somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আমি বই পড়ি

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



'আদর্শ হিন্দু হোটেল' লেখক-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কতগুলো সাধারণ মানুষের অসাধারণ জীবনযাপন তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে। ইংরেজ সময়ের পটভূমিতে এ উপন্যাসে লেখক তৎকালীন ব্রাহ্মণ সমাজের একজন 'রাঁধুনী বামুণ', হাজারী দেবশর্মার জীবনকথা। 'দাম্পত্য কলহ' সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় এর বই। দাম্পত্য জীবনের মান অভিমান, খুনসুটির উপর লেখা। অসম্ভব মজার ও চিত্তাকর্ষক। আজিজুল হকের লেখা 'কারাগারে ১৮ বছর'। লেখক এই বইতে নকশাল যুগে কারাগার জীবনের কঠিন, কষ্টকর ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন। বাংলা ভাষাকে বুঝতে হলে বুঝতে হবে বাঙালিকে। সাথে বাঙালির মন ও মননশীলতাকেও। আর সেজন্য আপনি পড়তে পারেন হুমায়ুন আজাদের লেখা 'সীমাবদ্ধতার সূত্র'। আমার মতে, বাঙালির চরিত্রের চিত্রণ এর আগে এত স্পষ্টভাবে আর কোন বাঙালি লেখক লেখেন নি।

'গল্পে বেদান্ত' স্বামী বিশ্বাশ্রয়ানন্দ এর লেখা।
খুব ছোট বই। তবে চমৎকার লেখনী। ছোটোদের জন্য লেখা হলেও বড়দেরও ভালো লাগবে বইটি। 'আমার আমি' উত্তম কুমার এর লেখা। আত্মজীবনী মূলক বই। উত্তম কুমার কোটি বাঙ্গালীর প্রিয় অভিনেতা। 'সমুদ্রের ডাক' কার্টুনিস্ট আহসান হাবীবের অসাধারন উপন্যাস। ওবায়েদ হকের 'তেইল্লা চোরা'। মুক্তিযুদ্ধের উপর ভিত্তি করে লিখা একটি বই। যেটি একজন চোরের দৃষ্টিকোণ থেকে লিখা। গ্রামের কাইল্লা চোরা নামক চোর প্রথমবারের মতো চুরিতে হাতেনাতে ধরা পড়লে গ্রামের মানুষ তাকে মারধর করতে কোনো কার্পণ্য করেনি। এই মারধরে কাইল্লা চোরার মৃত্যু হলে তার ছেলের করুন নিয়তি তাকেও বাধ্য করে সেই একই পথে যেতে। সে হয়ে যায় তেইল্লা চোরা। এই গল্পটা তাকে ঘিরেই। তার জীবন সংগ্রাম, তার দেশের জন্য চিন্তা চেতনা সব প্রকাশ পায় এই বইয়ে। সেই সাথে গ্রামীণ বাংলার মানুষের কিছু মনোভাব খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করা হয়েছে।

বইয়ের নাম- 'কেরী সাহেবের মুন্সী' লেখক- প্রমথনাথ বিশী।
বইটা খুব সুন্দর। পড়ে ভালো লেগেছে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বই 'আমি কি বাঙালি?' জহির রায়হানের উপন্যাস 'শেষ বিকেলের মেয়ে' দারুন একটা উপন্যাস। উপন্যাসের নায়ক কাসেদ যখন সব কিছু হারিয়ে (মা, ভালবাসার মানুষ জাহানারা, শিউলী, বোন) বিষন্নতায় ভুগছিলো ঠিক তখনেই লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন এক রোমাঞ্চকর কাহিনীর। দেবেশ রায়ের 'আত্মীয় বৃতান্ত'। একজন মহিলা একজন পুরুষকে বিয়ে করে। মহিলার ঘরে ছিলো এক মেয়ে আর পুরুষটার ঘরে এক ছেলে। তারা সবাই একসাথে মহিলাটার ঘরে থাকতে শুরু করে। চমৎকার কাহিনী। 'শ্রীকান্ত' শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর। আমার জীবনে পড়া সেরা বইয়ের একটি। উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র শ্রীকান্তের কিছু আসাধারণ ভাবনা এই গল্পে উঠে আসে যেগুলো আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে।


দেবতা বাংলায়, আরবিতে ফেরেশতা যাদের বিশ্বাসের সূচনা করেছিল গ্রীকরা।
সর্বশেষ এই বিশ্বাসের উপর রচিত গ্রন্থ কুরআন যা আরব অধ্যুষিত। প্রিয় ব্লগারগন আমি কিন্তু আস্তিক। সৃষ্টিকর্তা আছে এইটা আমি বিশ্বাস করি। পরকাল আছে এটাও আমি বিশ্বাস করি। যদিও কঠিনভাবে ধর্মকর্ম করি না। তবে চেষ্টা করি। কুরআন মাজিদে সুরা বাকারার ১৫৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, 'হে ঈমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য এবং সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথেই আছেন'। আমি ভীষণভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাসী। তবে নামাজ-রোজা করা হয় না। ওই বিপদে পরলে একটু নাম জপতে থাকি এই ধরনের। কিন্তু 'গৌরিপুর জংশন' পড়ার পর নিজেকে এতটাই আশীর্বাদপুষ্ট লাগলো;মনে হলো সৃষ্টিকর্তা রোজ আমার কাছে কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ পাওনা। ধর্মীয় বইসমূহ ইতিবাচক দিকসমূহের নির্দেশনা দেয়। আত্নউন্নয়নমূলক, দর্শন, মনোবিজ্ঞান ও বর্হিবিশ্বের বইয়ের পাশাপাশি ধর্মীয় বইও পড়া জরুরি বন্ধুগন। এই ধর্মীয় বইগুলো ইহকাল ও পরকাল উভয়ের জন্য পরিপূর্ণ গাইডলাইন।

প্রশ্নঃ কে পৃথিবীর নাম 'পৃথিবী' দিয়েছে?

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪১
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×