১। সাধু বা শুদ্ধ মানুষ হওয়ার জন্য- দূরে কোথাও যেতে হয় না, ধ্যান বা তপস্যারও প্রয়োজন নেই।। অন্তরের কয়েকটা ময়লা জিনিস বাইরে ফেলে দিতে পারলেই একজন শুদ্ধ মানূষ হওয়া যায় অতি সহজেই।
২। মুসলমান সমাজের বয়স নিতান্ত কম নয়। কিন্তু এত দীর্ঘকালের মধ্যে, একজন রুশো, একজন পিকাসো, একজন নিউটন জন্মাননি। এই সমাজ একজন রাজা রামমোহন, একজন বিদ্যাসাগর, একজন রাম তনুলাহিড়ী তৈরি করতে পারে নি। তার কারন, আমাদের সু-শিক্ষা নাই। জ্ঞানের মর্যাদা বুঝি না। সাহিত্যের আদর করি না। তাই আমাদের মধ্যে বিদ্বান নাই, বৈজ্ঞানি নাই, সাহিত্যিক-দার্শনিক ঐতিহাসিক নাই। যা আছে উহারা চাটুকার, দালাল এবং দুষ্টলোক।
৩। তসলিমা নাসরিনের লেখা কাউকে আঘাত দেয়, কাউকে আহত করে, কাউকে অবমানিত করে, কাউকে আনন্দিত, উৎসাহিত ও আশার আশ্বাসে উজ্জীবিত করে। কিন্তু দুনিয়ার কোনো ধর্মশাস্ত্রই নারী স্বাধীনতা স্বীকার করে না।
৪। নদীর পাড়ে রোদ পোহাচ্ছে এক কুমীর, পাশ দিয়ে যেতে যেতে এক শেয়াল দেখে কুমীরের সারা গায়ে জোঁক, রক্ত খাচ্ছে।
শিয়াল বলল, আরে ব্যাটা কুমীর, লেজটাও ঝাড়লে তো পারিস। কিছু জোঁক তো ঝাপটা খেয়ে মরে পালিয়ে যায়। রক্ত শূন্য হয়ে মরে যাবি তো শেষে।
কুমীর বলল, রক্ত যা খাবার খেয়ে নিঃসাড়ে পড়ে আছে, এখন গা থেকে এগুলোকে আর সরিয়ে দিতে চাই না, সরালে আবার নতুন জোঁক আসবে, নতুন করে রক্ত খাবার পালা শুরু হবে, কাজ নেই তাতে।
আমাদের এই দেশে তো- এক রাজাকে তাড়িয়ে আরেক রাজা...
৫। প্রকাশকের সাথে কথা বলে জানলাম, এবার নতুন লেখকরা যারা বই ছাপিয়েছেন- তারা বেশ ধরা খেয়েছেন। কারো বিক্রি হয়েছে ১১ টা, কারো ১৩ টা, কারো ১৯ টা। সবচেয়ে বেশি যার বিক্রি হয়েছে তার সংখ্যা ২৯ টা। নতুন লেখকের বিক্রি হওয়া এই বই গুলো আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব এবং কিছু পরিচিতরা কিনেছেন। তাতে প্রকাশকের কিছুই যায় আসে না। কারন নতুন লেখক প্রত্যেকে নগদ টাকায় এক শ' বই কিনে নিয়েছেন। কারো কারো দুই' শ বই কিনতে হয়েছে। পাঁচ শ'র বেশি প্রকাশনী আমাদের দেশে আছে। তারা অনেক বই বের করেন। কিন্তু সহজ সরল সত্য কথা হলো আমাদের দেশে পাঠক খুব কম। ১৮ কোটি মানুষের দেশে তিন কোটি লোকও ঠিকভাবে বই পড়েন না।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০০