত বড় কবি বা সাহিত্যিক বা রাজনীতিবিদ হোন না কেন যদি তিনি থাকেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী শক্তির সহায়ক ইন অ্যানি ফর্ম তার জন্য আমার কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই বা থাকবে না।
বোল্ড এন্ড ক্লিয়ার।
৬। "ছাত্রশিবির একমাত্র সংগঠন যারা নৈতিকবোধ এবং ঈমানের উপর দাঁড়িয়ে আছে"।
- কবি আল মাহমুদ।
এ উচ্চারনের দিনেই কবি আমার কাছে মৃত লাশ।
৭। হ্যাঁ শেষ জীবনে তাঁর কিছু ভুল থাকতে পারে, তার মানে এই নয় তিনি রাজেকার। বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি হিসেবেই তাকে আমরা মূল্যায়ন করব। কিছু অতি চেতনাধারী রাজাকার, রাজাকার বলে উল্লাশ করছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এর চেয়ে অনেক বড় রাজেকার আওয়ামী লীগে আছে।
৮। আমরা কবি ভাড়া করে আনি,হাসপাতালে শুয়ে থাকা,অর্থ কষ্টে ভোগা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবির খবর নেই না।
আর মৃত্যুর পর সে কি দরদ ...।গুগল কী উপকারটাই না করেছে, আল মাহমুদ পুরো মুখস্ত,যে কোনো কবিতা উদ্ধৃত করতে পারি!!!
৯। তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষবাদী না হয়ে ইসলামী ভাব ধারার কবি হওয়াতে উনাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অবহেলা করা হয়েছে l নায়ক নায়িকারা পেলেও প্রধান মন্ত্রীর তহবিল থেকে তিনি কোন অনুদান পান নি ।
১০। অবশেষে তিনি আবার সবার কবি হলেন!! এই বা কম কি? মাঝে মাঝে বোধহয় মৃত্যুও ভালো কিছু বয়ে আনে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩০