somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

হিটলারের চিত্রকর্ম

০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ৯:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নাৎসি পার্টির নেতা হিসেবে জার্মানির শাসনভার নেয়ার আগে হিটলার চেয়েছিলেনে একজন সফল চিত্রশিল্পী হতে।

হিটলারের আঁকা চিত্রকর্মগুলোর আসলেই কি কোনো শিল্পমান রয়েছে?
লোকজন বলেছে- হিটলারের আঁকা ছবিগুলো গতানুগতিক। শিল্পের যে একটা ছন্দ থাকে তা ছবি গুলোতে খুব একটা দৃশ্যমান নয়। তাছাড়া রঙের ব্যবহার এবং চিত্রকর্মে দার্শনিক কোনও চিন্তাভাবনার প্রতিফলন দেখা যায় না। যদি হিটলার সেদিন ভিয়েনার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতেন আর চিত্রশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা পেতেন তাহলে তাকে নিয়ে ইতিহাস হয়তো অন্যভাবে লেখা হতো। ১৯৩৯ সালের ৩০ অক্টোবর লাইফ ম্যাগাজিনের এক নিবন্ধে হিটলার সে সময় জার্মানিতে কর্মরত এক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলেন, 'আমি একজন শিল্পী, রাজনীতিবিদ নই। একজন শিল্পী হিসেবেই আমি আমার জীবন শেষ করতে চাই।

১।


হিটলারের আঁকা ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ছবি।

পৃথিবীর ইতিহাসে ঘৃণিত ব্যক্তি হলেন এডলফ হিটলার।
সরকারী কাস্টমস থেকে অবসর গ্রহণের পর হিটলারের বাবা সপরিবারে অস্ট্রিয়ার লিনতস শহরে চলে আসেন। হিটলারের বাবা ১৯০৩ সালে মারা যান। বাবার রেখে যাওয়া পেনশন ও সঞ্চয়ের অর্থ দিয়েই তাদের সংসার কোনমতে চলতে থাকে। অনেক ভোগান্তির পর ১৯০৭ সালে তার মাও মারা যান ফলে হিটলার নিঃস্ব হয়ে পড়েন। পড়াশোনায় বিশেষ সুবিধা করতে পারেন নি। এক সময় ভিয়েনায় যান। কিন্তু চিত্রশিল্পী হবার স্বপ্ন নিয়ে আবার লিন্‌ৎসে ফিরে আসেন।

২।


হিটলার ভিয়েনার আর্ট অ্যাকাডেমিতে দুইবার পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। পরীক্ষকরা অদ্ভুত যুক্তি দেখাচ্ছিল যে হিটলার ছবি নাকি সব বিল্ডিং এবং এই রিলেটেড জিনিসের উপরে, কোন ক্রিয়েটিভিটি নাকি নাই।

হিটলার ১৯১৪ সালের দিকে জার্মানির মিউনিখ শহরের সিটি হল ভবনের একটি ছবি জলরংয়ে এঁকেছিলেন। হিটলারের আঁকা চিত্রকর্ম গুলো মাঝারি মানের চিত্রকর্ম। হিটলার ১৯০৫ সাল থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে দুই হাজারটি চিত্রকর্ম এঁকেছিলেন। হিটলার তার আত্মজীবনীমূলক বই 'মেইন ক্যাম্ফে' একজন তরুনের চিত্রশিল্পী হয়ে ওঠা এবং ভিয়েনা অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্ট থেকে বারংবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ঘটনা তুলে ধরেছিলেন।

৩।


শিল্পকলা সম্বন্ধে মোটামুটি জ্ঞানওয়ালা যে কেউ বুঝবে এই ছবিগুলা এমন কোন স্পেশাল কিছু না। আর্ট কলেজের সাধারণ ছাত্ররা এইধরণের কাজ নিয়মিত করে।

হিটলারের প্রেমের ফাঁদে পড়ে ৮জন নারী আত্মহত্যা করেছিলেন!
হিটলার একজন আজীবন দুখী মানুষ। এমন কি সে প্রেম ভালবাসায় সফল হতে পাড়েন নি। ভিয়েনায় থাকার সময়ে নিজের দৈনন্দিন খরচ মেটানোর জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির আঁকা ছবি দেখে সেগুলো পোস্টকার্ডের ওপর নকল করতেন। সেসব পোস্টকার্ড বিক্রি করে সংসার চালাতেন। অভাবে অভাবে বড় হয়েছেন।

৪।


একজন শিল্পী কিভাবে এমন নৃশংস হয়!!

হিটলার শৌখিন চিত্রকর ছিলেন।
হিটলার কখনোই কোন কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে যাননি, পৃথিবীতে প্রথন ধূমপান বিরোধী ক্যাম্পেইন করেছিলেন তিনি। তিনি সবসময় তার মায়ের প্রতিকৃতি তার কাছে রাখতেন। ১৯৩৯ সালে নোবেল পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন হিটলার। তিনি কুকুর ভালোবাসতেন। তিনি ছিলেন কঠোর নিরামিষভোজী। তিনি ছিলেন কুসংস্কারাচ্ছন্ন একজন মানুষ।

৫।

সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১০:০০
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×