মানুষের যে কত রকমের সমস্যা।
সুগারে সমস্যা। ডাক্তার প্রতিদিন ছয় বার সুরভিকে সুগার টেস্ট করাতে বলেছে। খাওয়ার আগে একবার, খাওয়ার পর আরেকবার। ছয়বার আঙ্গুল ফুটো করে রক্ত বের করতে হয়। সুগার টেস্টের মেশিন আছে আমাদের। কিন্তু স্টিক শেষ। সেই স্টিক কোথাও খুঁজে পেলাম না। তাই নতুন মেশিন কিনতে হলো। নতুন মেশিনের সাথে ২৫ পিচ স্টিক থাকে। প্রতিদিন ছয়টা স্টিক লাগে। মেশিন কিনতে গিয়েও নানান তালবাহানা। কোনো দোনানে মেশিনের দাম ৯ শ' টাকা, আবার কোনো দোকানে দুই হাজার থেকে চব্বিশ শ' টাকা দাম। আমি দোকানিকে বললাম, আপনি চব্বিশ শ' বলছেন, অন্য দোকানে তো ৯ শ' টাকা চাইলো। দোকানি বলল, ঐ মেশিন ভালো না। সঠিক হিসাব পাবেন না। আমাদের মেশিন ভালো। কিনলাম চব্বিশ শ' টাকা দিয়েই। চব্বিশ শ' টাকার মেশিন কয়দিন চললো, তারপর ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেল। সেই ব্যাটারি কিনতে যেতে হলো বায়তুল মোকারম। শেষ হলো স্টিক। স্টিক কিনতে গেলাম। এখন স্টিক পাই না। যে দোকান থেকে মেশিন কিনলাম তাদের কাছেও স্টিক নেই। নতুন স্টিক আসতে দশ পনের দিন সময় লাগবে।
১।
পরী আর পরীর মা মিলে বোতলে রঙ করেছে।
২।
তাইয়্যেবা'র নয় মাস হয়ে গেছে। সেদিন এসেছিলো সে আমাদের বাসায়। বাচ্চাটা কান্না করে না। সারাক্ষণ হাসে।
৩।
চাষের মাছকে বলছে নদীর মাছ। মিথ্যা কথা ছাড়া কি বেচা বিক্রি হয় না?
৪।
এই কবুতর আমার কাছে প্রতিদিন আসে। আমি তাকে খাবার দেই। মাঝে মাঝে সে তার বন্ধুকেও নিয়ে আসে। আজ তো পুরো এক পাতিল ভাত দিয়েছি। গতরাতে ভাত খেতে পারি নি। ভাত খেতে গিয়ে দেখি ভাতের মধ্যে একটা তেলাপোকা ঘুরছে।
৫। সেদিন বাগিচা মসজিদের কাছে দেখি একটা ট্রাকটর। এই ট্রাকটর চাঁদগাজীর কথা মনে করিয়ে দেয়।
৬। আকাশ থেকে একটা পরী নেমেছে।
৭। রেইন লিলি। অযত্ন, অবহেলার পরেও দু'দিনের বৃষ্টিতে ফুল দিয়েছে।
৮।
গলায় সাপ প্যাচিয়ে দোকান, দোকান থেকে টাকা নিচ্ছে। আমি সাপ খুব ভয় পাই। ভূতকেও এত ভয় পাই না।
৯।
এটা কি ছবি? কেন তুলেছি জানি না।
১০।
তাইয়্যেবা আগামীকাল আবার আসবে। হে হে---
১১। দুই ভাই জন্ম প্রতিবন্ধী। ভিক্ষা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নাই। মার্কেটের ভিতর সারাদিন বসে ভিক্ষা করে।
১২। এই মাছটা খেয়ে আমি আরাম পাই না।
১৩।
কারা এখানে টাকা পয়সা দেয়? কেন দেয়? সারা ঢাকা শহরে অনেক জাগায় এরকম ব্যাঙ্ক দেখা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০০