
কটকটা কমলা রঙের আলখাল্লা পরা এক সাধু আমার সামনে এসে দাড়ালো। মাথা ভরতি জট। গলায় নানান রকম ছোটবড় পুতির মালা। হাতে অনেক গুলো রাবারের চুড়ি। বলল, কল্যান হোক তোমার!
আমি বললাম, আসসালামু আলাইকুম।
সাধু বলল, তুমি যা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছো, তার সমাধান হয়ে যাবে। একটু সময় লাগবে। ধরো, দুই আড়াই মাস। শুধু শুধু চিন্তাভাবনা করে শরীর খারাপ করো না। জানো তো স্রোত থেমে থাকে না।
আমি হাসলাম। সাধুর বয়স ৫০/৬০ হবে। বললাম, আপনি অযথাই আমাকে বিরক্ত করছেন। আমি আপনাকে কোনো টাকা দিবো না।
সাধু বলল, আমি তো বাবা তোমার কাছে কোনো টাকা পয়সা চাইনি। তোমার কপালে একটা অশুভ ছায়া দেখে তোমার সামনে দাড়িয়েছি।
আমি বললাম, এখন কি তাবিজ বা পাথর বসানো আংটি নিতে হবে আপনার কাছ থেকে?
সাধু বলল, না না সেসব কিছু না। আমি অসহায় মানুষের কল্যানের জন্য একটা আশ্রম তৈরি করবো। সে জন্য যদি কিছু টাকা দাও। তাতে তোমার পুন্য হবে। অশুভ ছায়া কেটে যাবে।
আমি রেগে গিয়ে বললাম, দূর হও আমার সামনে থেকে। যতসব ভন্ড, আপদ, আগাছা। সরে যাও আমার চোখের সামনে থেকে।
সাধু চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। বিড় বিড় করে যেন কিসব বলে যাচ্ছে। আমার দিকে তাকিয়ে চলে যাবার আগে বলল, বাবা আমি মানুষের ভালো ছাড়া মন্দ করি না। দেখলাম, তোমার কপালে অশুভ ছায়া...
আমি বললাম, কোনো লাভ নাই। চলে যাও। গো।
সাধু বলল, অন্তত এক কাপ চা তো খাওয়াতে পারো?
আমি চা খাওয়ালাম। সাধু বিদায় নেবার আগে তার ঝোলাব্যাগ থেকে কি যেন একটা বের করে, হাত মুঠ করে বলল, নাও। তোমার কাছে রাখো। কোনো টাকা দিতে হবে না। আবার দেখা হবে হয়তো।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




