
আপনি মানুষকে খুশি করুণ, তাহলেই আল্লাহকে খুশি করা হবে।
প্রেমিকাকে খুশি করা কঠিন কিন্তু আল্লাহকে খুশি করা সবচেয়ে সহজ। আপনাকে আমি বলছি, কি করলে আল্লাহ খুশি হবেন। সবার আগে আপনাকে ভালো মানুষ হতে হবে। সহজ সরল জীবনযাপন করতে হবে। দুনিয়াতে ধর্মীয় বইয়ের অভাব নেই। আপনার সব বই পড়ার দরকার নেই। শুধু মাত্র কোরআন এবং হাদীস পড়বেন। বুঝে, শুনে অর্থসহ পড়বেন। ব্যাখ্যা পড়বেন। তাফসীর পড়বেন। সেগুলো হৃদয়ে ধারন করবেন আমৃত্যু। যদিও দুনিয়াতে লাখ লাখ ধর্মীয় বই আছে। আসলে কোরআন এবং হাদীসের আলোকেই সমস্ত বইয়ের জন্ম। তাই কোরআন এবং হাদীস ভালো করে পড়লে, আর কিছুর খুব একটা প্রয়োজন নেই। কারন বেশি ধর্মীয় বই পড়তে গেলে মাথা আউলায়ে যাবে। কারন একেক পন্ডিত ব্যাক্তি একেক রকম করে ব্যাখ্যা করেছেন। বিষয়টা কি বুঝতে পেরেছেন?
প্রতিদিন আপনি ভালো কাজ করবেন।
মহৎ কাজ করবেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন। ভুলেও যেন এক ওয়াক্ত নামাজ মিস না হয়। আপনি নামাজ পড়লে, আল্লাহ খুশি হবেন। আল্লাহ আপনাকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন, শুধু মাত্র তার ইবাদর করার জন্য। রঙ তামাশা করার জন্য না। মুভি দেখার জন্য না। প্রেম ভালোবাসার উপন্যাস পড়ার জন্য না। লাইব্রেরীতে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকার জন্য না। আল্লাহর প্রতিটা হুকুম মেনে চলতে হবে। মুরুব্বীদের সালাম দিতে হবে। তবে হিন্দুদের আবার সালাম দিতে যাবেন না। ধরুন, সকালে আপনি ফযরের নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হয়েছেন। রাস্তায় এক হিন্দু লোকের সাথে দেখা, তাকে কিন্তু সালাম দিবেন না। তাকে বলবেন গুড মর্নিং। আবার একজন মুসলমানের সাথে দেখা হলে বলবেন, আসসালামু আলাইকুম। যদি তার সাথে অনেকদিন পর দেখা হয়, তাহলে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরবেন। কুশলাদি জিজ্ঞেস করবেন।
আপনি পৃথিবীতে জীবনযাপন করবেন নবিজির মতোন করে।
এজন্য নবিজির জীবনী পড়ে নিবেন ভালো করে। নবিজি যা যা করেছেন, আপনি তা তা করবেন। আল্লাহর রাসূল আমাদের জীবন সহজ করে দিয়েছেন। তার দেখানো পথে চললে, জীবন সুন্দর হবে এবং মৃত্যুর পর বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে। ইহকাল তো অল্প কয়েকদিনের। আসল জীবন শুরু হবে মৃত্যুর পর। অনন্ত কাল। সেটাই একজন খাটি মুসলিমের আসল জীবন। ইহকাল তো মানুষের জন্য পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় যারা পাস করবে তাঁরা বেহেশতে যাওয়ার টিকিট পাবে। খাটি মুসলমানের জন্য ইহকাল কিছু না। পরকালটাই আসল। প্রতিদিন ভোরে ফযরের নামাজ শেষ করে কোরআন পড়বেন সুর করে। এছাড়া যখনই কোনো আপনার বিপদ আসবে, সমস্যা আসবে, আপনি আথে সাথে কোরআন নিয়ে বসে যাবেন। কোরআনেই আছে অপার সুখ, শান্তি। আল্লাহ তার বান্দাদের ভালোবাসেন বলেই- কোরআন দিয়েছেন। জীবন সহজ ও সুন্দর করার জন্য।
সব সময় হাতে একটা তজবি রাখবেন।
তজবি জপবেন। সুখে দুঃখে সব সময় আল্লাহকে স্মরণ করবেন। তিনিই আপনাকে সমস্ত রকম বিপদ থেকে উদ্দার করবেন। খাওয়া খাদ্য নিয়ে আপনি ভাববেন না। রিজিকের মালিক আল্লাহ। তিনি আপনাকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। শুধু আল্লাহর উপর ভরসা রাখবেন। আল্লাহর ৯৯ টা নাম মুখস্ত করে ফেলবেন। আল্লাহর প্রতিটা নামে বরকত আছে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে আল্লাহর নাম স্মরণ করে ঘুমাবেন। এবং বলবেন, হে আমার প্রভু জানা-অজানায় আমি যদি কোনো অন্যায় করে থাকি, কোনো পাপ করে থাকি আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আবার সকালে উঠে বলবেন, হে আল্লাহপাক আজকের দিনটি যেন আমার সুন্দর কাটে। আমি যেন কোণো অন্যায় কাজ না করি। কোনো গুনাহ না করি। আমি যেন আপনার এবং নবিজির দেখানো পথে চলতে পারি। এটা মনে রাখবেন, আল্লাহকে পেতে হলে আগে নবিকে পেতে হবে। নবি ছাড়া আমাদের কোনো গতি নাই।
অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের ভালোবাসতে হবে।
বাবা মায়ের সেবা করতে হবে। অসুস্থ মানুষের সেবা করতে হবে। আপনার ব্যবহারে যেন কেউ কষ্ট না পায়। ভালো কাজ করে সোয়াব সংগ্রহ করতে হবে। নেকী সংগ্রহ করতে হবে। আমল করতে হবে। রোজা রাখতে হবে। দুনিয়াবি চিন্তা কম করে, আখেরাত নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হবে। প্রতিটা দিনকে শেষ দিন ধরে জীবনযাপন করতে হবে। বারবার আল্লাহর দয়া, করুনা চাইতে হবে। দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। কাঁদতে হবে। চোখের পানি ঝরাতে হবে। অন্যকে কোরআন শিক্ষা দিবেন। যারা বিপথে আছে, তাদের বুঝাবেন। তাদের আল্লাহর বানী শোনাবেন। নবিজির হদীস শুনাবেন। মসজিদে ডেকে নিয়ে যাবেন। নামাজ পড়াবেন। শিশুদের আদর করবেন। বেগানা নারীদের দিকে তাকাবেন না। অপচয় করবেন না। বিলাসিতা করবেন না। অসুস্থ হলে কালিজিরা খাবেন। মধু খাবেন। প্রতিটা মুহুর্ত আল্লাহকে স্মরণ করবেন। কথায় কথায় আল্লাহু আকবর বলবেন। আলহামদুলিল্লাহ, বিসমিল্লাহ্ বলবেন।
লেখা বড় হয়ে যাচ্ছে- তাই লেখা এখানেই শেষ করছি।
মহান প্রভুকে খুশসি করা কঠিন নয়। বরং খুব সহজ। তাই আসুন আমাদের চেষ্টা হোক একটাই মহান রাব্বুল আলামিনকে খুশি করা। তবেই মিলবে জান্নাত। আমাদের আসল ঠিকানা হোক জান্নাত। সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাবো। সেই লক্ষ্যে দুনিয়াতে কাজ করে যাবো। শয়তানের ধোকায় পরা যাবে না। শয়তান কিন্তু ওৎ পেতে আছে আমাদের ভুল পথে নিয়ে যেতে। শয়তানের প্ররোচনায় পরা যাবে না। নো নেভার। ইমান কে মজবুত করতে হবে। যাকাত দিতে হবে। সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই হজ্ব করতে হবে। শিশুদের ভালোবাসতে হবে। গান বাজনা শোনা যাবে না। ইত্যাদি এসব বিষয় যদি আপনি মেনে চলেন তাহলে আল্লাহপাক খুশি হবেন।
''আল্লাহু আল্লাহু তুমি জাল্লে জালালু/শেষ করা তো যায়না গেয়ে তোমার গুনগান''।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




