১। সরল বিশ্বাসে এসব কথা বলা ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। দেশের মানুষ জানতে চায় প্রিয়া সাহা কেন এমন উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করল। এর সঠিক উদ্দেশ্য কি তা খতিয়ে বের করা হউক।
২। প্রিয়া সাহার অভিযোগ উস্কানিমূলক এবং দেশবিরোধী। তার শাস্তি হওয়া উচিত। প্রিয়া সাহার সৎ সাহস থাকলে তাঁর ক্ষোভের কথা দেশের প্রধানমন্ত্রীকেই জানাতেন।
৩। সংখ্যালঘুরা এই দেশে সব সময় দাপটের সাথেই চলছে, বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে সংখ্যালঘু পরিচয় দিলেই সবচেয়ে নিরাপদ। বরঞ্চ দাঁড়িওয়ালা, টুপিওয়ালা বেশ ধরে জঙ্গীপনায় জড়িয়ে পড়ার কারণে সমগ্র মাদ্রাসা ছাত্ররা, সাধারণ ধর্মভীরু মুসলমানরা আতঙ্কিত থেকেছে।
৪। একজন নারী অন্যায় করলেই আপনারা তাকে ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে আক্রমন করেন। দয়াকরে তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য সহযোগীতা করুন ব্যক্তিগত আক্রমন নয়। দয়া করে কোন ধর্মকে গালি দিবেন না।
৫। প্রিয়া সাহা যদি বাংলাদেশের সব হিন্দুর প্রতিনিধি হয়, তবে বাংলা ভাই সব মুসলমানের প্রতিনিধি। দ্বিতীয়টা যেহেতু মানবেন না, ফলে প্রথমটাও না মানা ভালো।
৬। প্রিয়া সাহার মিথ্যা অভিযোগে প্রতিবাদের ঝড় । তবে মন্দির ভাঙা, সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়িতে আগুন, দেশ ত্যাগে প্রতিবাদের ঝড় দেখিনা।
৭। ৭১ থেকে পরবর্তী সময়ের সংখ্যালঘুর সংখ্যা কি পরিমান লঘু হয়েছে তা আপনার আশে পাশের পাড়া-মহল্লার প্রতিবেশি কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সংখ্যা গুনলেই বুঝবেন কিছুটা। প্রিয়া সাহার পরিসংখ্যান শুনে হঠাৎ করে তাজ্জব লাগলেও বিষয়টা এড়িয়ে যাবার বা উড়িয়ে দেবার মতো নয়।৭১ থেকে এই সময়কাল ৪৮ বছরের ব্যবধান!!!এটা হুট করেই ঘটেনি। প্রিয়া সাহা মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে বলেছেন। দেশ বা সরকারের বিরুদ্ধে না। আর সংখ্যা লঘু গোষ্ঠীর বলেই অনেকের কাছে বোধহয় সেটা দেশদ্রোহিতা হয়ে গেলো!?
৮। আশা জেগেছে,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই দেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা আর লঘু হবে না। আশা জেগেছে এই ভেবে যে, এই ধরনের অন্যায়ের প্রতিবাদে জোটবদ্ধ হুংকারে মৌলবাদীরা দেশ ছেড়ে পালাবে। আর সেরকম কিছু যদি আগামীতে না হয় তাহলে জানবেন, দোষী প্রিয়া সাহা নন দোষী আজকের জোটবদ্ধ প্রতিবাদকারীরাই।
৯। হাইস্যকর! যেই বলদ হার্টের মধ্যে কিডনি খুইজা পায় প্রিয়া সাহা তার কাছে গেছে বাংলাদেশের নামে বিচার দিতে। হাইস্যকর! রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে হলে সরকার এবং রাস্ট্রের বিরুদ্ধে তো কিছু বলতেই হয়, না হলে তো রাজনৈতিক আশ্রয় সহজ হয় না.....
১০। উনি তো ওই সব দেশের নাগরিক না ভাই। উনার মনের খবর আমি জানি না। কিন্তু আমি যে কোন দেশের যে কোন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্যাতনের বিরুদ্ধে। উনি সুযোগ যেটুকু পেয়েছেন তাতে নিজের দেশের সমস্যার কথা আগে বলবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক।
১১। জঘন্য মিথ্যুক এবং চরম ধান্দাবাজ এক মহিলা এই প্রিয়া সাহা। সে তার উদ্দেশ্যে সফল হয়েছে। বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে সে জঘন্য সব মিথ্যা বলেছে শুধু মাত্র আমরিকায় সপরিবারে রাজনৈতিক আশ্রয় পাবার জন্যে । এখন আমরা সবাই তার বিরুদ্ধে যতো চিল্লা চিল্লি আর গালাগাল করি, তাকে যতো হুমকী দেই- তার রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া ততো সহজ হবে।
১২। প্রিয়া সাহাকে নিয়ে কথা বলা উচিত।কিন্তু তাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আপনি অতি সাম্প্রদায়িক হয়ে উঠছেন নাতো!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪