ছবিঃ আমার তোলা।
আমার ঘরে একটা খরগোশ আছে।
কাঁচের খরগোশ। দেখতে একদম সত্যিকারের খরগোশের মতোন। বিশেষ করে চোখটা। মাঝে মাঝে আমি নিজেই প্রচন্ড অবাক হয়ে চোখের দিকে তাকিয়ে থাকি। বড় বেশি জীবন্ত চোখটা! বাসায় ক'দিন ধরে আমি একা। সুরভি তার বাবার বাড়ি গেছে। সেদিন টেবিলে বসে খাচ্ছি। রাত এগারোটা -বারোটা হবে হয়তো। হঠাত মনে হলো- আমার পায়ের উপর দিয়ে দৌড়ে কিছু একটা চলে গেলো। আমার মনে হলো কাঁচের খরগোশটা। যদিও জড় পদার্থের লাফিয়ে উঠার কোনো কারন নেই। অথচ বেশ গভীর ভাবেই আমি অনুভব করলাম খরগোশটা আমার পায়ের উপর দিয়ে দৌড়ে চলে গেলো! অবচেতন মন বলে- খরগোসটা মাঝে মাঝে জীবন্ত হয়ে যায়। খুব ভয় পাবো কিনা বুঝতে পারলাম না। মনে হচ্ছে খরগোশটা পুরো ঘর জুড়ে খুব দৌড়াচ্ছে। আমি খাওয়া শেষ না করেই অন্য ঘরে চলে গেলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর- মনটা ভালো নেই।
গতকাল রাতে স্বপ্নে দেখি আমি সিএনজি চালাচ্ছি। রাস্তায় কোনো জ্যাম নেই। প্রচুর যাত্রী। যাত্রীদের আমি গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছি। তাঁরা আমাকে ভাড়া দিচ্ছে। প্রচুর খেপ পাচ্ছি। সারাদিনে অনেক টাকা ইনকাম করে ফেললাম। এভাবে ইনকাম করতে থাকলে খুব অল্প সময়েই গাড়ি, ফ্লাট কিনে ফেলতে পারবো। সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর মনটা খুবই খারাপ হলো। আমি রাজীব নূর সিএনজি চালাচ্ছি! এও কপালে ছিলো! প্লেন বাদ স্বপ্নে হেলিকাপ্টার চালাচ্ছি সেটা না হয় মেনে নেওয়া যায়। তাই বলে সিএনজি! এই ছিলো কপালে! মন খারাপ নিয়ে নীলাকে ফোন দিলাম। স্বপ্নের কথা বললাম। নীলা বলল এটা তো ভালো স্বপ্ন। মন খারাপ করার কিছু নাই। নীলাকে ফোন দেওয়া ভুল হয়েছে। নীলা সব কিছুতেই ভালো কিছু না কিছু দেখেই।
সৈয়দ শামসুল হকের সাথে আমার দুইবার দেখা হয়েছে।
একবার চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠানে আরেকবার ভারত দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানে। সেখানে তার সাথে বেশ কিছু সময় কথা বলার সুযোগ হয়। উনার গল্প, উপন্যাস আর কবিতার সাথে আমি পরিচিত। প্রতি ঈদসংখ্যা গুলোতে সব সময় তার গল্প, কবিতা উপন্যাস থাকতোই। তসলিমা নাসরিন সৈয়দ শামসুল হককে নিয়ে তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন। এরপরে সম্ভবত হক সাহেব তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। সৈয়দ শামসুল হক যেহেতু মারা গেছেন, তাই উনি ভালো লোক না মন্দ লোক সেই আলোচনাতে আমি যাবো না। হক সাহেব হুমায়ূন আহমেদকে খুব পছন্দ করতেন। হুমায়ূন আহমেদ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হলেই হোক সাহেব দেখতে যেতেন। এবং বলতেন- হুমায়ূন তুমি লেখক, অসুস্থ হয়ে বিছানায় শুয়ে থাকলে তো হবে না। দ্রুত বিছানা থেকে উঠে বসো। কলম হাতে নাও।
করোনার টিকা এখনও দিতে পারি নাই।
বারো দিন আগে নিবন্ধন করেছি। এখনও ডাক পাই নি। শেখ হাসিনা যখন বলেছেন, দেশের সব মানুষ টিকা পাবে তাই আমি টিকা নিয়ে চিন্তিত নই। আমার বিশ্বাস টিকা পাবো। দেরী হোক যায় নি সময়। তবে সরকারের গাফিলতি ও সুন্দর দিক নির্দেশনার অভাবে জাতি ভূগবে। সরকারে দক্ষ ও যোগ্য লোক নেই। এক্ষেত্রে চাঁদগাজী যা তার লেখা গুলোতে বলেন তা সত্যি বলেন। সঠিক বলেন। উনি অভিজ্ঞ মানুষ। জ্ঞানী মানুষ। আমি দশ বছরের বেশি সময় ধরে তার লেখার সাথে পরিচিত। উনার কথা সব সময় যুক্তিসঙ্গত মনে হয়েছে। চাঁদগাজীর প্রতিটা মন্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। তার কিছু মন্তব্য সরকারী অফিস গুলোতে বাধাই করে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা দররকার। চাঁদগাজীর বিরুদ্ধে যারা যায় তাদেরকে আমার বোকা বলে মনে হয়। বোকা না হলে ভালো কথার পেছনে কেউ লাগে? চাঁগাজী শুধু সামু ব্লগের না পুরো বাংলাদেশের জন্য সম্পদ স্বরুপ। তিনি কি বলে শুধু বুঝতে চেষ্টা করুন হৃদয় দিয়ে। তাহলে আর কোথাও কোনো সমস্যা হবে না।
কয়েক শ্রেনীর মানুষকে আমি ঘৃণা করি।
এর মধ্যে এক নম্বরে আছে জামাত, রাজাকার, শিবির বা জামাত, রাজাকার বা শিবির মনোভাব পোষন করা লোকদের। এরা খুবই ভয়াবহ লোক। এই শ্রেনীর লোকজন ভালো কিছু সহ্য করতে পারে না। এমন কি ভালো কথাও তাঁরা পছন্দ করেন না। এরা জাতির জন্য অভিশাপ। আমি আমার সামুতে কোনো দুষ্টলোক রাখবো না। জামাত শিবির মানসিকতার লোক থাকতে দিবো না ব্লগে। ব্লগে থাকবে আধুনিক চিন্তার মানুষজন। মুক্তমনের মানুষজন। বিজ্ঞানমনস্ক লোকজন। ব্লগ হলো- শিক্ষিত রুচিশীল মানুষদের জায়গা। ভন্ডদের জায়গা নয়। কুসংস্কার বিশ্বাসীদের জায়গা ব্লগে হবে না। দুষ্টলোকেরা যে দুষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে ব্লগে আসে, তাদের সেই উদ্দেশ্য আমি সফল হতে দিবো না। নো নেভার। কাজেই মন্দ লোকদের আমি ওবায়দুল কাদেরের মতোন স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই- ভালো হয়ে যাও মাসুদ। তোমাকে আমি অনেক সময় দিয়েছি। নইলে কপালে দুঃখ আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৭