
বাংলাদেশ, ভারত গরীব দেশ।
দেশের বেশির ভাগ লোক গরীব। গরীব দেশের জনগন কোনো কিছু নিয়েই বিলাসিতা করতে পারে না। তাঁরা তিনবেলা খাবারের চিন্তায় অস্থির থাকে। কবিতা কখন পড়বে? নজরুল-রবীন্দ্রনাথ লিখতেন জ্বালাময়ী কবিতা। তাদের কবিতায় তেজ ছিলো, ধার ছিলো। সেই সব কবিতা মানুষের বুকে গিয়ে ধাক্কা দিতো। কাঁপন ধরিয়ে দিতো। অসহায় ও দরিদ্র মানুষ তাদের কবিতা পড়ে ভরসা পেতো। সাহস পেতো। বেঁচে থাকতে শিখতো। এখনকার কবিরা কি লিখেন তা তাঁরা নিজেরাও জানেন না।
নজরুল-রবীন্দ্রনাথের মতো কবি ভারত বাংলাদেশে আর নাই।
এখন যারা পুতুপুতু টাইপ কবিতা লিখছেন- সেই সব কবিতার কোনো আগা মাথা নেই। সেই সব কবিতা কেউ পড়ে না। বাংলাদেশে কবিতার বই একেবারেই চলে না। তিন শ' বই ছাপালে ২০ কবি বই বিক্রি হয় না। প্রতি বছর বাংলাদেশে দুই হাজার কবিতার বই বের হয়। কোনো এক বিচিত্র কারনে বাংলাদেশের মানুষ কবিতা লিখতে পছন্দ করে। কবিতা নাম দিয়ে যা লেখা হয় তা অতি অখাদ্য। তবু কিছু লোক কবি খেতাব পাওয়ার জন্য অখাদ্য লিখে চলেছে। বতর্মানে বাংলাদেশে ৫ জন ভালো কবি খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ফেসবুকে হাজার হাজার কবি দেখা যায়।
সত্য কথা বলি- ফেসবুক না থাকলে আমার জানাই হতো বাংলাদেশে এত এত কবি আছেন। এই তথাকথিত কবিরা কবিতার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। ফেসবুক কবিরা কবিতার সর্বনাশ করেছে। এদের শাস্তি হওয়া উচিৎ। হাজার হাজার অকবিদের ভিড়ে দু চারজন ভালো কবি'রা হারিয়ে গেছেন। কবি রুদ্ধ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলাদের কবি ও কবিতা নিয়ে অনেক মূল্যবান কথা বলেছেন। আমার নিজের কথা বলি- আমি কবিতা লিখতে পারি না। তবুও আমি কবিতা লিখি। যে কবিতা মানুষকে পথ দেখায় না। আনন্দ দেয় না। ভালোবাসতে শেখায় না। স্বপ্ন দেখায় না।
নজরুল রবীন্দ্রনাথের দিন শেষ।
জীবনানন্দের দিন শেষ। কবিতা দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করার দিন শেষ। এখন সমস্ত দুষ্টলোকেরা কবিতা লিখছে। গল্প-উপন্যাস লিখছে। এদের কোনো সাহিত্যের জ্ঞান নেই। গদ্য পদ্য কিছুই ভালো করে জানে না। এসব কি লিখেছেন জিজ্ঞেস করলে ভাব নিয়ে বলেন- আধুনিক কবিতা, আধুনিক সাহিত্য। আসলে দুষ্টলোকজন তাদের অপরাধ আড়াল করার জন্য গল্প, কবিতা, উপন্যাস লিখে ভরে ফেলছেন। সাহিত্য এখন দুষ্টলোকদের দখলে। শুধু সাহিত্য না, সব কিছু এখন দুষ্টলোকদের দখলে। এ যুগের মানুষ খুব বেশি আত্মকেন্দ্রিক। তাঁরা নিজের ঘর সংসার নিয়েই ব্যস্ত। কবিতা নিয়ে মাতামাতি করার সময় কই? কবিতা কি ভাত দিবে? টাকা দিবে?
বাঙ্গালীরা মূলত প্রেমে পড়লে কবিতা লিখে।
কেউ কেউ নারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কবিতা লিখেন। কবিদের স্বভাব চরিত্র ভালো হয় না। কবিরা সাধারণত নারী ঘেষা স্বভাবের হয়। যে যতই কবিতা লিখুক, দিনশেষে- ফলাফল শূন্য। কবিতা লিখে জীবন চলে না। এজন্য বহু কবি জীবন এবং সংসারের জন্য কবিতা লেখা বাদ দিয়ে দেন। খেয়েপরে বেঁচে থাকতে তো হবে। যাদের টাকা পয়সার অভাব নেই। তারা কবিতা নিয়ে বিলাসিতা করছে। করুক। কিন্তু কবি নজরুন, রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ কবিতা নিয়ে বিলাসিতা করেন নি। নজরুল রবীন্দ্রনাথের যুগে মানুষ নতুন কবিতার জন্য অপেক্ষা করতো।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




