somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

একবিংশ শতাব্দীকে দেওয়ার মতো কিছুই কি আছে কুরআনে নাকি সব প্রাচীন কালেই শেষ?

২৭ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

আসলে মানুষের জানার আছে অনেক।
বুঝার আছে অনেক। বহু কথা আছে। ধর্মবিশ্বাসীরা লজিক মানে না। তাদের আছে শুধু বিশ্বাস। প্রশ্ন করা যাবে না। শুধু বিশ্বাস করে যাও। ভালো কাজ করো, মৃত্যুর পর হুর পাবে। মন্দ কাজ করেছো- মৃ্ত্যুর পর কঠিন সাজা। সূর্য থাকবে মাথার এক হাত উপরে। ঘিলু গলে গলে পড়বে। খেতে দেওয়া হবে দুষিত রক্ত, পুঁজ। এসব মুসলমানরা জানে। মানে। কিন্তু তাঁরা এসবের পরোয়া করে না। অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি সমানে করেই চলেছে। কঠিন কঠিন শাস্তির ভয়ে তাঁরা ভীত নয়। পাপ করেই যাচ্ছে। বাংলাদেশে এত এত মসজিদ, এত এত মুসুল্লি- অথচ তাঁরা পাপ থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না। অন্যদিকে জাপানে এত এত মসজিদ নাই, মন্দির নাই। লোকজন ধর্মও মানে না। সেসব দেশে দূর্নীতি হয় না। মারামারি, হানাহানি হয় না। সবাই বেশ ভালো আছে। মুসলিমরা কেন ভালো নেই? বিশেষ করে বাঙ্গালী মুসলিমরা?

আমি কোরআন পড়েছি। হাদীস পড়েছি।
প্রতিটা সূরার বাংলা অর্থ গুলো বড় অদ্ভুত মনে হয়। বিশ্ব কোনআন, হাদীসের নিয়মে চলে না। আমাদের দেশ কোরআনের নিয়ম অনুযায়ী চলে না। দেশ চলে সংবিধান অনুযায়ী। সবাইকে সংবিধান মেনে চলতে হয়। পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান আছে কোরআনে। তাহলে কেন বিশ্বের সবাই তা মেনে চলছে না? মুসলমানরা ধর্ম, কোরআন, হাদীস নিয়ে অনেক কথাই বলেন। যা আবেগ থেকে বলেন। যার কোনো লজিক নেই। যেমন পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান আছে কোরআনে। ইহুদী নাসারা কোরআন রিসার্চ করে সব কিছু আবিস্কার করেছেন। কোরআনের আয়াত বা একটা সূরা কেউ লিখতে পারবে না। ইত্যাদি বহু কথা, বহু রকমের কথা। আস্তিক নাস্তিকদের কথার শেষ নেই। যুক্তি তর্কের শেষ নাই। এরকম কথা কাটাকাটি নিয়ে বেশ কয়েকজন ব্লগারকে হত্যা পর্যন্ত করা হয়েছে। হুমায়ূন আজাদকে হত্যা করা হয়েছে। বিজ্ঞানের সুত্র গুলো কোরআনের কোন আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে? কম্পিউটার কোন আয়াত থেকে বানানো হয়েছে? উড়োজাহাজ? ফটোকপি মেশিন? মোবাইল ফোন?

একটা ঘটনা বলি-
আমার বন্ধুর স্ত্রীর বাচ্চা হবে। বন্ধু চায় বাচ্চা হবে আল্লাহর নিয়মে। সেই বাচ্চা আল্লাহর নিয়মে হয়নি। অপারেশন করে হয়েছে। ডাক্তার বলেছিলেন, আর কিছু সময় দেরী হলে বাচ্চা এবং বাচ্চার মা দুজনেই মারা যেত। হুজুররা সাধারনত খুব হিংস্র হয়। মতিঝিলে হুজুরদের আন্দোলন আমি নিজের চোখে দেখেছি। কিছু দিন পরপর'ই শোনা যায় হুজুররা মাদ্রাসার ছাত্রদের বলাৎকার করেছে। হুজুরদের দোষের শেষ নাই। ওয়াজ এঁর নাম দিয়ে হুজুররা অনেক রঙ তামাশা করেন ইদানিং। শিক্ষিত জনগন ইউটিউবে ওয়াজ দেখে বিনোদন পায়। মূর্খরা মুগ্ধ হয়। ধর্ম, হাদীস, বা কোরআন দেশ বা সমাজের কোনো উপকার করে না। আমি কোরআন খতম দিলেই আমার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না। দিন রাত ২৪ ঘন্টা কোরআন পড়লে আমার ঘর আলোকিত হয়ে যাবে না। তাতে সমাজের কোনো উপকার হবে না। আমার ঘরে খাবার চলে আসবে না। বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমে যাবে না। বস্তিতে থাকা মানুষ গুলো- পাকা বাড়ি পেয়ে যাবে না। ধর্ম, কোরআন, হাদীস ইহকালে আপনাকে কিছু দিতে পারবে না। মৃত্যুর পর দিবে আঙ্গুর, আনার ও হুর। আরো অনেক কিছু। এগুলো শ্বান্ত্বনা। জাস্ট শ্বান্ত্বনা।

মানুষ যত শিক্ষিত হবে।
মানুষ যত জ্ঞান অর্জন করবে, তত সে ধর্ম থেকে দূরে সরে আসবে। এই আধুনিক বিশ্বে মানুষ ধর্ম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এই করোনা কালে মানুষ বেশ ধাক্কা খেয়েছে। ধাক্কা খেয়ে ধর্ম থেকে দূরে সরে গেছে। কেউ যদি সারা জীবন ধর্মকর্ম না করে, দুনিয়াতে বেঁচে থাকতে তার কোনো সমস্যা হবে না। ধর্ম হলো এক ধরনের ব্যবসা। ধর্ম হইলো আফিম। দেশটারে ধর্মই খাইলো। ধর্ম ব্যবসার খুবই রমরমা অবস্থা সেই আদিকাল থেকেই। তবে বিজ্ঞান যত এগিয়েছে, মানুষ ধর্ম থেকে তত পিছিয়ে গেছে। একসময় মানুষ পানিপোড়া খেতো। পানিপড়া তো দুনিয়া থেকে উঠেই গেছে। তাবিজ কবচেরও দিন শেষ। এখন মানুষের কোনো সমস্যা হলে ডাক্তারের কাছে দৌড় দেয়। ঝাড়ফুক এর দিন শেষ। এই যে মানুষের এত এত উন্নতি, এটা বিজ্ঞানের অবদান। হুজুরেরা মানুষকে ১৪০০ বছর পেছনে নিয়ে যেতে চায়। নানান রকম ভয় ভীতি দেখায়। ফলাফল শূন্য। কথা হলো- তুমি মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছো। তুমি ভালো কাজা করে যাও। ব্যস শেষ। পৃথিবীর সব ধর্মেই বেশ কিছু ভালো ভালো কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এরচেয়ে ভালো ভালো কথা বলেছেন- সক্রেটিস, নিউটন, কার্লমার্ক্স, লেনিন, আইনষ্টাইন। আমাদের রবীন্দ্রনাথ, স্বামী বিবেকানন্দ, মেন্ডেলা। এরকম বহু নাম বলতে পারি।

কুসংস্কার থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।
এই বিশ্ব সংসার এরকম ছিলো না। মানুষ তার মেধা আর শ্রম দিয়ে আজকের আধুনিক সভ্যতা গড়েছে। হাজার হাজার বছর সময় লেগেছে তাতে। আকাশ থেকে ফেরেশতা এসে এই সভ্যতা গড়ে দিয়ে যায়নি। আধুনিক পৃথিবীতে ধর্মের কোনো প্রয়োজন নেই। ধর্ম মানেই তো হানাহানি। মারামারি, কাটাকাটি। ধর্মের কারনে আমাদের দেশটা ভাগ হলো। যারা ধর্ম নিয়ে পরে থাকে তাদের ধ্বংস অনিবার্য। দুবাই আজ এত উন্নত কেন, কারন তাঁরা ধর্মকে এক পাশে সরিয়ে রাখতে পেরেছে। কিন্তু সৌদি আজও বর্বরর। ইউরোপ এত উন্নত কেন? কারন ধর্ম নিয়ে তাদের কোনো চুলকানি নেই। আমার এক খালাতো ভাই আছেন। দূদার্ন্ত ভালো ছাত্র। কিন্তু তিনি নাস্তিক। আমি বললাম, ভাই আপনি নাস্তিক হলেন কি করে? ভাই বললেন, কোরআন পড়ার পর আমি নাস্তিক হয়ে গেছি। এটা ইশ্বরের বই হতে পারে না। কাজেই বিনাদ্বিধায় বলা যেতে পারে- একবিংশ শতাব্দীকে দেওয়ার মতো কিচ্ছুই নেই কোরআনের।

যার ধর্ম পালন করতে ভালো লাগে, সে পালন করবে।
যার নামাজ, রোজা করতে ভালো লাগে সে করবে। যার কোরআন হাদীস পড়তে ভালো লাগবে সে পড়বে। বাঁধা দেওয়া যাবে না। স্বাধীন দেশ, সবার স্বাধীনতা আছে। যার কোরআন, হাদীস বা ধর্ম ভালো লাগবে না সে পড়বে না। নামাজ, রোজা ভালো না লাগলে করবে না। তাকে জোর করা যাবে না। এটা আধুনিক যুগ। ধর্ম নিয়ে হানাহানি করা যাবে না। খুন করা যাবে না। গালমন্দ করা যাবে না। যা হবার মৃত্যুর পর হবে। সমস্ত অপরাধের বিচার হাশরের ময়দানে আল্লাহ করবেন। যার যার বিচার তার তার। আমি আপনি কে কথা বলার? আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ পড়াশোনা করুণ। প্রচুর পড়াশোনা করুণ। জ্ঞান সংগ্রহ করুণ এবং মন থেকে সমস্ত কুসংস্কার থেকে দূরে থাকুন। চিন্তা চেতনায় ও মননে আধুনিক হোন। তবেই না বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন।

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:০৬
৪২টি মন্তব্য ৪২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকার মানুষের জীবন

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪


ঢাকাতে মানুষ বড় বিচিত্র ভাবে বেঁচে থাকে। নিয়মিত ঢাকার রাস্তার ঘুরে বেড়ানোর কারণে এই রকম অনেক কিছু আমার চোখে পড়ে। সেগুলো দেখে মনে হয় মানুষ কত ভাবেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?



পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছরই বৃষ্টিপাত হয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকার কিছু দেশ এবং দক্ষিন আমেরিকার কিছু দেশ ও অঞ্চলে বছরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ কখনো এমন করে বলতে পেরেছে কি?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


ভারতে গরু ও গোমাংস নিয়ে হত্যা বা সহিংসতার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন কারণ এটি রাজ্য, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং 'গরু রক্ষা' বাহিনী ইত্যাদীর কারণে একেক যায়গাতে একেক রকম। ভারত গোমাংস... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ, পাকিস্তানের ধর্মীয় জংগীবাদ ভারতের মুসলমানদের সাহায্য করছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০



এনসিপির জল্লাদরা, ফেইসবুক জেনারেলরা ও ৫/১০ জন ব্লগার মিলে ৭ সিষ্টার্সকে আলাদা করে দিবে বলে চীৎকার দিয়ে ভারতের মানুষজনকে অবজ্ঞা ও বিরক্ত করার ফলে ভারতের ২২ কোটী... ...বাকিটুকু পড়ুন

গৃহবধূ থেকে প্রধানমন্ত্রী; অভিভাবক শূন্য হলো বাংলাদেশ |

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১২


খালেদা জিয়া। ইস্পাতসম বজ্রকঠিন দেশপ্রেমের নাম খালেদা জিয়া। যিনি ভালো বেসেছেন দেশকে, নিজের জীবনের চেয়েও দেশকে ভালো বেসেছেন। দেশের বাহিরে যার নেই কোন লুকানো সম্পদ। নেই বাড়ি, গাড়ি অথবা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×