
আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ছাড়তে চায় না।
আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ভালোবাসে। আজ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের কোনো নেতা স্বেচ্ছায় অবসর নেননি। যদি আওয়ামীলীগের চেয়ে কেউ ভালো দেশ পরিচালনা করতে পারে তবু কোনোদিন আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ছাড়বে না। শেখ হাসিনা কচ্ছপের মতোন দাঁত দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখবেন। মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়বেন না। নো নেভার। আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য- আওয়ামীলীগ বিএনপির কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে। বিএনপি আর কোনোদিন কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না। কাজেই বিনা দ্বিধায় বলা যেতে পারে- আবারও ক্ষমতায় আসবে আওয়ামীলীগ।
ইনশাল্লাহ আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসবে।
অবশ্যই আসবে। জনগন যদি ভোট দিতে না-ও যায়, তবু আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসবে। সেই সিস্টেম করা আছে। দেশে বিএনপি'র আমলের চেয়ে এখন বেশি দূর্নীতি হচ্ছে। অথচ দেশ কিন্তু বিএনপি আমলের মতো প্রতি বছরর বারবার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে না। এগুলো হলো সিস্টেম। এবং বুদ্ধির খেলা। শেখ মুজিবের চেয়েও শেখ হাসিনার বুদ্ধি বেশি। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়, কিন্তু সেই পরিমান উন্নতি দেশের হয় নাই। শুধু মেট্রোরেল আর পদ্মাসেতুর কথা বললে হবে না। এখনও দেশে প্রচুর বেকার। বাজারে আগুন। আজও মানুষ রাস্তায় ঘুমায়। দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।
মাঝে মাঝে মন চায় একটু আওয়ামীলীগের দালালি করি,
একটু চাটুকারিতা করি। আওয়ামী লীগ অনেক ভালো দল। মহান একটা দল। এই দলে কোনো দূর্নীতিবাজ নেই। আওয়ামীলীগ এর লোকজন দেশকে খুব ভালোবাসে। তাদের কোথাও সেকেন্ড হোম নেই। বিদেশে তাদের বাড়ি গাড়ি নেই। ব্যাংকে কারো কালো টাকা আনেই। তাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে থাকে না। বিদেশে লেখাপড়াও করে না। কোনো আওয়ামীলীগার কালো টাকার মালিক না। সব্বাই সৎ ও মহৎ। আওয়ামীলীগের প্রতিটা নেতা একদম খাটি দেশ প্রেমিক এবং সৎ মানুষ। ওবায়দুল কাদের স্যার গ্রেট নেতা। ড. হাছান মাহমুদ স্যারের তুলনা হয় না। আওয়ামীলীগের জন্যই দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। গ্রামের লোকজন পর্যন্ত লুঙ্গি পরে দেড় লাখ টাকা দামের বাইকে করে বাজার করতে যায়। ঢাকা শহরে দামী দামী গাড়ি দিয়ে জ্যাম লেগে যায়।
এক কথায় আওয়ামীলীগ ছাড়া বাংলাদেশীর কোনো গতি নাই।
শেখ হাসিনার জন্যই আজ আমরা খেয়েপরে বেঁচে আছি। উনি আমাদের মোবাইল দিয়েছেন। মা বোনদের ব্লাউজ দিয়েছেন। দেশকে ডিজিটাল করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশকে করোনা মুক্ত করেছেন। উনি অবশ্যই বেহেশতে যাবেন। দেশের জনগন শেখ হাসিনাকে ভালোবাসেন। দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার দারুন উন্নতি হয়েছে। বাজারে কোনো কিছুর অভাব নাই। ছাত্রলীগের ছেলেপেলেরা খুব ভালো। এদের তুলনা হয় না। এরা আসলেই সোনার বাংলাদেশের সোনার ছেলে। শেখ হাসিনা একজন মানবিক মানুষ। উনি বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হবার পরও বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজ ছিলো আওয়ামীলীগের সম্মেলন। লাখ লাখ মানুষ হাসি মুখে সেই সম্মেলনে যোগ দিয়েছে।
অনেকক্ষন আওয়ামীলীগের দালালি করতাম।
চাটুকারিতা করলাম। এখন যদি আমাকে একটা 'পদ' দেওয়া হয়- তাহলে কিছু টাকাপয়সা কামাতে পারি। আমাকে পাচ বছর সময় দিলে যা ইনকাম করবো তা দিয়ে আমি এবং আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রাজার হালে থাকতে পারবে। শুধু একটা সুযোগ! অবশ্য এই দেশে টাকা ইনকাম করতে গেলেও সমস্যা- কত লোককে যে খুশি রাখতে হয়। দুদককে দিতে হবে, পাতি নেতাদের দিতে হবে, সাংবাদিকদের দিতে হবে। পুলিশকে দিতে হবে। বহু লোককে দিতে হয়। ১৫ আগস্টের খরচ আছে। শেখ হাসিনার জন্মদিনে খরচ আছে। অবশ্য সবাইকে দিয়েথুয়ে যা থাকবে সেটা দিয়ে আমি আমৃত্যু পায়ের উপর পা দিয়ে চলতে পারবো।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



