somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আপনার স্বপ্নের জীবনটি ঠিক কেমন?

২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

আমি সহজ সরল মানুষ। সহজ সরল জীবনযাপন করি। আমার জীবন আনন্দময়। জটিলতা কুটিলতা আমার মোটেও পছন্দ নয়। খুব স্বল্প সময় নিয়ে মানুষ দুনিয়াতে আসে। তাই ঝগড়া বিবাদ না করাই উত্তম। মানুষের জীবন হবে আনন্দময়। বুদ্ধিমান মানুষেরা যত পারে দুনিয়ার মজা, রুপ, রস আনন্দ ভোগ করে নেয়। দরিদ্র দেশে এবং দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহনটা যেন একটা অভিশাপ। আমাদে আশেপাশে ভারত, বাংলাদেশে আর পাকিস্তান হলো দরিদ্র দেশ। এসব দেশের রাজনীতিবিদরা হয় অসৎ। এজন্য জনগনের ভোগান্তির শেষ। আমাদের চেয়েও দরিদ্র দেশ তাদের জ্ঞান আর পরিশ্রম দিয়ে আজকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

আমি যে ধরনের জীবন চেয়েছিলাম- সেরকম জীবন পাইনি। আসলে বেশির ভাগ মানুষই তার মনের মতোন করে জীবনযাপন করতে পারে না। আমি চেয়েছিলাম দেশের সেরা কোম্পানীতে বড় পদে কাজ করবো। অফিস থেকে আমাকে গাড়ি দিবে, ড্রাইভার দিবে। তিন হাজার স্কয়ার ফিটের ফ্লাট দিবে। আমার সেলারি হবে ৬ লাখ টাকা। অন্যান্য সুবিধা বাদে। অফিসে আমার রুমটা হবে অনেক বড়। আমার ব্যাক্তিগত পিয়ন থাকবে দুইজন। পিয়ন দুইজনকে অবশ্যই বুদ্ধিমান হতে হবে। অফিসে আমার কাজ থাকবে শুধু ফাইলে সই করে দেওয়া। অফিসে কোনো পলিটিক্স থাকবে না। বদমাশ লোক থাকবে না।

প্রতিমাসে আমি পরিবার নিয়ে দেশের বাইরে বেড়াতে যাবো। খরচ বহন করবে অফিস। অফিসের কাজে ঢাকার বাইরে গেলে হেলিকাপ্টার দিতে হবে। আমার একটা নিজস্ব লাইব্রেরী থাকবে। লাইব্রেরীতে থাকবে আমার পছন্দ মতো বই। কেদারায় আরাম করে শুয়ে বসে আমি বই পড়বো। লাইব্রেরীতে অবশ্যই এসি থাকতে হবে। যখন আমি বই পড়বো এক ঘন্টা পর-পর আমাকে দুধ চা দিতে হবে। চা আমি চাইতে পারবো না। ঠিক এক ঘন্টা পর যেন হাত বাড়ালেই যেন চা পাই। বই পড়ার সময় আমাকে একেবারেই বিরক্ত করা যাবে না। আমি সমাজের লোকজনদের বুঝাবো তোমরা বই পড়ো, জ্ঞান আহোরন করো। কারো মুখ থেকে কিছু শুনো না। এমনকি নির্বোধ ওয়াজকারীদের মুখ থেকে রুপকথার গল্প গুলো বিশ্বাস করো না।

আমি লিখব। আমাকে লিখে যেতে হবে। কারন আমি বিশ্বাস করি লিখে লিখে সমাজ বদলে দেওয়া সম্ভব। আমি দুষ্টলোকদের বিরুদ্ধে লিখব। অসৎ ব্যবসায়ীদের কথা লিখব, দূর্নীতিবাজ মন্ত্রীদের কথা লিখব, দালাল আর চাটুকারদের বিরুদ্ধে লিখব। মন্ত্রী-এমপিদের ছত্রছায়ায় থেকে যারা মন্দ কাজ করছে তাদের কথা লিখব। এমন কি সমাজে যারা লিখে লিখে ক্রাইম করছে, তাদের বিরুদ্ধে লিখব। যারা মানুষের ঊপর অন্যায় করছে তাদের বিরুদ্ধে লিখব। মোটকথা সমাজে যারা অসৎ ও অন্যায় কর্ম করছে, দেশের ক্ষতি করছে তাদের বিরুদ্ধে আমি লিখব। লেখালেখির মধ্যে একটা অকৃত্রিম আনন্দ আছে। তবে যন্ত্রনাও কম নয়।

সমাজের অসহায় মানুষদের জন্য আমি ভালো কিছু করবো। যেসব কিশোর কিশোরী শিক্ষা থেকে দূরে আছে, তাদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করবো। যাদের থাকার জায়গা নেই, রাস্তায় থাকে- তাদের থাকার ব্যবস্থা করবো। যারা টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো। যারা মানুষকে ঠকায়, মানুষের সাথে প্রতারণা করে তাদের থাপ্পড় দিবো। যারা ভালোর মুখোশ পড়ে থাকে, তাদের মুখোশ খুলে ফেলব। সোজা কথা আমার দুনিয়া হবে সহজ সরল সুন্দর। আমি আমার আশে পাশে কোনো খারাপ মানুষ রাখবো না। নব্য ধনীদের প্রেস ক্লাবের সামনে লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে চাবুক দিয়ে মারবো। এবং সরকার কেন নব্য ধনীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এজন্য সরকারকে অবশ্যই জবাবদিহিতা করতে হবে।

আমাদের মসজিদ, মন্দির আর গির্জা দরকার নাই। এগুলো মানুষদের সুপথে আনতে পারে না। একমাত্র শিক্ষা এবং সঠিক শিক্ষা, জ্ঞান মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে। ধর্ম পালন করে কিছু পাওয়া যায় না। ধর্ম মানুষকে কিছু দেয় না। মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ জ্ঞান। জ্ঞান দিয়ে দেশ সমাজ বদলে ফেলা যায়। ধর্ম দিয়ে নয়। বিজ্ঞান যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে অবশ্য ধর্ম কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। মানুষ যত এগিয়ে যাবে ধর্ম তত পিছিয়ে পড়বে। এভাবে একদিন ধর্ম দুনিয়া থেকে হারিয়ে যাবে। মানুষ আফিম মুক্ত হবে। মানুষের মনে যে কুসংস্কার গুলো লুকিয়ে আছে সেগুলো বের করতে হবে। কুসংস্কার দূর করার ওষুধ হচ্ছে জ্ঞান।

আমি সব মানুষকে নিয়ে ভালো থাকতে চাই। সমাজের দুষ্টদের আমি ভালো করবো। দুষ্টরাতো আর মায়ের পেটে থাকতে দুষ্ট হয়নি। দুনিয়াতে এসেই দুষ্ট হয়েছে। তাদের ভালো হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সুযোগ পেলে মন্দ লোকেরাও ভালো হতে পারে। আমি বিশ্বাস করতে চাই- কোনো মানুষই জেনে শুনে মন্দ কাজ করে না। যে লোকটা গাছ কাটার ব্যবসা করে তারও নিশ্চয়ই গাছের প্রতি মায়া রয়েছে। মানুষের জীবনে সসবচেয়ে বড় অস্ত্রই হচ্ছে ভালোবাসা। এই ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবীটাকে সুন্দর করে সাজানো সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫৪
১১টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৪



গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

আমরা সবাই জানি, ইরানের সাথে ইজরায়েলের সম্পর্ক সাপে নেউলে বললেও কম বলা হবে। ইরান ইজরায়েলকে দুচোখে দেখতে পারেনা, এবং ওর ক্ষমতা থাকলে সে আজই এর অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়।
ইজরায়েল ভাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

নগ্ন রাজা কর্তৃক LGBTQ নামক লজ্জা নিবারনকারী গাছের পাতা আবিষ্কার

লিখেছেন মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪০

LGBTQ কমিউনিটি নিয়ে বা এর নরমালাইজেশনের বিরুদ্ধে শোরগোল যারা তুলছেন, তারা যে হিপোক্রেট নন, তার কি নিশ্চয়তা? কয়েক দশক ধরে গোটা সমাজটাই তো অধঃপতনে। পরিস্থিতি এখন এরকম যে "সর্বাঙ্গে ব্যথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×