
১। প্রশ্নঃ কোন সুরা পড়তে পারি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে?
উত্তরঃ পুরো কোরআন এবং হাদীস মুখস্ত করে ফেললেও লাভ নাই। কোনো সুরা পড়লেও লাভ নাই। পরীক্ষার পাশ করার জন্য আপনাকে পড়তে হবে। পড়লেই পাশ করতে পারবেন। ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন। সূরা এক লাখ বার পড়লেও লাভ নাই। মুখস্ত করলেও লাভ নাই। সূরার কোনো ক্ষমতা নাই। কোনো অলৌকিক ক্ষমতা নাই। এই চিন্তা মাথা থেকে বের করে ফেলুন, যে সূরা পড়লেই পরীক্ষায় পাশ করতে পারবেন। কাজেই ফালতু চিন্তা বাদ দিয়ে এখনই পড়তে বসুন। সূরা আপনাকে পাশ করাতে পারবে না। ভুলের মধ্যে থাকবেন না।
যদি সত্যিই সূরা পড়লে পাশ করা যেতো তাহলে দুনিয়াতে কেউ ফেল করতো না। যে যা হতে চাইতো, তাই হতে পারতো। যারা ডাক্তারি পাশ করতে চায়, তাঁরা ডাক্তারি পড়াশোনা বাদ দিয়ে শুধু কয়েকটা সূরা পড়ে পাশ করে যেতো। দুর্বল ছাত্ররা সারা বছর কোনো পড়াশোনা না করে, সূরা পড়ে পরীক্ষায় পাশ করে যেতো। দুর্বল চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিন। ফাঁকি বাজি চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিন। না পড়লে কোনো সূরাই আপনাকে পাশ করাতে পারবে না। নো নেভার।
২। প্রশ্নঃ কালিজিরা চিবিয়ে খেলে কি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়?
উত্তরঃ না। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে না। যদি সত্যিই স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পেতো, তাহলে দুনিয়াতে লাখ লাখ মানুষ স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। তাঁরা কালিজিরা খেয়ে স্মৃতিশক্তি ফিরিয়ে আনতো। আমার মামা স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। সে কাউকে চিনেন না। পুরনো কোনো কথা মনে করতে পারেন না। আমরা ডাক্তারের কাছে গেলাম। ডাক্তার অনেক ওষুধ দিলেন। টেস্ট দিলেন। কিন্তু কালিজিরার কথা বললেন না। শেষে আমিই বললাম, কালিজিরা কি খাওয়াবো?
ডাক্তার বলল, তাহলে এত টাকা ভিজিট দিয়ে আমার কাছে এসেছেন কেন? ১০ টাকার কালিজিরা খাইয়ে সুস্থ করে ফেলেন। ডাক্তার বললেন, এটা ১৪শ' বছর আগের যুগ না। এটা আধুনিক যুগ। এখন চিকিৎসা বিজ্ঞাপন অনেক উন্নত। কিন্তু আগে এত চিকিৎসা বা ওষুধ ছিলো না। এখন আপনারাই চিন্তা করে দেখুন, রোগীকে ১৪ শ' বছর আগের চিকিৎসা করাবেন? না আধুনিক চিকিৎসা করাবেন?
৩। প্রশ্নঃ ইদানিং আওয়ামীলীগ ও বিএনপি'র এত সবাবেশ হচ্ছে কেন?
উত্তরঃ সমাবেশ, সম্মেলন, মিটিং মিছিল যা-ই করুক রাজনীতিক দল গুলো- সেটার ফলাফল শূন্য। সমাবেশ বা সম্মেলন দিয়ে দেশ বা সমাজের কোনো উপকারে আসে না। বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমে না। রাজনীতিক দল গুলোর মধ্যে কাজ করে হিংসাত্মক মনোভাব। ওরা সমাবেশ করেছে, আমরাও করবো। ওদের সমাবেশে এক লাখ লোক এসেছে, আমরা আনবো দুই লাখ। এগুলো আসলে অসুস্থ মানসিকতা।
আওয়ামীলীগ, বিএনপি সমাবেশ, মিটিং মিছিল যা-ই করুক দিনশেষে ভোগান্তি শিকার হয় সাধারন মানুষ। কষ্ট হয় সাধারন মানুষের। ওরা রাজনীতি মূলত দেশের জন্য করে না। করে নিজেদের জন্য। নিজেদের আখের গোছাতে ওরা ব্যস্ত। দেশ এবং দেশের মানুষ গোল্লায় যাক। সেটা নিয়ে ওদের কোনো মাথা নেই। খেয়াল করে দেখবেন, দেশে বেকারের অভাব নেই। এই বেকারদের কথা কেউ ভাবে না। হাজার হাজার মানুষ ফুটপাতে ঘুমায়, ওদের নিয়ে কেউ ভাবে না। ওরা ব্যস্ত মিটিং মিছিল আর সমাবেশ নিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



