আজ বাংলার আর একটি নতুন বর্ষের ১৪২৬ শুরু।
সম্রাট মহামতি আকবর কে স্মরন করছি আজ, তিনি বাংলায় কৃষকদের অর্থ নৈতিক কর্মকান্ডে উজ্জিবীত (খাজনা আদায় ) করার কল্যানে ও স্বার্থে গ্রামে, গন্জে, হাটে, ঘাটে, মাঠে বৃহত্তর বাংলার জন পথে পথে হালখাতা, বৈশাখী মেলা, লোকাল নাচ, ঘোড় দৌড়, নৌকা বাইচ, ফোগ গানের (সারি জারি )আয়োজন করে ছিলেন এই বৃহত্তর বাংলায় ( বাংলা বর্ষের বৈশাখ মাসে)।
এ’ দিয়েই মূলত বাংলা বর্ষের শুরু ১৪২৪ বছর আগে। এই হতেই আমাদের বাংলা বর্ষের শুরু, তাই বাংগালিদের রক্তে, মনে গেথে আছে এই সংস্কৃতি। আমাদের অঞ্চলের আবহাওয়া তাই বলে, বর্ষা ঋতু আসবার আগেই এই সময়ই গ্রাম - গঞ্জের মানুষ ফসল পেত, ইহাই একে অপরের মধ্যে বিনিময় করত, সরকারকে খাজনা দিত, আনন্দ করত, পুজি করত খাবার সারা বছরের জন্য। তাই, আমদের আর্থিক বছরও (April ) হতে শুরু হলে মন্দ হতো নয়!!
পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুনের স্বপ্ন রচনা করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৈশাখী গান গেয়ে নতুন বাংলা বছরকে স্বাগত জানাই আমরা। মিষ্টি মুখ, পান্তা ইলিশ আর নতুন দেশি পোশাকে আমরা এই দিনটিতে একদিনের জন্য হলেও পুরো বাঙালি হয়ে যাই।
পহেলা বৈশাখ আর পান্তা ইলিশ যেনো সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈশাখী মেলার প্রধান আকর্ষণ এখন পান্তা ইলিশ। তাও আবার মাটির সানকিতে। এখন তো অনেকে নিজের বাড়িতেই এই বিশেষ খাবারের আয়োজন করছে। আর এ কারণেই বৈশাখ আসার আগেই ইলিশের দাম চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্ব সেরা উৎসবের দিন। পুরাতনকে ভুলে নতুনকে আলিঙ্গন করার দিন ৷ এদিন গোটা বাঙালি আলোড়িত হয়, আন্দোলিত হয় নতুনের শক্তিতে।
আজ ধুয়ে মুছে যাক 'তুমি মুসলিম না হিন্দু' নামক অসভ্যতার সব ছাপ !!!
সবাইকে জানাই শুভ নববর্ষ।
মেলায় যাইরে...মেলায় যাইরে...মেলায় যাইরে......
সকলে ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, থাকুন আনন্দে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১২