somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

নারী ও ধর্ম

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শুধুমাত্র তোমার ভদ্র আচার-ব্যাবহার, তোমাকে অনেকের মধ্যে অন্যতম করে তুলতে পারে। তোমার সাথে হয়তো কারো মতের অমিল হতে পারে, কিন্তু তার মানে এই না যে তার সাথে তুমি অভদ্র আচরণ করবে। অন্যদের সম্মান করতে শিখো, তাতে তোমার কোন ক্ষতি হবে না।

মেয়েদের মধ্যে একটা সহজাত ব্যক্তিত্ত্ব থাকে, যা তাদের সৌন্দর্য্যের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। ফেমিনিন সাইকোলজির একটা বড় অংশই এই ব্যক্তিত্ব সত্তাটা নিয়ে, যা মূলত তাদের সম্পূর্ণ নারী জীবনকে নিয়ন্ত্রিত করে। পৌরুষের ব্যক্তিত্ব বলতে যা বোঝায়, এর ধরন তা থেকে একদমই আলাদা। একজন পুরুষ যেমন মাতৃত্বের অনুভূতি সম্বন্ধে কখনো ধারণা করতে পারবেনা, তেমনি এই নারীসত্তা সম্বন্ধেও কখনো স্পষ্ট ধারণা করতে পারবে না। নারীদের এই নিজস্ব ব্যক্তিত্বের কথা সর্বপ্রথম বলেন সিগমুন্ড ফ্রয়েড।

কোন মানুষ যদি নিজেকে ভাবে “আমি সুন্দর”, তবেই সে সুন্দর। কার কাছে ভালো লাগলো কার কাছে লাগলো না সেটা কোন কথা না, যদি তার নিজেকে ভালো লাগে। নিজেকে সুন্দর ভাবার কারণে তার মধ্যে সৌন্দর্য্যজনিত আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য তৈরী হয়, যা তার ব্যক্তিত্বে প্রচুর প্রভাব ফেলে। ফ্রয়েডের ভাষায়, তার চেতন ও অবচেতন মন তাকে সুন্দর হিসেবে ঘোষণা করবে। আধুনিক সাইকোলজির ভাষাও ফিজিক্সের মতোইঃ সবকিছু আপেক্ষিক। সাইকোলজির প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনেকগুলো করে মতবাদ আছে, অনেকক্ষেত্রে সেগুলো বিপরীতও হতে পারে।

বাংলাদেশের অনেক মেয়েই নিজেদের চেহারা নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগে। যারা এই সমস্যায় রয়েছে, তারা নিজেরা কোনো দোষ না করেও কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের গোটা সমাজটাই শুধু মেয়েদের বাইরের রূপের ওপরেই সবটুকু গুরুত্ব দিয়ে রেখেছে। পরিবারের ভেতরে, বাইরে এবং কর্মক্ষেত্রে প্রায় সব জায়গাতেই মেয়েদের বাইরের সৌন্দর্য নিয়ে খুব আলোচনা হয়। যে মেয়েটি দেখতে একটু কম সুন্দর তাকে অনেক নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হয় নিজের পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে।

জিন এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার জটিল পারস্পরিক ক্রিয়ার ফলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশ ও কর্মক্ষমতার বিপর্যয় ঘটলে মানসিক রোগ দেখা দিতে পারে। মানুষের জন্যে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে, না, পৃথিবীর জন্যে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে? ব্যক্তিত্বের ধরন, মনের অসুখ, চাপ, উৎকণ্ঠা, বিষণ্নতা ইত্যাদি মানসিক অবস্থা হৃদরোগের অন্যতম কারণ বলে আবিষ্কৃত হয়েছে। আবেগের নানা রকম সমস্যা, মানসিক চাপ ও ব্যক্তিত্বের ধরন হৃদরোগের অন্যতম একটি কারণ। রোগবালাই মুক্ত থাকা যেমন দরকার তেমনি দরকার চিত্তের প্রফুল্লতা, মনের শান্তি সব মিলিয়েই মানসিক স্বাস্থ্য। মন ভালো থাকলে শরীর ভালো থাকে একথা ঠিক। কিন্তু মন খারাপ থাকলে শরীর ভালো থাকবে একথা ঠিক নয়।

হঠাৎ রেগে যাওয়া রোগের কারণ এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে এ রোগের প্রকোপ খুব বেশি নয় বলেই ধারণা করা হয়। সাধারণত পুরুষের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। অল্প পরিমাণে হলেও মহিলাদের মধ্যেও এ রোগ দেখা যায়। ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে আমরা সব কিছু প্রত্যক্ষ করে থাকি। এই প্রত্যক্ষকরণ বা উপলদ্ধিতে অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেলে সেটাকে মানসিক রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উপলদ্ধিগত অস্বাভাবিকতা দুধরনের হতে পারে- ইল্যুশন ও হ্যালুসিনেশন। মনীষীরা বলতেন, মনে সুখ না থাকলে প্রকৃত সুখী হওয়া যায় না। ডাক্তাররাও তাই বলেন।

যে ভদ্রলোকটি ফিটফাট হয়ে অফিসে যান, লোকজনের সাথে কথা বলেন প্রাণ খুলে, ব্যক্তিগত জীবনে সৎ ও ধার্মিক, কিন্তু বাসায় ফিরেই কারণে-অকারণে স্ত্রীকে নির্যাতন করেন। কেননা তাঁর ধারণা স্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে মাঝেমাঝে নির্যাতন করতে হয়। তিনি কি মানসিক রোগী নন? বেঁচে থাকলে সমস্যা আসবেই। তাই যে কোনো সমস্যাকে সহজভাবে নেয়াটা সমস্যা সমাধানের প্রথম স্টেপ। তাই ছোটখাটো সমস্যাকে জীবনের নিত্যদিনের অংশ মনে করে নিন। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো কিন্তু অতি বিশ্বাস থাকা ভালো নয়। এ কারণে মাঝেমধ্যে অন্যের চোখে নিজেকে দেখুন। আপনার সম্পর্কে তাদের মতামত জানুন। দেখবেন অনেক কিছু সহজ হয়ে উঠছে জীবনে।

সব ধর্মেই নারীকে সম্মানজনক স্থান দেয়া হয়েছে। তারপরেও নারী নির্যাতিত হয়, যা মোটেও উচিত নয়। কিন্তু আমাদের দেশে সমাজের কিছু পুরুষ নারীদের কোনো মূল্য দেয় না। তাই তারা নানা রকম নির্যাতনের শিকার হয়। কবি জসীম উদ্দীন তার 'কবর' কবিতায় লিখেছেন- ‘‘এইখানে তোর বুজির কবর পরীর মতন মেয়ে/ বিয়ে দিয়েছিনু কাজীদের ঘরে বুনিয়াদী ঘর পেয়ে।/ এত আদরের বুজিরে তাহারা ভালবাসিত না মোটে/ হাতেতে যদিও না মারিত শত যে মারিত ঠোঁটে।" কবি জসীম উদ্দীনের এই কবিতাতে রয়েছে আমাদের দেশের নারীরা কতটুকু মানসিক নির্যাতনের শিকার তার প্রতিফলন বর্তমানে নারীর উপর এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, যৌতুকের কারণে হত্যা করা, কথায় কথায় তালাক দেয়া এসব নির্যাতনের পাশাপাশি মানসিক নির্যাতনের মাত্রা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে।

ছবিঃ আমার তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৭
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×