একটি ভালো মেয়েমানুষ মানেই পৃথিবীতে স্বর্গের টুকরো। -রোমাঁ রোলাঁ।
১। বদু মিয়া ২ মিটার লম্বা একটা দড়িতে ছাগল বেঁধে বাজারে গেল। এসে দেখে ওইটা ৩ মিটার দূরে ঘাস খায়। ক্যামনে??
২। একদিকে অগনিত মানুষ দুমুঠো ডাল-ভাতের জন্য, গায়ে সামান্য দুটুকরো কাপড় জড়ানোর জন্য, ছোট একটা কুড়ে ঘরে মাথা গোজার ঠাইয়ের জন্য জীবিকার আশায় হন্যে হয়ে জলে-স্থলে ছুটে বেড়ায়, কঠোর পরিশ্রম করে মাথার ঘাম মাটিতে ফেলে; আবার অন্য দিকে কিছু মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে নিতান্তই শখ পুরনের জন্য যন্ত্রপাতি কিনে জলে-স্থলে ঘুরে বেড়ায় পানির নিচের ছবি তোলার জন্য, মানুষকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য । তাদের টাকাগুলো মনে হয় অতিরিক্ত হয়ে গিয়েছে । কি বিচিত্র এই দুনিয়া !!! এই দুনিয়ার মানুষগুলো !!!
৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে ক’টি প্রেমের গল্প লিখেছেন, ‘মেঘ ও রৌদ্র’ তার মধ্যে অন্যতম। স্বদেশের সাধারণ মানুষের ভীরুতা, অজ্ঞতা ও হীনম্মন্যতার পরিচয়টিও তিনি এখানে একেবারে নির্মোহ দৃষ্টিতে পরখ ও উপস্থাপন করেছেন।
এই গল্পটি লিখেছিলেন তার দৃপ্ত যৌবনে ১৮৯৪ সালে। তখন তিনি জমিদারি দেখাশোনার কাজে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে। গল্পের নামই যেখানে 'মেঘ ও রৌদ্র' সেখানে আকাশ যে তার মেঘ আর রোদের আলো-ছায়া নিয়ে জীবন এবং প্রকৃতির ওপর একটা প্রভাবসঞ্চারী ভূমিকা পালন করে যাবে, সহজেই তা অনুমান করা যায়।
আসলে রবীন্দ্রনাথের সমগ্র সাহিত্যকর্ম জুড়েই গড়ে উঠেছে মানুষ ও প্রকৃতির এক চমৎকার সহাবস্থান। মানুষের অব্যক্ত অনুভবকে ব্যক্ত ভাষার শিল্প মাধুর্যে অনবদ্যভাবে প্রকাশের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ যেমন বিস্ময়করভাবে পারঙ্গম ছিলেন প্রকৃতি বর্ণনাতেও ছিলেন তেমনি অনন্য।
৪। ব্লগে লোকজন একেবারেই কম। সেই জমজমাট ভাবটা খুব বেশী ভাটা পড়ে গেছে। একটা পোষ্ট প্রথম পাতায় অনেকক্ষন থাকে। পাঠক নাই। মন্তব্য নাই। বেশ কয়েকদিন ধরে শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী'কে ব্লগে পাচ্ছি না! এরকম আর কতদিন চলবে এই স্বাধীন দেশে? আচ্ছা, আসলেই কি আমরা স্বাধীন? আমি সামুর সমস্ত ব্লগারদের ফিরে পেতে চাই। তাদের লেখা পড়তে চাই। তাদের কাছ থেকে মন্তব্য চাই। আশা করি খুব দ্রুত সামুর সমস্ত সমস্যা কেটে যাবে। আসলো আসবে। আসবেই। আবার সামু আগের মতোন হয়ে যাবে ঝলমলে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮