
দেশে শিক্ষিত ছেলেমেয়ের অভাব নেই।
এরা শিক্ষিত কিন্তু কাজ করার মতো দক্ষ নয়। এরা কোনো কাজ জানে না। আপাত দৃষ্টিতে এরকম সস্তা ও সুক্ষ্ম কারন গুলোর কারনেই দেশে শিক্ষিতরা বেকার। অসংখ্য অনার্স, মাস্টার্স পাস করা ছেলেমেয়ে বেকার। মূলত তাঁরা দক্ষ ও যোগ্য না। তাদের এক পাতা ইংরেজিতে দরখাস্ত লিখতে দিলে পারবে না। পারলেও পনেরটা বানান ভুল করবে। তাঁরা কোনো রকমে গোঁজামিল মিয়ে পাস করে গেছে। কেউ চায় না, তাদের প্রতিষ্ঠানে অদক্ষ ও অযোগ্য লোক নিয়োগ পাক। এজন্য শিক্ষিত হওয়ার পরও লোকজন চাকরী পাচ্ছে না। সত্য স্বীকার করতে চায় না বেকাররা।
গত পনের বছরে বাংলাদেশে লেখাপড়ার মান অনেক নীচে নেমে গেছে।
যারা পাস করে বের হয়েছে। তাঁরা নকল করে পাস করেছে। এরা হচ্ছে প্রশ্ন ফাঁস জেনারেশন। এরা দেশের মেরুদণ্ডটাই নড়বড়ে করে দিয়েছে। বাবা মা চেয়েছে যে করেই হোক, ছেলে মেয়েটা পাস করে যাক আল্লাহ আল্লাহ করে। তাঁরা পাস করেছে। এখন কপালে বেকার চিহ্ন নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদি মন দিয়ে লেখাপড়া করতো- তাহলে আজ দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হতো না। হায়, আফসোস করতে হতো না। বহু প্রতিষ্ঠানে লোক দরকার। কিন্তু যোগ্য ও দক্ষ লোক পাওয়া যাচ্ছে না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো দেশের শিক্ষার মান একদম কমিয়ে দিয়েছে। তাঁরা শুধু টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট বিক্রি করেছে। বাংলাদেশে ৫২ টা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সব গুলো খারাপ না। ৫২ টার মধ্যে মাত্র ৪ টা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ভালো।
এরা শিক্ষিত হয়েছে।
কিন্তুত নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারেনি। ফাকিবাজি করে কোনো রকমে পাস করে গেছে। দুনিয়া অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা অনেক পিছিয়ে আছে। অনেকেই বলবে, চাকরী পাই না। চাকরী পাই না। আরে বাবা তুমি চাকরী পাবে কেমন করে? তোমার তো যোগ্যতা নেই। কোনো কিছুতেই তুমি দক্ষ না। যোগ্য ও দক্ষ লোক বেকার বসে থাকে না। যারা এখন বেকার তাঁরা আসলে অদক্ষ এবং অযোগ্য। এটাই আসল কথা। এটাই বাস্তবতা। ভালো সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে হবে। মন দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। এবং ছাত্র থাকা অবস্থায় প্রেম ভালোবাসা করা যাবে না। টার্গেট থাকবে একটাই- 'নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা।
মূলত যারা শুধু মাত্র চাকরির জন্যই লেখাপড়া করে তাঁরা দেশের ক্ষতি করে।
সমাজে দেখা যায়, অনেকের কোনো যোগ্যতা নেই। কিন্তু বড় বড় পদে বসে আছে। তাঁরা যোগ্যতা দিয়ে চাকরিতে জয়েন করে নি। তাঁরা ক্ষমতাবান মামা চাচার মাধ্যমে বড় পোষ্টে গিয়েছে। অথবা টাকা দিয়ে চাকরী নিয়েছে। এরা অবশ্য কর্ম জীবনে শান্তি পায় না। বারবার কাজে ভুল করে। তখন সহকর্মীদের কাছে লজ্জা পেতে হয়। আমি খেয়াল করে দেখেছি- যারা সরকারী চাকরী করে তাদের আচার ব্যবহার ভালো না। এবং এরা দুষ্টলোক হয়। চাকরী ঢুকে এরা শুধু নিজের আখের গোছায়। নিজের পরিবার নিয়ে চিন্তা করে। আর লেকচার দেয়। সরকারী অফিস গুলোতে বেহুদা লোক বেশি। যেখানে পাঁচ জন লোক হলে কাজ চলে, সেখানে পচিশ জন লোক।
বাংলাদেশ হলো বেকারের দেশ।
বাংলাদেশ হলো গলদের দেশ। লেখাপড়ায় গলদ, ব্যবসায় গলদ, খাদ্যদ্রব্যে গলদ, রাজনীতিতে গলদ, মানুষে গলদ। কাজেই শিক্ষিত হলেই হবে না। কর্মদক্ষতা থাকতে হবে। গুণ থাকতে। মেধা থাকতে হবে। আধুনিক বিশ্ব সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। কম্পিউটার জানতে হবে। অনেকে কম্পিউটারে ঠিকভাবে টাইপ করতে পারে না। বলে, বাংলা টাইপ পারি না। ইংরেজি টাইপ পারি। আগে টাইপ স্প্রীড ভালো ছিলো। এখন স্লো হয়ে গেছে। যতসব ফালতু কথা। প্রতিটা ছেলেমেয়ে চাকরী করতে গিয়ে সিভিতে মিথ্যা সব কথা লিখে রাখে। বেকাররা চাকরির জন্য হাউকাউ করে। চাকরী পাওয়ার পর কাজে ফাঁকি দেয়। দূর্নীতি করে। পারলে কাজ না করেই মাস শেষে টাকা নিয়ে নেয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




