আমরা জাতি হিসেবে এখনও পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাইনি।
চেতনা আর মানবতা আমাদের মধ্যে আছে। প্রতিদিন বইমেলা তো অসংখ্য মানুষের ঢোল। বইমেলায় যাচ্ছে, বই কিনছে, আড্ডা দিচ্ছে, ছবি তুলছে। বইমেলায় আগত সবার মুখে আমি আনন্দ দেখতে পাই। সীমাহীন আনন্দ। আমাদের দুঃখ দূর্দশার শেষ নেই। তারপরও বইমেলার দিকে তাকালে মনে হয় আমরা এক আনন্দময় জাতি। মানুষ লিখছে, প্রকাশক বই ছাপিয়ে যাচ্ছে আরেক দল কিনছে, পড়ছে এবং মন্তব্য জানাচ্ছে। বইমেলাকে কেন্দ্র করে চারিদিকে আনন্দ বিরাজমান আছে।
ইসরাত বানু নামে একজনের কাছ থেকে জানতে পারলাম- তার জবানীতেই শুনি।
অনেকদিন থেকে ভাবছি একবার বইমেলায় যাব। সবাই যাচ্ছে, আমি পারছি না, এনিয়ে বেশ তাড়া ছিল মনে! টংগী থেকে এসে আবার কোথাও যাওয়া খুব কষ্টের! আজ সুযোগ এলো। ইস্তেমার কারণে কলেজে যাওয়া যায় নি।তাই ভাবলাম বই মেলাতে যাই।
ফাতেমা আমার দেখা সবচেয়ে কাজের মানুষ, তাকেই ধরলাম।সে তার নিজের মেয়ে আর বোনের মেয়ে নিয়ে যেতে রাজী হইলো, যদিও তার কলেজে আজ অনুষ্ঠান ছিল। ভালো মানুষ সে, আমার আবদার ফেলতে পারে নাই!
প্রথমদিকে ভালোই ঘুরছিলাম। বই কিনেছি ডজন খানেক আমি। ফাতেমাও কিনেছে! কিন্ত কী কাহিনি অপেক্ষা করছিলো জানি নাই!
হঠাত মনে হোল পা কেমন মুক্ত। তাকিয়ে দেখি হিল থেকে স্যানডেল আলাদা! এই নিয়ে কতবার এটা ঘটলো হিসাব নাই! আজ মনে হচ্ছে আমার হাঁটায় কোন সমস্যা আছে! নাহয় কেন এমন হবে?
আমি নীল হয়ে গেলাম ভয়ে! কারণ আধ মাইল খানেক না হাঁটলে গাড়ি উঠতে পারব না!
আমি খালি পায়ে এতখানি পথ হেঁটে গাড়িতে উঠেছি। মানুষ বিপদে পড়লে কী না করে!
বাসায় এসে কতবার যে পা ধুয়েছি। অবশ্য বইগুলা দেখলে আর কষ্টের কথা মনে আসছে না!
ছবি গুলো আমার তোলা না। ফেসবুক থেকে নিয়েছি। আমি নিজে এখন পর্যন্ত বইমেলায় যাইনি। কেন যাইনি আমি জানি না। অবশ্য হাতে সময় আছে। যে কোনোদিন বা যে কোনো মুহুর্তে যাবো। যারা বইমেলায় যাচ্ছে, ফিরে এসে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে- ছবি দিচ্ছে। সেই সব ছবি ও স্ট্যাটাস পড়ে আমি মুগ্ধ। প্রতিদিন এত এত ছবি আর স্ট্যাটাস পড়ে আমার মনেই হয় না- আমি বইমেলায় যাইনি। আমাদের ব্লগাররাও প্রতিদিন ব্লগে ছবি পোষ্ট করছেন ও লিখছেন বইমেলা নিয়ে। আমি দূর থেকে বসে খুব উপভোগ করছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৩