১। নেপোলিয়ান নিজের দাঁড়ি নিজেই কামাতেন।
অন্য কারো হাতে দাঁড়ি কাটাতে তিনি ভয় পেতেন। তিনি বলতেন, অপরের হাতে অমন ধারালো অস্ত্রটির সামনে নিশ্চিত গাল-গলা এগিয়ে দেবো তেমন বোকা আমি নই। দাঁড়ি নিজে কামালেও তার সাহায্যকারী লোক লাগতো বেশ কয়েকজন। একজন সামনে ধরে রাখতো আয়না। আর একজন ধরতো পানির পাত্র। তিনি সারা ঘর হেঁটে হেঁটে দাড়ি কামাতেন।
দাড়ি কামানোর ব্যাপারে সাবধান থাকলেও খাবার ব্যাপারে কিন্তু এত সাবধান থাকতে পারতেন না নেপোলিয়ান। খেতে বসলে জামা কাপড়ে তরকারীর ঝোল মেখে একাকার করতেন, ছুরি-কাটা সামলাতে পারতেন না। কাপ-ডিশ, গ্লাস অনবরত ভেঙ্গে ফেলতেন। অনেক সময় ছুরি কাটা ফেলে হাত দিয়েই খাওয়া শুরু করতেন। তাঁর প্রিয় খাবার ছিলো মুরগীর রোস্ট। আর তা গরম হওয়া চাই। কিন্তু তিনি কখন খাবেন তা নির্দিষ্ট না থাকায় পাচকেরা প্রতি ১৫ মিনিট পর পর একটি করে মুরগী রোস্ট করত।
২। আমরা একটি দেশকে সবচেয়ে ভালো করে চিনি-জানি তাদের সাহিত্যের মধ্য দিয়ে। পৃথিবীর সব দেশের লেখকরা একই জাতের।
জাতিগত ভাবে রাশিয়ানরা সবচেয়ে বেশী বই পড়ে। এক হাজার জন শিক্ষিত লোকের মধ্যে ৯৯০ জনের বই পড়ার অভ্যাস আছে।
৩। বইঃ দি আলকেমিস্ট। লেখকঃ পাওলো কোয়েলহো।
কোয়েলহোর সবচেয়ে বিখ্যাত ও জনপ্রিয় উপন্যাস এটি। এএফপির হিসেবে বাংলাসহ ৫৬ টি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে আর বই বিক্রি হয়েছে ৩ কোটিরও বেশি। জীবিত কোনো লেখকের লেখা এত বেশি ভাষায় অনুদিত হয়েছে, ফলে তার রেকর্ড রয়েছে গিনেস বুকে। এই বইয়ের অনেক ডায়লগ সিনেমাতে ব্যবহার করা হয়েছে।
৪। গরীবের জেলে যাওয়ার অনুভূতি বর্ণনা এমন, ‘শ্বশুর ঘর থেকে ফিরলুম দাদা। বেশ ছিলাম গো!’
৫। মেয়েদের ছোট করে দেখার প্রবনতা আমাদের সমাজে আছে। আমি নিশ্চিত মেয়েদের মানসিক ক্ষমতা পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশী। তবে সেই ক্ষমতার অনেকটাই নষ্ট হয় স্বামী নামক মানুষটি এবং সন্তানকে সুখী রাখার নানান প্রক্রিয়া উদ্ভাবনে। আর নিজেকে আড়াল করে রাখার এক বিচিত্র প্রবনতা।
৬। অধিকাংশ কবি তাজমহল নিয়ে কবিতা লিখেছেন তাজমহল না দেখে। এর মধ্যে আছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তবে তার অতি বিখ্যাত কবিতা 'শা-জাহান' অবশ্য তাজমহল দেখার পর লেখা। তাজমহল নিয়ে আমিও একটা কবিতা লিখেছিলাম। কবিতার নাম দিয়েছিলাম- 'তাজমহলের গায়ে সবাই মদ ঢালো'।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১২