
সমস্যা হলো- আমি সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারি না।
আমার লেখা মানেই অগোছালো এবং বিশ্রী রকম। খুব চেষ্টা করি- ভালো করে লিখবো। কায়দা করে লিখব, কিন্তু শেষমেশ ভীষন অগোছালো হয়ে যায়। নিজের লেখা যখন নিজেই যখন পড়ি, যথেষ্ঠ বিরক্ত লাগে। আমি জ্ঞানহীন মানুষ। ব্যর্থ মানুষ। যদিও নিজেকে নিজে শ্বান্তনা দেই- তুমি একজন প্রতিভাবান মানুষ। এই দেশের একজন মন্ত্রী হওয়ার মতো যোগ্যতা তোমার আছে। বাংলা সিনেমার নায়ক হওয়ার মতো যোগ্যতা তোমার আছে। একজন বিশাল ব্যবসায়ী হওয়ার যোগ্যতা তোমার আছে।
আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হতাম- দেশের জন্য ভালো ভালো কাজ করতাম।
গলাবাজি একদম করতাম না। বিরোধী দলকে নিয়ে কটাক্ষ্য একেবারেই করতাম না। কথায় কথায় নিজের বাপের গুণগান করতাম না। এবং দেশের জন্য কাজ করে চিৎকার করে কখনও বলতাম না, আমি এই করেছি, আমি সেই করেছি। আরেহ ভাই আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী। আমার কাজ, আমার দায়িত্ব আমি পালন করে যাবো। দেশের জনগন বলবে- এই, এই করা হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী হয়ে কেন নিজের ঢাকঢোল পিটাবো? আমি ভালো ভালো কাজ করবো। জনগন তা বলে বেড়াবে। এটাই স্বাভাবিক, এটাই নিয়ম। আমি আমার দলে কোনো চাটুকার রাখবো না। যোগ্য ও দক্ষ লোক রাখবো। পরিশ্রমী লোক রাখবো। সৎ মানুষ রাখবো। কোনো অনুষ্ঠানে কোটি কোটি টাকা খরচ করবো না। হোক সেটা আমার বাপের মৃত্যু বার্ষিকী, হোক সেটা কোনো সেতু উদ্বোধন। দেশের টাকা ফালতু কাজে খরচ করতাম না।
আমি প্রধানমন্ত্রী হলে- আমার দলের লোকদের স্পষ্ট বলে দিবো- ভাই এটা দরিদ্র দেশ।
আল্লাহর দোহাই লাগে কেউ দূর্নীতি করবেন না। কেহ যদি দূর্নীতি করেন তাহলে প্রেস ক্লাবের সামনে নিয়ে ন্যাংটা করে পিটানো হবে সকলের সামনে। ছাত্রদের বলব, তোমাদের এখন রাজনীতি করার দরকার নাই। তোমারা শুধু মন দিয়ে লেখাপড়া করে যাও। তোমরা ছাত্র, তোমরা ডাকাত নও। যে দিনদুপুরে কাউকে কুপিয়ে মেরে ফেলবে? তোমরা অফ যাও। জাস্ট মন দিয়ে লেখাপড়া করে যাও। অতীতে অনেক করছো। এবার থামো। সরকারী চাকরীজীবিদের বলব, তোমরা চাকর। জনগনের চাকর। তাই হুমকি ধামকি না দিয়ে জনগনের সেবা করে যাও। নইলে চাকরী ছাড়ো। কেউ যদি ঘুষ খাও। তাহলে তাকে এক চা চামচ কাঁচা গু খাইয়ে দেওয়া হবে। এবং এটা টিভিতে সকল চ্যানেল লাইভ দেখানো হবে। কোনো ছাড় নাই।
যারা অতি ধার্মিক। তাদের আমি সৌদি পাঠিয়ে দিবো। যা ব্যাটারা মরুভূমিতে যা। আমি প্রধানমন্ত্রী হলে ধর্ম ব্যবসায়ীদের কপালে দুঃখ আছে। যারা ওয়াজ করে তাদের বলা হবে, তোমরা যত খুশি ওয়াজ করো কিন্তু ওয়াজ করে একটা টাকাও নিতে পারবে না। যারা টাকা নিবে, তাদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এবার আয় দেখি কোন ব্যাটা ওয়াজ করবে! সব গুলোর ভন্ডামি ছুটিয়ে দিবো। সরকারী চাকরীজীবিদের তেল জমে গেছে শরীরে। সপ্তাহে একদিন ছুটি করা হবে। প্রতিদিন অফিস করতে হবে। এবং মাস শেষে লিখিত জবাব দিতে হবে, বিগত একমাস সে কি কি কাজ করছে। ফাকিবাজির দিন শেষ। রাজীব নূরের বাংলাদেশে। অতীতের সমস্ত দূর্নীতিবাজদের টাকা গুলো নিয়ে নেওয়া হবে। সেই টাকা দিয়ে দেশের চিকিৎসা খাতের উন্নয়ন করা হবে। চাকরী সৃষ্টি করা হবে। যারা দেশের টাকা বিদেশের ব্যাংকে রেখেছে, তাদের কপালে দুঃখ আছে।
রাষ্ট্রপতিকে স্পষ্ট বলে দিবো- চিকিৎসার জন্য দলবল নিয়ে বিদেশ যাওয়া বন্ধ।
তবে আমি প্রধানমন্ত্রী হলে রাষ্ট্রপতি পদটা রাখবো না। তাহলে কোটি কোটি টাকা বেঁচে যাবে। এই টাকা দিয়ে দেশে শিল্প কারখানা গড়ে তুলবো। আমার প্রধান ও প্রথম কাজ হবে দেশে বেকার সমস্যা দূর করা। কেউ যেন বেকার না থাকে। সবার জন্য চাকরী সৃষ্টি করা। লেখাপড়ার বারোটা বেজে গেছে। লেখাপড়া ছাড়া জাতির উন্নতি সম্ভব না। তাই দেশে লেখাপড়া ফ্রি করা হবে। চিকিৎসা ফ্রি করা হবে। লেখাপড়া, চাকরী, চিকিৎসা ও বাসস্থান এগুলো জনগনের মৌলিক অধিকার। দরকার নাই আমার পদ্মাসেতুর। আগে আমার দেশের লোক কাজ করুক, লেখাপড়া শিখুক, চিকিৎসা পাক, চাকরী পাক। ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে আমি পদ্মাসেতু না বানিয়ে আগে দেশের মানুষদের ফ্রি লেখাপড়া, চিকিৎসা ও চাকরী তৈরি করতাম।
আমি প্রধানমন্ত্রী হলে- বিগত প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বিচার করতাম।
তাদের জিজ্ঞেস করতাম, আপনারা যে দিনরাত বলেছেন, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে, কোথায় উন্নয়ন? আজও মানুষ রাস্তায় ঘুমায়। আজও সরকারী হাসপাতালে দালাল। আজও কোটি কোটি বেকার। আজও কিশোর কিশোরীরা রাস্তায় কাগজ টোকায়, আজও সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যায়,- তাহলে উন্নয়টা কোথায়? মিথ্যা বলার জন্য অতীতের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এদের শাস্তির ব্যবস্থা করতাম। যেসব নেতারা বলতো দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা বিরাট পরিবর্তন হয়েছে, তাদের কানে ধরে বলতাম, তাহলে তোরা চিকিৎসার জন্য বিদেশ গেলি কেন? নব্য ধনীদের ডেকে জিজ্ঞসে করতাম, এত অল্প সময়ে কিভাবেও ধনী হলেন? দুদক কে জিজ্ঞেস করতাম চারিদিকে এত এত দূর্নীতিবাজ। তোরা কেন ওদের ধরিস নাই? এজন্য অতীতে যারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে নাই, তাদের অবশ্যই শাস্তি দিতাম।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:২২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




