
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আমি না। আপনিও না।
তবে আমি জানি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কে। তার বাবার নামও জানি। তার বাবার নাম শেখ মুজিবুর রহমান। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মেয়ের নাম পুতুল। ছেলের নাম জয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর স্বামী মারা গেছেন। তিনি নাকি বিজ্ঞানী ছিলেন। কি কি আবিস্কার করেছেন সেটা আমি জানি না। প্রধানমন্ত্রীর এক বোন আছেন তাঁরা নাম রেহেনা। ১৯৯৭৫ সালে এই প্রধানমন্ত্রীর বাবা মা ভাইসহ সমস্ত আত্মীয়স্বজনকে একসাথে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তখন তিনি বিদেশ ছিলেন। নইলে তাকেও হত্যা করা হতো। তিনি তার বাবার নাম রেখেছেন। সুযোগ্য কন্যা। সাহসী কন্যা। আমার কন্যাকে আমি প্রধানমন্ত্রীর মতো সাহসী করে গড়ে তুলবো।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিএনপির কোমর ভেঙ্গে দিয়েছেন।
দুঃখজনক কথা হলো- এই প্রধানমন্ত্রীর আমলে নব্য ধনীদের সংখ্যা বেড়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছেন। তার আমলে কিছু লোক সীমাহীন টাকার মালিক হয়েছে। তাঁরা গাড়ি বাড়ি করেছে। সীমাহীন জমির মালিক হয়েছে। কেউ কেউ চারপাঁচ টা বাগান বাড়ি কিনে ফেলেছেন। দেশে টিভি চ্যানেল করেছে, দৈনিক পত্রিকা বের করেছে। পায়ের বুড়ো আঙ্গুল ব্যথা করলেই সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে দৌড় দেন। সাথে করে দুজন বুয়াও নিয়ে যান। এমনকি তার নেতারা বিদেশে সেকেন্ড হোম বানিয়ে রেখেছেন। এদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাবধান হওয়া উচিৎ। এবং কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব দরকার। এরা প্রধানমন্ত্রীর সুন্দর কর্মকান্ড নষ্ট করে দিচ্ছে।
এই প্রধানমন্ত্রী যে কোনো ভাষনে তার বাবার কথা বলেন।
এই দেশে যে আরো লোক আছে। তারাও যে ৭১ সালে যুদ্ধ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের নাম নেন না। এমন কি তাজউদ্দিন আহমেদ বা মাওলানা ভাসানীর নামও মুখে নেন না। সব তার বাবা একলা করেছেন। বাকি সবাই ফেউ। ইহা দুঃখজনক। এই প্রধানমন্ত্রী তেল ছাড়াও রান্না করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর সোনার ছেলেরা (ছাত্রলীগ) দিনেদুপুরে সবার সামনে মানুষকে কুপিয়ে মেরে ফেলে। ছাত্রলীগ বড় ভয়ঙ্কর। বহু পোলাপান ছাত্রলীগ করে গাড়ি বাড়ি করে ফেলেছে। যাই হোক, তার আমলে পদ্মাসেতু হচ্ছে। মেট্রোরেল হচ্ছে। ঢাকা আর চট্রগ্রামে কত গুলো ফ্লাইওবার ব্রীজ হয়েছে। মিথ্যা বলব না, উন্নয়ন হয়েছে। হচ্ছে। বিদ্যুৎ নিয়ে শান্তিতে আছি। তবে সরকার বলেন, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। এই কথাটি আমি মানি না। কারন আজও মানুষ রাস্তায় ঘুমায়। লাখ লাখ লোক বেকার। সরকারী হাসপাতালে দালাল। ছোট ছোট বাচ্চা ছেলেমেয়েরা স্কুলে না গিয়ে জুতোর আঠা দিয়ে নেশা করছে। পুলিশ ও স্থানীয় নেতারা ফুটপাত থেকে নিয়মিত চাঁদা নিচ্ছে।
আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর তেজ আছে।
তিনি ঠিকই তার বাবার হত্যাকারীদের বিচার করেছেন। রাজাকারদের বিচার করেছেন। এ জন্য তাকে স্যলুট জানাই। তিনি দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন অনেক করেছেন। কাশিমপুরে বিশাল এক কারাগার করেছেন। মাওয়া যাওয়ার রাস্তাটা দারুন করেছেন। সেখানে গেলে মনে হয় ইউরোপ চলে এসেছি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সৎ। তিনি তার দলের লোক দূর্নীতি করে ধরা পড়লে তাকেও ছাড়েন না। সম্রাট নামে একলোক এখন কারাগারে। আরো কিছু হেজিপেজি নেতাও কারাগারে। অথচ যুবলীগের সম্রাট আওয়ামীলীগ অন্তপ্রান ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী একটা কথা বারবার বলেন, অপরাধী যে'ই হোক ছাড় দেওয়া হবে না। এই কথাটা তিনি সত্যই বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বয়স হয়েছে। ইচ্ছা করলে তিনি অবসর নিয়ে বাকি জীবনটুকু বিশ্রাম নিয়ে আনন্দে পার করতে পারেন। কিন্তু তিনি তা করবেন না। তিনি দেশকে অনেক ভালবাসেন। তাই আমৃত্যু দেশের সেবা করে যাবেন। মহৎ মানুষ তিনি। একজন মহীয়সী নারী।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কথা দিলে কথা রাখেন।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই সেরা প্রধানমন্ত্রী। আমি বলব, তার বাবার থেকেও তিনি এগিয়ে গেছেন। অবশ্য তাঁরা বাবা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বেশি সময় পান নি। দুষ্টরা তাকে জানে মেরে ফেলেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বুদ্ধিমতি। সাহসী। এবং তেজি। আমি তার জন্য দোয়া করি। তার সাফল্য কামনা করি। তার সাফল্য মানে দেশের সাফল্য। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ- আপনার দলে যারা দুষ্টলোক আছে। দূর্নীতিবাজ আছে তাদের দল থেকে কান ধরে বের করুণ। দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। আপনার সব সুনাম তাঁরা নষ্ট করে দিচ্ছে। তাদের থামান। দেশ বাঁচান। দেশের মানুষ আপনাকে ভালোবাসে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




