somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

পবিত্র কুরআন পড়ে, আমি কি কি শিখতে পারবো?

৩১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

আপনি যদি প্রতিদিন কোরআন পড়েন।
বছরে ১২ বার কোরআন খতম দেন। ইহকালে কিছুই পাবেন না। চাকরী পাবেন না। আপনার একাউন্টে টাকা চলে আসবে না। আপনার কাঁচা ঘর পাকা হয়ে যাবে না। আপনার অসুস্থ শরীর ভালো হয়ে যাবে না। কোরআন পড়ে ইহ জগতে আপনি দেশ, সমাজ বা আপনার কোনো উপকার হবে না। সংসারের সমস্যা দূর হয়ে যাবে না। যা করার আপনাকেই করতে হবে। মেধা দিয়ে, পরিশ্রম করে। বলা হয়ে থাকে- পরকালে অনেক কিছু পাবেন। হুর, আনার, আঙ্গুর ইত্যাদি। আজকাল বেহেশতের নানান রকম লোভ ধার্মিকদের মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখতে পারছে না। কাজেই আপাতত কোরআন পড়ে পরকালে সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন। যদি আসলেই পরকাল বলে কিছু থাকে।

কোরআন পড়ে আপনি যা শিখবেন-
তা দিয়ে একটা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকরী পাবেন না। তবে মাদ্রাসার হুজুর হতে পারবেন। দরিদ্র এতিম বাচ্চাদের কোরআন শিক্ষা দিবেন। সারা জীবন অভাবে অভাবে জীবন পার করবেন। দরিদ্র হয়ে জন্ম নেওয়াটা অন্যায় না, দরিদ্র হয়ে মরে যাওয়াটা অন্যায়। ধার্মিকরা অন্ধ বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করে। আসলে এদের জ্ঞানের ভান্ডার শূন্য। এরা আধুনিক বিশ্ব সম্পর্কে কোনো ধারনা রাখেন না। এরা বিশ্বাস রাখেন নানানা রকম কুসংস্কারে। এরা পেট ব্যথা হলে পানিপড়া খাবে। রাতে ঘুম না এলে ফকিরের কাছে যাবে। ফকির ঝাড়ফুঁক দিয়ে দিবে। এদের প্রিয় বই মুকছেদুল মোমেনিন। কোন আমল করলে রাতে শয়তান আপনার কাছে আসবে না। কোন দোয়া পড়লে দূর্ঘটনা ঘটবে না। কোন সূরা পাঠ করলে বাচ্চা হবে। কোন দোয়া পড়ে সহবাস করতে হবে। আরো জানতে পারবেন, কোন দোয়া পড়লে বিপদআপদ আসবে না।

আমাদের দেশের ধার্মিকদের সমস্যা হলো-
তাঁরা আগে মুসলিম, পড়ে মানুষ। আর উন্নত বিশ্বের লোকজন মনে করে, তাঁরা আগে মানুষ। পড়ে তার ধর্ম। আমাদের দেশের মুসলমানরা সেই আদি কালের সংস্কৃতি অনুসরণ করে, অথচ এখন আরবেরাও তা অনুসরণ করে না। উন্নত দেশ গুলোতে কেউ কারো ধর্মীয় পরিচয় জানতে চায় না। আমি মানুষ এই আমার পরিচয়। অথচ ধার্মিকেরা শুধু মুসলমান হয়েই থাকতে চায়। ধার্মিক হওয়ার আগে তোমাকে মানুষ হতে হবে। বিশ্বে ৩/৪ হাজার ধর্ম আছে। আমি নিজেই একটা ধর্ম বানাবো। সেই ধর্মের নিয়ম কানুন আমিই লিখব। মানুষ যুগে যুগে এমন ইচ্ছা মতন বহু ধর্ম বানিয়েছে। বাইবেল, কোরআন ও বেদ, পড়ুন। কোন বইটি সত্য সৃষ্টিকর্তার নির্দেশনা, সেটা আপনি নিজেই বুঝবেন। অন্যের শেখানো কথা মুখস্ত না করে, নিজে পড়ুন। নিজেই সত্য ধর্ম চিনুন। কোরআন পড়লে জানতে পারবেন, কোন নবী মাছের পেটে আটকে গিয়েছিলো। ফেরাউন এঁর কাহিনী জানতে পারবেন। অনেক সভ্যতার কথা জানতে পারবেন, যেসব সভ্যতা আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছেন। আল্লাহর নেয়ামতের কথা জানতে পারবেন। মৌ মাছি সম্পর্কে জানতে পারবেন। কালিজিরা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তবে বির্বতনবাদ সম্পর্কে কিছু জানতে পারবেন না। ভিজ্যুয়াল বেসিক সম্পর্কে জানতে পারবেন না। এনিমেশন সম্পর্কে কিছু পাবেন না। বীজগনিত পাবেন না। বিজ্ঞান পাবেন না। আধুনিক বিশ্ব সম্পর্কে কিছু জানতে পারবেন না।

ধর্ম চলে বিশ্বাসের উপর।
তাই এখানে ভুল-সঠিক, বিজ্ঞান এসব চলে না। ইসলাম ধর্মের কোরআন তেলওয়াতের সুর আমার ভাল লাগে। আজানের সুর ভালো লাগে যদি মুয়াজ্জ্বিন এর কন্ঠ সুন্দর থাকে। অনেক মসজিদের হুজুর বিশ্রী ভাবে আযান দেয়। বিরক্ত লাগে। যাই হোক, চিন্তাশীল মানুষদের কোনো জাত বা ধর্ম হয় না। তাঁরা তাই নিজের সত্যকে প্রশ্ন করেন, অন্যের সত্যের সাথে তুলনা করেন। ধর্ম কোন জ্ঞানের ব্যাপার নয়ঃ ধর্মগ্রন্থ পড়ে বিজ্ঞান শিখার কোন সম্ভাবনা নাই। ডাইনোসরদের ব্যাপারে কোরআন কিছুই বলে নাই। প্রতিটি ধর্মের জন্ম হয়েছে ভয় এর মাধ্যমে। আপনার আমার ভিতরের ভয় জন্ম দিয়েছে দেবতার। আপনার আমার ভিতরের আত্মবিশ্বাসহীনতা থেকে সৃষ্টি হয়েছে ধর্মীয় রীতিনীতি রেওয়াজ ইত্যাদি। ধর্ম সৃষ্টি হওয়ার পর আস্তে আস্তে প্রচুর মহামানবের আবির্ভাব ঘটেছে যুগে যুগে। তারা তাদের পাণ্ডিত্যের মাধ্যমে তৈরি করেছেন ধর্মীয় দর্শন। সেই ধর্মীয় দর্শন নিয়ে ধার্মিকেরা পড়ে আছে। মেতে আছে। আর চালাকেরা ব্যবসা ফেঁদেছে।

বিশ্বের প্রতিটি ধর্ম দু'ভাগে বিভক্ত।
যার একটি জ্ঞানীদর জন্য লেখা এবং অপরটি মূর্খের জন্য লেখা। আমি খুব ছোট বেলা থেকেই বৌদ্ধ ধর্মীয় কিছু বই পড়েছি, কিন্তু কোনদিনও ভিক্ষু হইনি, স্থবির হইনি, মহামতির কোন কথাই বলতে গেলে মানি নি। এই ধর্মীয় জ্ঞান দিয়ে কি হবে? আপনাদের কাছে অনুরোধ- ধর্ম পালন করুন, কিন্তু প্রচার করবেন না। অন্যের ধর্ম নিয়ে কথা বলার কোন অধিকার আপনার নাই, সুতরাং চুপ থাকুন। এবং মেনে নিন- মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা আছেন, এটা প্রমাণ করা সম্ভব নয়। মহাবিশ্বের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই, এটাও প্রমাণ করা সম্ভব নয়। বিবর্তন একটি প্রমাণিত সত্য। এটি থিওরি এবং ফ্যাক্ট দুটোই। কোন ধর্ম গ্রন্থেই বৈজ্ঞানিক নির্দশন নেই। আপনার সামনে যেই নিদর্শন গুলো উপস্থাপন করা হচ্ছে সেগুলোকে বলে Creative interpretation. কোন বিজ্ঞানী কোরআন হাদিস অথবা অন্য কোন ধর্মগ্রন্থ পড়ে গবেষণা করেন না।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:২৮
১৮টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাদ্রাসা শিক্ষা, বৈশ্বিক রাজনীতি, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৫


লেখাটির শুরুতে একটি ভূমিকা দেওয়া যাক। সর্বশেষ দেশে গিয়ে কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। উত্তরবঙ্গে, নিতান্ত অনুন্নত আমাদের সেই গ্রামে এতগুলো কওমি মাদ্রাসা হয়েছে দেখে অবাক হয়েছিলাম। আগে গ্রামে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চোখের জল

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৬


সুদীর্ঘ ১৭ বছরের জমে থাকা
বিনম্র চোখের এক কোণে জল!
প্রকাশে এলো এই জনসমুদ্রে-
জনসমুদ্র তুলছে আনন্দাশ্রুর
ঢেউ- দেখছে নতুন ফুলের গন্ধ;
এ নৈঃশব্দের আর্তনাদ বুঝতে
হবে শুধু তোমাকে- আমাকে
গড়ে তুলতে হবে মনুষ্যের প্রণয়ে
সূর্য ভোর- যেখানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার মানুষের জীবন

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪


ঢাকাতে মানুষ বড় বিচিত্র ভাবে বেঁচে থাকে। নিয়মিত ঢাকার রাস্তার ঘুরে বেড়ানোর কারণে এই রকম অনেক কিছু আমার চোখে পড়ে। সেগুলো দেখে মনে হয় মানুষ কত ভাবেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?



পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছরই বৃষ্টিপাত হয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকার কিছু দেশ এবং দক্ষিন আমেরিকার কিছু দেশ ও অঞ্চলে বছরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ কখনো এমন করে বলতে পেরেছে কি?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


ভারতে গরু ও গোমাংস নিয়ে হত্যা বা সহিংসতার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন কারণ এটি রাজ্য, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং 'গরু রক্ষা' বাহিনী ইত্যাদীর কারণে একেক যায়গাতে একেক রকম। ভারত গোমাংস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×