
বাপ আইছে বিদেশ থাইক্কা।
পোলায় এখন বাপের কাছে বিচার দিতাছে- বাপ আপনি এতদিন ছিলেন না। অনেক কিছু ঘইট্রা গেছে। এই নেন লিংক, এই নেন প্রমান। এই নেন স্ক্রীনশর্ট। আশে পাশে থাকা আরেক বেটি বলল- হ্যাঁ কথা সত্য। জাজাকাল্লাহ খাইরান।
বাপ কইতাছে- হায় হায় এত কিছু ঘটলো! মেলা ব্যস্ত ছিলাম রে। কোনো খোজ নিতে পারি নাই। তয় আমার কাছেও কিছু প্রমান আছে। স্ক্রীনশর্ট নিয়া রাখছি। হি হি হি---
পোলায় কয়- চুরী করছে। আমি হাতে নাতে ধরছি। কিন্তু সরকার ওর বিচার করে নাই। সরকার উলটা ওদের লাই দিয়াছে। এইবার আপনি কি করবেন করেন। আর পারতাছি না।
বাপ কয়- ওস্তাদ গাজীরে এইবার আমি দেইখ্যা দিমু। চিনে না আমারে!
এই দেড় বছর আগে আমার বাবা মারা গেলো।
করোনায় মৃত্যু হলো। যাই হোক, আমার বাবা একবার আমেরিকা গেলো। টানা দুই বছর থাকলো। তারপর একদিন আব্বা কাউকে কিচ্ছু না জানিয়ে দেশে চলে এলো। মা বললো- তোমার না পাঁচ বছর পর আশার কথা? আব্বা বলল, ডলারের মায়রে বাপ। আমার কাছে আগে আমার সন্তান। আমার পরিবার। তবে আব্বা দেশে আশার আগে আমাদের চারজন আত্মীয়স্বজনকে আমেরিকা নিয়ে গেছেন। তাঁরা এখন বংশ বৃদ্ধি করে সেই দেশের জনগন হয়ে সুন্দর ভাবে সম্মানের সাথে আছেন। আব্বা কেন জানি চাইতেন না- আমরা কেউ নিজ দেশ ছেড়ে চলে যাই।
আমি একটা বিষয় পরিস্কার করতে চাই-
আমি কোনো দিনও বাংলাদেশ ছেড়ে লন্ডন, আমেরিকা, কানাডা, জামার্নী ইত্যাদি কোন দেশে যাবো না। যাওয়ার হলে বহু আগেই চলে যেতাম। এবং তাতে আমার কারো সাহায্য প্রার্থনা করতে হতো না। আমার দেশ বাংলাদেশ। আজীবন আমি এই দেশের থাকব। তবে হ্যাঁ বেড়াতে যাবো নানান দেশ। একা যাবো না পুরো পরিবার নিয়ে যাবো। আমার বাপের মতোন আমি বলতে চাই- ডলারের মায়রে বাপ। লোভ এক জিনিস যা আমার নেই। আবার বাবারও ছিলো না। লোভ করে কারা? যাদের কিচ্ছু নেই। আমার সব আছে। গাড়ি আছে, বাড়ি আছে। ব্যাংকে টাকা আছে। যা আছে- একটা জীবন সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকা যাবে।
আমাদের বংশ বিরাট লম্বা।
বংশের অর্ধেকের বেশি লোকজন লন্ডন, আমেরিকা, কানাডা, জার্মানী থাকে। এই বছরের শেষে আমার আপন বড় ভাই তার পুরো পরিবার নিয়ে কানাডা চলে যাচ্ছে। তিন মাস আগে আমার আরেক ভাই, লন্ডন গিয়েছে পুরো পরিবার নিয়ে। এই তো করোনার আগে আমার বড় কন্যা অস্টেলিয়া থেকে ঘুরে এলো। তার ছবি ও অস্টেলিয়া ভ্রমন নিয়ে সামুতে পোষ্টও দিয়েছি। এখন গাধার বাচ্চা তোমাদের বলছি, তোমরা যারা মনে করো- আমি কিছু লিখলে বা মন্তব্য করলে ভিসা পাওয়ার জন্য করছি। সেটা ভুল। মন মানসিকতা উন্নত করো। নিজের মনের অবিশ্বাস দিয়ে অন্যের বিশ্বাসকে আহত করো না। মানুষ হও।
যাই হোক, লেখার শুরুতে ফিরে যাই-
বাপ আইছে বিদেশ থাইক্কা। আব্বা যখন আমেরিকা ফিরে এলো। তখন আমার বড় ভাই আব্বার কাছে বিচার দিলো- রাজীব তো খুব দুষ্টমি করেছে? ওকে শাস্তি দাও। মা বলল, পাশের বাসার নাসেরের মেয়ে আমাদের বাসার সামনে ময়লা ফেলেছে। আমি বললাম, আব্বা স্কুলের টিচার আমাকে ধমক দিয়েছে। নানান রকম বিচার শুনতে শুনতে আব্বা ক্লান্ত। আব্বা বলল, যে যা খুশি করুক। তোমরা ভালো পথে থাকো। সত্যের পথে থাকো। সমাজে দুষ্ট লোক থাকবেই। এরা দুষ্টমি করেই যাবে। নালিশ করেই যাবে। আরেহ নবিজির দেশেও দুষ্টলোক ছিলো। দিন শেষে মন্দ লোক বেশি দূর এগোতে পারে না।
পরামর্শঃ ওস্তাদের সাথে লাগতে যাইও না। পারবা না। কারন তোমাদের জ্ঞান কম। সবচেয়ে বড় কথা তোমরা মানুষ ভালো না। আগে ভালো মানুষ হও। তারপর লাগতে আইসো। তোমাদের আগেও বহু দুষ্টলোক লাগতে আইছিলো। পারে নাই। লেজগুটিয়ে পালাইছে। দিন শেষে তোমরাও পালাইবা। কাজেই লোক হাসাইও না।
আমার সাথেও লাগতে আইসো না। পারবা না। ওস্তাদ এঁর মতো আমিও অন্য জিনিস। কাজেই দূরে থাকো। তোমাদের দৌড় কোন পর্যন্ত সেটা জানি। ফেসবুকে গোপনে একজন আরেকজনকে ম্যাসেজ দিবা। গ্রুপিং করবা। তুমি চান্দু মনে করছো, সামুতে গল্প লিখি। কবিতা লিখি। সবাই আমাকে ভালো জানে। ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জারে কি করি সেটা তো কেউ জানবে না। তাই বলে বেড়াও রাজীব এইটা করছে। অইটা করছে। নালিশ আর নালিশ। তোমাদের মধ্যেই একজন আবার আমাকে সেসব ম্যাসেজ এঁর স্ক্রীনশর্ট দিয়া দেয়। আমি চেতলে তোমার হাঁটে হাড়ি ভেঙ্গে দিব।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




