এই সমাজে বুদ্ধিমান না হলে চলতে পারবেন না।
পদে পদে ঠকতে হবে। এই সমাজ বড় ভয়ঙ্কর। মানুষ গুলো বিরাট বদ। মানুষ আপনার মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাবে। যদি আপনি সহজ সরল হোন- তাহলে ঘরে-বাইরে, অফিস আদালতে বার বার হোচট খেতে হবে। অদৃশ্য ভাবে লাথথি খেতে হবে। অপমান অপদস্ত হতে হবে। তাই আপনাকে বুদ্ধিমান হতে হবে। হবেই। বুদ্ধিমান হওয়া প্রাকৃতিক ব্যপার নয়। অসহায় মানুষদের ভাবা হয় বোকা। চালাক ভাবা হয় শুধু ধনীদের। টাকার মাপকাঠিতে চালাক চতুরের পরিমাপ হয় এই সমাজে। সমাজের উর্ধতন লোকেরা নিজেদের চালাক চতুর ভাবেন। তারা টাকা দিয়ে সব জয় করে ফেলতে পারেন। মনে রাখবেন, পৃথিবীতে আসলে নতুন বলতে কিছু নেই। যা থাকার, তা আগে থেকেই আছে। তাহলে নতুন নতুন আবিষ্কার গুলো কিভাবে হয়? জিনিয়াসরা পৃথিবীতে থাকা আলাদা আলাদা বিষয় ও বস্তুর মাঝে সম্পর্ক খুঁজে বের করে সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে এই আবিষ্কার গুলো করেন।
মানব জীবনের সবকিছু 'কাজ' নির্ভর।
কাজেই নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং সর্বোপরি দেশের জন্য আপনাকে ভালো ভালো কাজ করতে হবে। আপনি কাজ করলেই আপনার গুন বা দোষ প্রকাশ পায় সেক্ষেত্রে কাজে কৌশলী হওয়া আবশ্যক। চাকরী করতে গেলে আপনাকে নানাবিদ সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। আজকাল এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে, চাকরী পাওয়ার চেয়ে চাকরী রক্ষা করা বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনার সহকর্মীরা আপনার সাথে হেসে হেসে কথা বলবে অথচ এরাই আপনাকে গোপনে বাঁশ দিবে। যাই হোক, কাজের কথায় আসি- বইপড়া সব মানুষেরই চালাক চতুর হবার প্রথম এবং প্রধান উপায়। বই পড়ার অভ্যাস যাদের আছে তারা অনেক কিছু বোঝেন অন্যদের চাইতে। মনে রাখবেন, বুদ্ধিমান বা চালাক চতুর হওয়া জেনেটিক ব্যাপার নয়। চীনারা অনেক বেশী কৌতুহলী আর পরিশ্রমী। তারা বিশ্বে অনেক বেশি চালাকও। কারিগরি জ্ঞান আর দক্ষতা তাদের চালাকীর অন্যতম কারন। নিজের ভুল গুলো শনাক্ত করুন। শুধরে নিন। আপনি যত বেশি মানুষকে কনভেন্স করতে পারবেন, ততই কাজের গতি আপনার স্মুথ হবে। আপনি সহজেই সাফল্যের দেখা পাবেন। সুন্দর একটি ফ্রেমের জন্য যেমন ফটোগ্রাফিতে দারুন দক্ষতা দরকার, তেমনি সুন্দর লাইটের জন্য পদার্থ বিদ্যা জানা জরুরী।
নিয়মিত দৈনিক পত্রিকা আর ব্লগ পড়ুন।
সবসময় নতুন কিছু শেখার জন্য প্রস্তুত থাকুন আর সুযোগ পেলেই শিখে ফেলুন। স্টিফেন হকিং যদি নিজেকে একজন কুস্তীগির হিসেবে তৈরি করতে চাইতো, সেটা বলা যায় একেবারেই একটা ব্যর্থ প্রচেষ্টা হত, আবার জন সিনা যদি বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং হওয়ার চেষ্টা করত, তাহলে আমরা তার মতো একজন বিশ্বসেরা রেসলারকে কখনোই পেতাম না। তাই কার ভেতরে কি লুকিয়ে আছে সেটা খুঁজে বের করাটাই সব থেকে কঠিন কাজ। এই সমাজে পরিবারের বাইরে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। যখন আপনি মানুষের মনে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারবেন, মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করতে শুরু করবে।
হুট করে কখনও সিদ্ধান্ত নিবেন না। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনেকবার করে ভাবুন।
লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চিকে বলা হয় সর্বকালের সেরা জিনিয়াস। তিনি ছিলেন একজন শিল্পী, গনিতবিদ, আর্কিটেক্ট, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং লেখক। এখানেই শেষ নয়; চিকিৎসা বিজ্ঞান, ভূগোল, জ্যোতির্বিদ্যা, শরীর-বিদ্যা, উদ্ভিদবিজ্ঞান, ইতিহাস এবং সাহিত্যে তাঁর ছিলো অসাধারন দখল। আমাদের প্রত্যেকের মনেই অনেক ভালো ভালো আইডিয়া আসে, কিন্তু একটু পরই আমরা সেগুলো ভুলে যাই। যার কারণে সেগুলো নিয়ে আর ভাবা হয় না। কাজেই আইডিয়া গুলো আলসেমি না করে লিখে রাখা উচিত। এবং অবসর সময়ে আইডিয়া গুলো নিয়ে ভাবতে হবে।
আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে আপনি জিনিয়াস হতে পারবেন, তবে আপনার মস্তিষ্কও সেভাবেই কাজ করতে শুরু করবে। কিছু জিনিস নিজের মধ্যে আয়ত্ত করে নিতে হবেই। যেমন- গুছিয়ে কথা বলা; উপস্থিত বুদ্ধি; পরিষ্কার পরিছন্ন; যে কোনো পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়া এবং নিজের আশে পাশের সম্পর্কে ভালো জানা শোনা থাকা বুদ্ধিমান হওয়ার কিছু অন্যতম দিক। এই সব দিক গুলো নিয়মিত চর্চার মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভম।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৯