somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

নবী রাসূলগনের অলৌকিক ঘটনাবলি

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অলৌকিক ঘটনা সব নবী-রাসূলের জীবনেই ঘটেছে।
কারণ প্রত্যেক নবী ও রাসূলের সাথে আল্লাহর যোগাযোগ ছিল। আল্লাহর নির্দেশেই অলৌকিক ঘটতো এবং এ ধরনের ক্ষমতা আল্লাহ-প্রদত্ত ক্ষমতারই নিদর্শন। পবিত্র কোরআনে হযরত মূসা ও হযরত ঈসা আঃ এর অনেক অলৌকিক ঘটনার কথা বলা হয়েছে। হযরত আদম আ. থেকে শুরু করে হযরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সকলেই আল্লাহর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে মোজেযা (অলৌকিক ক্ষমতা) পাপ্ত হয়েছেন। মানুষকে সুপথ দেখানো ও তাদের মুক্তি বা কল্যাণের ব্যবস্থা করাই ছিল নবী-রাসূলগণের মিশনের উদ্দেশ্য। যে কোনো নবীর জন্মের সময় ও তার কিছু আগে এবং পরে অলৌকিক নানান ঘটনা ঘটেছে, যাতে সাধারাণ মানুষ আল্লাহর নবীকে মেনে নেয়ার জন্য প্রস্তুত হতে পারে। এবং কোনো দ্বিধা না থাকে।

একজন নবীর গায়ে মোট ৪০ জন পুরুষের সমান শক্তি থাকে।
অনেক নবীর আশ্চর্যজনক শারিরীক শক্তির কথা কোরআন হাদীসে পাওয়া যায়। যেমন দাউদ আলাইহিস সাল্লাম উনার সময়ের কাফের বাদশাহ জালুতকে জিহাদের ময়দানে মাত্র ৩ টা পাথরের টুকরার আঘাতে হত্যা করে ফেলেছিলেন। যদিও বাদশাহ জালুতের পুরা শরীর লোহার বর্ম দ্বারা ঢাকা ছিল। হযরত আলী রাঃ স্ত্রীর উপর রাগ হলে ওযু করতেন, মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে নিজের ক্রোধ দমনের চেষ্টা করতেন। কিন্তু কখনও স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতেন না। অথবা স্ত্রীর সাথে শয্যা ত্যাগ করতেন না। স্ত্রীকে বুঝাতেন। স্ত্রী না বুঝা পর্যন্ত তিনি চেষ্টা চালিয়ে যেতেন। এযুগে দেখা যায় স্বামীরা স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে এবং নানান রকম কুৎসিত গালিগালাজ করে। স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া দেখার জন্য চারপাশে মানুষজন জমে যায়।

হযরত মুসা আঃ বনী ইসরাইল বংশের এক ব্যক্তিকে বাঁচাতে গিয়ে ফেরাউনের গোত্রের এক ব্যক্তিকে সামান্য একটা চড় মেরেছিলেন। আর মুসা আঃ সামান্য একটি চড়ের আঘাতেই ঐ ব্যক্তিটি মারা যায়। হজরত মূসা (আ.) যখন তার লাঠিটি মাটিতে নিক্ষেপ করতেন, তখন তা প্রকাণ্ড অজগরের রূপ ধারণ করত। আবার যখন তিনি সেটি ধরতেন, তখন তা লাঠিতে রূপান্তরিত হতো। এটা দেখে সব দুষ্টলোকেরা দৌড়ে পালিয়ে যেত। হজরত ঈসা আ. আল্লাহর হুকুমে জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে সারিয়ে তুলতেন। এমন কি মৃত ব্যাক্তিকে জীবিত করে তুলতেন। (সুবাহানাল্লাহ)

যে ভোর বেলায় মহানবী সা. জন্ম নেন-
সেদিন বিশ্বের সবগুলো মূর্তি আর সমস্ত গাছের পাতা মাটির দিকে নত হয়ে পড়েছিলো। বিশ্বনবীর মাতা মা আমিনা রা. বলেছেন, আল্লাহর কসম, আমার পুত্র জন্ম নিয়েই তাঁর হাত গুলোকে মাটিতে রেখে মাথা আকাশের দিকে তোলে এবং চারদিকে তাকায়। এরপর তার থেকে একটি নূর বা আলো ছড়িয়ে পড়ে ও সে আলোয় সব কিছু দৃশ্যমান হয়। হজরত আলী রা. বলেছেন, (সে রাতে) সা. এর জন্মের রাতে পুরো দুনিয়া আলোকিত হয়। প্রতিটি পাথর ও মাটির টুকরো এবং বৃক্ষ বা গাছ হেসেছে।

মক্কার রুকানা নামক একজন বড় কুস্তিগীর ছিলেন।
যাকে হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে শুরু করে কেউ কুস্তিতে হারাতে পারেনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই রুকানা কুস্তীগীরকে পরপর ৩ বার কুস্তিতে হারিয়েছিলেন যা দেখে মক্কার সকল কাফেররাও অবাক হয়ে গিয়েছিল। তাই নবীজী সাঃ এর শারিরীক শক্তি আমাদের থেকে অনেক অনেক বেশি ছিল এতে কোন সন্দেহ নাই। একজন পুরুষ যদি তার শারিরীক শক্তির তুলনায় একটি বিয়ে করেন তাহলে তো সেই হিসাবে নবিজীর সাঃ এর আরো অনেক গুলো বিয়ে করার কথা। খন্দকের যুদ্ধে পরিখা খননের সময় যেই পাথর সকল সাহাবীরা সম্মিলিত ভাবেও ভাঙতে পারছিলেন না, সেই পাথর ভালোবাসার নবী সাঃ মাত্র ৩ টা হাতুড়ির আঘাতে চূর্ন বিচূর্ন হয়ে যায়। সুমাহানাল্লাহ। আল্লাহ মহান।

একদা নবী করিম সা. খায়বারের কাছে ‘সাহবা’ নামক স্থানে ছিলেন।
তার মাথা মোবারক হজরত আলী রা. কোলে রেখে বিশ্রাম করছিলেন। হজরত আলী রাঃ কিন্তু আসরের নামাজ আদায় করেননি। এমতাবস্থায় ওহি নাজিল শুরু হলো। শেষ পর্যন্ত সূর্য অস্তমিত হয়ে গেল। নবীজি সা. জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি আসরের নামাজ আদায় করেছ?’ হজরত আলী রা. বললেন, ‘না’। তখনই রসুলুল্লাহ সা. দুই হাত আকাশের দিকে তুলে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! আলী আপনার রসুলের অনুগত, সূর্য ফিরিয়ে দিন, যাতে সে আসরের নামাজ সঠিক ওয়াক্তে আদায় করতে পারে। বদর যুদ্ধের সময় নবীজী সাঃ শত্রুদের দিকে এক মুঠো মাটি ছুড়ে দেন, ফলে তারা অন্ধ হয়ে যায়, এই অলৌকিক ঘটনা কুরআনে উল্লেখ করা হয়, সূরা আল আনফাল, আয়াত ১৭।

মহান আল্লাহ আমাদের কোরআন, হাদীস ও নবী রাসূলের দেখানো পথে চলার তৌফীক দান করুন। তবেই না আমাদের জীবন সহজ সরল সুন্দর হবে। আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×