১। বিবর্তনবাদের প্রবর্তক ডারউইন তার মৃত্যুর পূর্বে ঘোষণা দিয়ে গেলেন যে, তিনি মৃত্যুকে বিন্দুমাত্র ভয় পাচ্ছেন না। ‘লাইফ এন্ড লেটারস অভ চার্লস ডারউইন’ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, জীবনের প্রতিটি ঘণ্টাকে তিনি কাজে লাগাবার চেষ্টা করেছেন। এক জায়গায় তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি একটি ঘণ্টাও নষ্ট করার সাহস পায়, সে জীবনের মূল্য খুঁজে পায় নি।”
২। কাঠুরিয়া একদিন সিদ্ধান্ত নেয়। এসপার কী ওসপার। হয় আমি থাকব না হয় মুখরা দজ্জাল বউ থাকবে। বড় দেখে একটা মজবুত ছালা আর মোটা তাজা দড়ি সংগ্রহ করল। কথা নেই বার্তা নেই বউ এর হাত-পা বেঁধে বস্তায় ভরে বস্তার মুখটা ভালো করে টাইট বান্ধা বেঁধে ঘাড়ে তুলে সোজা গহিন বনের মধ্যে চলে গেল। তারপর একটা বড় গর্তের খোঁজ পেয়ে সেই গর্তে ফেলে দিয়ে পিছনে না তাকিয়ে সোজা বাড়ি এসে ঘরে খিল দিয়ে বিশাল এক ঘুমের রাজ্যে বিশ্রাম নিতে থাকে। তিনদিন খুব আরামে ঘুম দিল কাঠুরিয়া। চারদিনের দিন কাঠুরিয়ার মনে হলো বাড়িতে কী যেন নেই। বাড়িটা খালি খালি লাগে। সুনসান ফাঁকা বাড়ি। কেউ কোনো কথা বলে না।
৩। ফেসবুকে দেখলাম, বাংলাদেশের লেখক সমাজ নাকি টাকা সংগ্রহ করছে। বানবাসী মানুষদের সাহায্যের জন্য। এবার তাদের টার্গেট ৫০ লাখ টাকা। লোকজন প্রচুর টাকা দিচ্ছে। লেখকরা তাদের ব্যাক্তিগত ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, বিকাশ নম্বর দিয়েছেন। সেখানে আমজনতা টাকা দিচ্ছে। এক ব্যাংকের এমডি এক লাখ টাকা দিয়ে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ ৫ শ' টাকাও দিয়েছেন। যারা টাকা দিচ্ছেন, ফেসবুকে তাদের নিয়ে লেখা হচ্ছে। 'অমুক লোক ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বানবাসী মানুষদের জন্য। তার ভালো হোক।' সাহিত্যের প্রতি তার ভালোবাসা আছে''। ইত্যাদি ইত্যাদি। গত কয়েক বছর ধরে এরকমই চলছে। কারন প্রতি বছরই বন্যা হচ্ছে। লেখকরা এগিয়েছে এসেছেন, সমাজের আরো প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে আশা করি।
বিষয়টা আমার ভালো লাগে। দুঃখী অসহায় মানুষদের জন্য কেউ তো এগিয়ে এলো। প্রতিটা পরিবারকে দুই হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। এবার টাকা দেওয়া হচ্ছে কুড়িগ্রামের লোকজনকে। বন্যায় তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। দুই হাজার টাকায় কি হয়? কিছুই হয় না। পাঁচ হাজার করে দিলে ভালো হতো। যাই হোক, যারা এই কাজ করছেন- তাদের জন্য আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। কিন্তু সেদিন দেখলাম, দুইজন লোক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এই লেখক সমাজ নাকি তাদের সংগ্রহ করা টাকা দিয়ে মদ খায়। পিকনিক করে। গত বছর নাকি তারা ত্রানের টাকা থেকে তিন লাখ টাকার মদ খেয়েছে। এটা যারা বলছে আমার মনে হয় তারা মিথ্যাচার করছেন। লেখকরা তো সমাজের আয়না। তারা মন্দ কাজ করতে পারেন না। নিজেরা ভালো কাজ করবে না, অন্য কেউ করতে গেলে সেখানে বাগড়া দেয়।
৪। মানুষের চোখে ফাঁকি দিয়ে লুকায়িত অপরাধ করে হিরো হলেও জিরো হতে সময় লাগে না। এবং নিচু জাত বলিয়া যদি কেউ আপনাকে মন্দিরে ঢুকতে না দেয়, পাক-পবিত্র হয়ে মসজিদে আসার আহবান রইল, এখানে রাজা প্রজা সবাই সমান।
৫। আমাদের গ্রামে একটা পাগল ছিলো। সে হঠাৎ হঠাৎ মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতো। কাকে গালাগালি করতো আমি জানি না। আমারও মাঝে মাঝে মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে গালাগালি করতে ইচ্ছা করে।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুন। ভালো রাখুন। নিরাপদে রাখুন। ধন্যবাদ সবাইকে। (সংগ্রহীত)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩৭