
আশা এবং স্বপ্ন কি এক জিনিস?
আমি আশা করি না। আমি স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখতে আমার ভালো লাগে। স্বপ্ন গুলো পূরন করতে অনেক অনেক সময় লাগবে। ততদিন আনন্দ নিয়ে সুন্দর ভাবে একটা আশা নিয়ে বাঁচা যায়। প্রতিটা মানুষই ভাবে- আমি এটা করবো, আমি ওটা করবো। এ গুলো তার আশা বা স্বপ্ন। দুঃখের বিষয় হচ্ছে বেশির ভাগ মানুষের আশা বা স্বপ্ন পূরন হয় না। সংসারের ঘানি টানতে টানতে জীবন পার হয়ে যায়। গত স্বপ্ন, কত আশা দীর্ঘশ্বাসের সাথে মাটিচাপা পড়ে যায়। কেউ তার খবর রাখে না।
আমার নিজের কথা বলি-
আমার আশা ছিলো ক্যাডেট কলেজে লেখাপড়া করবো। পূরন হয়নি। আমার আশা ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করবো। পূরন হয়নি। আমার আশা ছিলো সরকারের কাছ থেকে একটা পাহাড় লিজ নিবো। সেখানে ঝুম চাষ করবো। পূরন হয়নি। আমার আশা ছিলো অতি দুর্গম এলাকায় একটা কাঠের দোতলা বাড়ি করবো। একা একা থাকবও। আলু সিদ্ধ খাবো আর চায়ের মগ হাতে নিয়ে বই পড়বো। সেই আশাও পূরন হয়নি। তবে মনে মনে বলি- দেরী হোক, যায়নি সময়। এটা আসলে নিজেকে নিজেই শ্বান্ত্বনা দেওয়া। এ কথা সত্য বয়স বাড়ার সাথে মানুষের আশা ও স্বপ্ন পরিবর্তন হতে থাকে। অসংখ্য বার আমার আশা গুলো, স্বপ্ন গুলো পরিবর্তন হয়েছে। তবে কি আশা, কিছু স্বপ্ন স্থির থেকে গেছে।
এখন আমি আর কোনো কিছু নিয়ে আশা করি না।
তবে স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখতে ভালো লাগে। আমার বেশ কিছু স্বপ্ন আছে। বিশাল এক লাইব্রেরী করবো। লাইব্রেরিটা এত বড় হবে যে, সবাই মুগ্ধ হয়ে যাবে। সারা দেশের মানুষ আমার লাইব্রেরির সুনাম করবে। হাজার হাজার মানুষ আমার লাইব্রেরী আসবে। বই পড়বে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ে আমার লাইব্রেরী বড় হবে। আবদুল্লাহ **আবু** সায়ীদ স্যার হা করে তাকিয়ে থাকবেন। লাইব্রেরী দেওয়ার উদ্দেশ্য মানুষ বই পড়বে। টাকা ইনকাম নয়। আমার লাইব্রেরী দেশ বিদেশের সব রকম বই পাওয়া যাবে। যারা বই পড়তে আসবেন, বই পড়া শেষে সেই বই নিয়ে আলোচনা করবে।
আমার দ্বিতীয় স্বপ্ন হলো- বিশাল একটা জায়গা কিনব। সেখানে গাছ লাগাবো। মন ভরে গাছ লাগাবো। অসংখ্য গাছপালা। ছোট একটা বাগান বাড়ি থাকবে। বিশাল একটা দীঘি থাকবে। থাকবে বাঁধানো ঘাট। যেন সেই বাঁধানো ঘাটে যে বসবে তার'ই শান্তি শান্তি লাগবে। আমার এই ঘাট, এই বাগান বাড়ি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মানুষ এসে বিশ্রাম নেবে। গাছপালা দেখে মুগ্ধ হবে। যারা এখানে বিশ্রাম নিতে আসবে তাদের বিনামুল্যে চা নাস্তা খাওয়ানো হবে। এখানে দেশের বুদ্ধিজীবিদের দাওয়াত করে নিয়ে আসব- তারা দেশের সমস্যা ও সমামধান নিয়ে আলচনা করবেন। তাদের বৈঠকের সঞ্চলক থাকব আমি।
আমার একটা গভীর গোপন নিষিদ্ধ ইচ্ছে আছে।
শুনেছি আমস্টারডাম শহরে লাইভ সেক্স করে। লোকজন টিকিট কেটে নারী পুরুষের সঙ্গম দেখে। সেটা নাকি দেখার মতো এক জিনিস। একটা শিল্প। শরীরের খেলা। আবেদন, নিবেদন। রহস্য, রোমাঞ্চ। সামনাসামনি এটা দেখার আমার খুব শখ। দুজন নারী পুরুষ আদিম খেলায় মাতে। হাজার খানিক মানুষ মুগ্ধ হয়ে দেখে। নারী পুরুষ দর্শকদের দিকে একবারও ফিরে তাকায় না। তাঁরা তাদের খেলায় মেতে থাকে। দর্শক শারীরিক সৌর্ন্দয, আদিম খেলা মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




