
অবশেষে তাকে খুঁজে পাওয়া গেল।
কেমন করে নাজমুল তারেক নামের ওই কনস্টেবলকে শনাক্ত করা গেল, তা নিয়ে মুখ খোলেন নি পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন। বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব কি ইসলামী নিয়মে চলে? না চলে না। দেশও ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী চলে না। দেশ চলে সংবিধান দিয়ে। ব্লগার, কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যেও অনেক "নাজমুল তারেক" আছে। তারা মনে মনে ৭০ হুরের স্বপ্নও দেখে।
লতা সমদ্দারের দেওয়া নাম্বার অনুযায়ী যে মোটর সাইকেলটির হদিশ পাওয়া গেল, তা যে চোরাই মাল, আমরা আগেই জেনেছি। মোটর সাইকেলটা তারেক নিজেই চুরি করেছিলেন, না চোরচক্রের কাছ থেকে ভেট হিসেবে নিয়েছিলেন, প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে কি? চোরাই মোটর সাইকেল নিয়ে তারেক সেজান পয়েন্টের ওখানে চুরি-চামারি-চাঁদাবাজি কিছু করছিলেন কিনা ফুটপাতের হকারদের জিজ্ঞেস করলে হয়তো জানা যাবে।
বলা হয়েছে, বিভাগীয় তদন্ত হবে।
বিভাগীয় তদন্ত, ক্লোজ করা, পুলিশ লাইনে যুক্ত করা ইত্যাদি নাটক আমরা অনেকবার দেখেছি। এই তারেক সাম্প্রদায়িক হামলাকারী৷ লতার অভিযোগ অনুযায়ী, পুলিশের ওই সদস্য মোটরসাইকেল চালিয়ে তার গায়ের ওপর উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, সরে গিয়ে আত্মরক্ষা না করতে পারলে খুন যেতেন হয়তো। লতা ওই লোকটার বিরুদ্ধে স্পষ্টত হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে রেখেছেন। লোকটার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত। পুলিশ বাহিনীর সদস্য হওয়ায় রেহাই দেওয়ার সুযোগ নেই, বরং পুলিশ হয়ে জঙ্গিপনার জন্য এই নাজমুল তারেকের শাস্তি একটু বেশিই প্রাপ্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




