somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

ধোঁয়া ও দোয়া

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ছবিঃ গুগল।

ইসলামে সব কিছুর জন্য দোয়া আছে।
নতুন জামা পড়ার আগে দোয়া আছে। সহবাস শুরু করার দোয়া আছে। অসুস্থ রোগী দেখতে যাওয়ারও দোয়া আছে। হুজুররা বলেন, আল্লাহর করুনা পেতে হলে দোয়ার কোনো বিকল্প নাই। নিজের শরীরের পোশাক খুলে রাখার সময় বদ জিন বা দুষ্ট শয়তানের আক্রমণ হতে পারে। এ কারণে নবিজি বলেছেন, পোশাক খুলে রাখা বা পরিবর্তন করার সময় আল্লাহর নাম নিয়ে তা করা। যাতে শয়তান বা বদ জিনের আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকা যায়। এক হাদীসে বলা হয়েছে- রাতে ঘুম না এলে 'আল্লাহ আল্লাহ' বলে জিকির করলে ঘুম এসে যাবে। আল্লাহতায়ালা কোনে কোনো সময় দোয়া বিলম্বে কবুল করেন। এ জন্য দোয়াকারীর নিরাশ হওয়া চলবে না।

দোয়া একটি ইবাদত বিশেষ।
কোরআনে আছে, ‘তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমার নিকট দোয়া কর, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করবো। ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো। নবিজি বলেছেন, যে আল্লাহর নিকট কিছু চায় না আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার ওপর রাগ করেন। নবিজি বিপদের সময় এই দোয়াটি পাঠ করতেন- ''লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালীমুল হাকীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি- ওয়া রাব্বুল আরশিল কারীম''। এই দোয়াটা খুব পাওয়ার ফুল। যে দোয়া করে না সে সবচেয়ে অলস। আর যে সালাম দেয় না সে কৃপণ। আপনার যদি চোখে সমস্যা থাকে নিয়মিত কোরআন পড়ুন। চোখের সমস্যা চলে যাবে। ডাক্তার দেখাতে হবে না।

বহু অসুস্থ রোগীকে নবিজি দোয়া পড়ে ফু দিতেন।
নবী সোলায়মান দোয়া করতেন- ‘হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে দান করুন এমন এক রাজ্য, যার অধিকারী আমি ছাড়া আর কেউ যেন না হয়। আপনি তো পরম দাতা।’ আমাদের শেষ নবিজি দোয়া করতেন, ‘হে আমাদের রব! আমাদের পৃথিবীতে কল্যাণ দান করুন এবং পরকালেও কল্যাণ দান করুন। আর আমাদের রক্ষা করুন জাহান্নামের শাস্তি থেকে। মাছের পেটে ইউনুস নবী দোয়া পড়ে আল্লাহকে ডেকে ছিলেন এবং মুক্তি পেয়েছিলেন। সুবাহানাল্লাহ। আমার এক ধার্মিক বন্ধুকে দেখেছি, স্ত্রীর বাচ্চা হবে। সে স্ত্রীকে হাসপাতালে নেয় নি। কারন হাসপাতালে নিলেই ডাক্তাররা সিজার করবে। কিন্তু বন্ধুটি চায় বাচ্চা হোক আল্লাহর নিয়মে। বন্ধুটি সাথে সাথে ওজু করে দোয়া পড়তে শুরু করলো। অবশ্য বন্ধুর দোয়ায় কাজ হয়নি। শেষে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। এবং অপারেশন করেই বাচ্চা হয়েছে। সব আল্লাহর ইচ্ছা। মানুষের হাতে কোনো কিছু নেই।

বাজার করতে গেলেও দোয়া আছে।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ইউহয়ি ওয়া ইউমিতু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই-ইন কাদির। অর্থঃ আল্লাহতায়ালা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, সব ক্ষমতা তাঁরই, সমস্ত প্রশংসা তাঁর জন্য, তিনিই প্রাণ দান করেন। তিনি চিরজীবী, তিনি কখনো মৃত্যুবরণ করবেন না। তাঁর হাতেই মঙ্গল এবং তিনিই সব সময় প্রত্যেক বস্তুর ওপর ক্ষমতার অধিকারী। নবিজি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন- যে লোক বাজারে প্রবেশ করে উপরোক্ত দোয়াটি বলে- তার জন্য আল্লাহতায়ালা ১০ লাখ নেকি বরাদ্দ করেন। তার ১০ লাখ গুনাহ মাফ করেন। তার ১০ লাখ গুণ সম্মান বৃদ্ধি করেন। আজ যে আমার এই অবস্থা তার কারন আমি দোয়াটোয়া পড়ি না। এই জন্য দিন দিন অধঃপতনে যাচ্ছি। অথচ আমার উচিত আল্লাহর দরবারে দুই হাত তোলা। করুনা চাওয়া। দয়া চাওয়া। আল্লাহ মহান এবং দয়ালু। চাইলেই দিবেন। আমি শালা অলস। কিচ্ছু চাই না।

এখন আসি আসল কথায়।
দোয়ায় মূলত কোনো কাজ হয় না। আমার মা আমার জন্য সারা জীবন অনেক দোয়া করেছেন। আমি ডাক্তার হবো, পাইলট হবো, হেন হবো, তেন হবো। আমি কিছুই হতে পারি নি। সব বাবা মা'ই তাদের সন্তানদের জন্য দোয়া করেন। ভালো দোয়া করেন। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দোয়ার জোরে মানুষের কিচ্ছু হয় না। হবেও না। শুধু মাত্র পরিশ্রমের মাধ্যমেই মানুষ সাফল্য পেতে পারে। দোয়ায় কাজ হয় না। কাজেই দোয়ার উপর ভরসা রাখা ঠিক না। প্রচুর পরিশ্রম করুণ সাফল্য আসবেই। দোয়ায় কাজ হলে সব ছেলেমেয়েরা তাদের বাপ মায়ের দোয়ায় হাতি ঘোড়া হয়ে যেত।
যাই হোক, এক কালো টাকার মালিক এমপি নমিনেশন পাওয়ার জন্য ত্রিশটা মসজিদে এবং ৪৭ টা মাদরাসায় একসাথে মিলাদ ও কোরআন খতম দিলো। অনেক হুজুর ও গ্রামের মানুষ আল্লাহর দরবারে হাত তুললো। কান্নাকাটি করলো। অনেকে তার জন্য রোজা রাখলো। ভদ্রলোক নমিনেশন পান নি। ফলাফল ৭০ লাখ টাকা খরচ। কাজেই নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। পরিশ্রম করুণ। সহজ সরল জীবনযাপন করুণ। কেউ আপনাকে পিছিয়ে রাখতে পারবে না। দোয়া আসলে ধোঁয়া। কোনো উপকার নাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৭
১৯টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×